মোঃ রেজাউল করিম, নাটোর প্রতিনিধিঃ
নাটোরের গুরুদাসপুরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করা তরুণীকে অবশেষে বিয়ে করলেন প্রেমিক। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর ফলের জুস খাইয়ে প্রেমিকার অনশন ভাঙলেন প্রেমিক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কলেজে পড়া অবস্থায় তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। পরে প্রেমিকের মা তাদের দুজনের বিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। যার কারণে ওই তরুণী তার প্রেমিকের সঙ্গে মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। এ সময় বিয়ের কথা বলে ওই তরুণীর সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সর্ম্পকে জড়ান ইকবাল। একপর্যায়ে বিয়ের কথা বলতেই প্রেমিক বিভিন্ন টালবাহানা করতে থাকে। এ নিয়ে গ্রামে একাধিকবার সালিসও হয়েছে। তবু বিয়ে করতে রাজি হননি তিনি। কোনো উপায় না পেয়ে গত রোববার থেকে প্রেমিকের বাড়ির গেটের সামনে অনশনে বসেন প্রেমিকা।
এ ঘটনায় সালিসে বসা সভাপতি ও মহারাজপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. আব্দুল জব্বার বলেন, এলাকার মেম্বার ও গ্রাম প্রধানদের নিয়ে মহারাজপুর দাখিল মাদ্রাসায় বসে দুই পক্ষ। উভয়পক্ষের কথা শুনে দুজনের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে কাজী ডেকে তাদের বিয়ে দিয়ে ছেলের বাড়িতে পাঠানো হয়।
নাজিরপুরের ৬ নম্বর ওয়ার্ড ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আরিফুল ইসলাম বলেন, আমার নিজের ওয়ার্ডে এমন ঘটনা ঘটেছে প্রথমে বুঝতে পারিনি। যখন জানলাম তখন দুই পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি মীমাংসার ব্যবস্থা করেছি। এলাকার প্রধান, ইউপি চেয়ারম্যান, বাদী-বিবাদীকে নিয়ে বসে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী বলেন, বিষয়টি জানার পর দুই পরিবার নিয়ে স্থানীয়ভাবে সমাধানের জন্য ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে তিনি এলাকাবাসীদের নিয়ে আলোচনা করে তাদের বিয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে তরুণী তার শ্বশুরবাড়িতে আছেন।