স্টাফ রিপোর্টার নাটোর
নাটোরের গুরুদাসপুরে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেয়ার নামে অর্থ আত্মসাৎ এবং প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে তিনজনের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় গত শুক্রবার( ৮ এপ্রিল) ভুক্তভোগী মাছেদা খাতুন (৩৫) গুরুদাসপুর আমলী আদালতে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবু (৪৩), লক্ষীপুর গ্রামের মৃত উম্বরের ছেলে স্কুল শিক্ষক মফিজ উদ্দিন (৫৫), গোপিনাথপুর গ্রামের মৃত আমির আলী মন্ডলের ছেলে আওয়ামীলীগ নেতা নজরুল ইসলাম (৫২)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম, মফিজ উদ্দিন ও শওকত রানা লাবু প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার কথা বলে ভূক্তভূগি মাছেদার কাছে থেকে ৯০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু গত ২৬ এপ্রিল তৃতীয় ধাপে উপজেলার ৬৯ পরিবার ঘর পেলেও ভূক্তভূগি মাছেদা ঘর পায়নি। সেই টাকা ভূক্তভূগি ওই নারী ফেরত চাইলে অভিযুক্ত তিনজন অস্বীকার জানান। পরে কোনো উপায় না পেয়ে পাঁচ জনকে সাক্ষী করে গত ৮ এপ্রিল তাদের বিরুদ্ধে আমলী আদালতে মামলা করেন মাছেদা।
নাম প্রকাশে এলাকাবাসী জানান, অসহায় মাছেদা ঘর পাওয়ার আশায় শেষ সম্বল ১ শতক ভিটা, বাড়ির ছাগল বিক্রি ও খালাতো ভাইয়ের কাছ থেকে টাকা ধার করে নজরুল ইসলাম ও মফিজ উদ্দিনকে দেয়। তারপরও কপালে ঘর জুটেনি। এখন সবকিছু হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি। তাই দ্রুত সমাধান দাবী করেছেন এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগী মাছেদা খাতুন বলেন, নজরুল ও মফিজ আমাকে বলে টাকা ছাড়া ঘর পাওয়া যাবে না। তাই ঘর পাওয়ার আশায় আমি সবকিছু বিক্রি করে মফিজের বাড়িতে গিয়ে নগদ ৯০ হাজার টাকা দিয়ে এসেছি। আজও ঘর পাইনি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত মফিজ উদ্দিন ও নজরুল ইসলাম জানান, আমাদের বিরুদ্ধে অভিযুক্ত সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
অভিযুক্ত শওকত রানা বলেন, এ ধরনের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমাকে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
মামলার তদন্ত অফিসার সাব ইন্সপেক্টর রিপন কুমার সাহা বলেন, মামলার তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে দ্রুত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হবে।