আসাদুর রহমান, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে তিব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গনের ফলে ঐতিহ্যবাহী এনায়েতপুরের ব্রাহ্মণগ্রামের অবস্থিত নান্দনিক নকশায় নির্মিত তারকা মসজিদ নদীগর্ভে চলে যায়।
আজ (সোমবার) ফজর নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হবার পরই শুরু হয় ভাঙ্গন। ভাঙ্গনে তারকা মসজিদের পূর্বাংশের প্রধান ফটক নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যায়। চোখের সামনে নামাজের ঘর বিলীন হওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েছেন এলাকাবাসী।
তারা অভিযোগ করেছেন, ভাঙনরোধে সংশ্লিষ্টরা সঠিক সময়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করার এই অবস্থা, সঠিক সময় জিও ব্যাগ ড্যাম্পিং করলে এমনটা হতো না। এছাড়াও গত সাত দিনে থেমে থেমে এনায়েতপুর থেকে হাটপাঁচিল পযন্ত প্রায় অর্ধশতাদিক বসতভিটা সহ আবাদি জমি চলে যায় যমুনার নদীগর্ভে।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার ভোর থেকে হঠাৎ করে যমুনায় স্রোত বৃদ্বি পায়, স্রোত বৃদ্বি পাওয়ায় নদীপারে শুরু হয় ভাঙন। বিলীন হয়ে যায় তারকা জামে মসজিদ সহ আসে পাসে থাকা বাড়ি ঘর। এতে করে মুহূর্তের মধ্যে নদীপাড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
মসজিদটির ইমাম হাফেজ জহুরুল ইসলাম জানান, আজ (সোমবার) ফজরের নামাজ পড়ে বের হবার পর হঠাৎ করেই ভাঙন শুরু হয়, মূহুতেই বিলীন হয়ে ঐতিহ্যবাহী তারকা জামে মসজিদের পূর্বাংশ। যমুনা নদীপাড়ে অবস্থিত দৃষ্টিনন্দন মসজিদ দেখতে প্রায়ই দূর দুরান্ত থেকে মানুষ আসত। মসজিদটি নদীগর্ভে যাওয়ায় অনেক কষ্ট হচ্ছে। খুকনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুল্লুক চাঁদ জানান, ব্রাহ্মণগ্রাম থেকে পাচিল পর্যন্ত সাড়ে ছয় কিলোমিটার যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণে ৬৫০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন ও কাজ শুরু হয়েছে। যমুনায় পানি বৃদ্ধির কারনে ভাঙ্গন বেড়েছে। ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ড্যাম্পিং করার জন্য পাউপো কর্মকতাকে জানানো হয়েছে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।