আশিকুর রহমান শান্ত,
ভোলা প্রতিনিধি:
প্রান্তিক জেলেদের শতভাগ সরকারি সুরক্ষা সেবার আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন মৎস্যজীবী নেতৃবৃন্দ। এ বিষয়ে রবিবার (১২ জুন) কোস্ট ফাউন্ডেশন এর আয়োজনে উপকূলীয় প্রান্তিক জেলেদের জীবনমান উন্নয়নে ‘‘সরকারি সুরক্ষা সেবায় প্রবেশাধিকার ও চ্যালেঞ্জ’’ বিষয়ক নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে দৌলতখান উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে।
উপজেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি, মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৌলতখান উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জনাব, মাহফুজুল হাসনাইন, ক্ষুদ্র জেলে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ , ক্ষুদ্র জেলে প্রতিনিধি ও সাংবাদিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
কোস্ট ফাউন্ডেশনের রাজিব ঘোষ ও মনিরুজ্জামানের সঞ্চাচলনায় সামাজিক নীরিক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম প্রান্তিক জেলেদের জীবনমান উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা ও বিভিন্ন সুপারিশ সমূহ উপস্থাপন করেন । তারমধ্যে শতভাগ জেলেকে সরকারি সেবার আওতায় আনতে স্থাণীয় চাহিদা’র অগ্রাধিকার বিবেচনায় বরাদ্দ বাড়ানো, ত্রুটিপূর্ণ তালিকার কারনে জেলে নয় এন ব্যক্তিরাও নিবন্ধনের আওতায় রয়েছে ও সরকারি সুবিধা গ্রহণ করছে আবার প্রকৃত জেলেরাও বাদ পড়েছে, তাই বর্তমান তালিকা পর্যালোচনাপূর্বক প্রয়োজনীয় পরিমার্জন ও পরিবর্তন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা, বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় মাছধরা নিষিদ্ধকালীন সময়ে ক্ষতিপূরণ হিসেবে মাসিক ভাতা হিসেবে নুন্যতম প্রতি জেলে পরিবারের জন্য ৮০০০ টাকা বরাদ্দ করা ইত্যাদি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জনাব মাহফুজুল হাসনাইন বলেন, আমরা চলতি বছর সকল জেলেকে চাল বরাদ্দ দিয়েছি। আমরা মাছধরা নিষিদ্ধকালীন সময়ে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ব্যাংক অনলাইনে ভাতা প্রদানের সুপারিশ করবো। চলতি মাসের মধ্যে প্রকৃত জেলেদের নিবন্ধনের সুযোগ দেয়া হবে। জনবল বৃদ্ধি করলে কার্যকর তদারকি সম্ভব হবে। উপজেলা মাসিক সভায় লজিক প্রকল্পের মাধ্যমে জীবন রক্ষাকারী উপকরণ বিতরণ বৃদ্ধির ও সুপারিশ করা হবে। আশা করছি আগামীদিনে সকলের প্রচেষ্ঠায় সরকারের সুরক্ষা সেবার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে জেলেদের শতভাগ সুরক্ষা সুবিধা নিশ্চিত করতে পারবো।
সভাপতির বক্তব্যে মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, সামাজিক নিরাপত্তা এই সেবার মান উন্নয়নে নীতিগত চর্চার বিষয় গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে স্থানীয় প্রতিবন্ধকতা সমূহ দূড় করতে নীতি নির্ধারনী, সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সুবিধা গ্রহণকারী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের কার্যকর অংশগ্রহণ ও সম্মিলিত প্রচেষ্টা অতীব জরুরী।