ভোলা প্রতিনিধি॥ ভোলা ও বরিশাল সীমান্তে মহিষমারীচর দখল নিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশসহ ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১২ জনকে আটক করেছেন। বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেলে ভোলা সদর ভেদুরিয়া ইউনিয়নের চর চটকিমারা ও বরিশালের মেহেদীগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (১০ জুন) দুপুরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ওই ঘটনায় জড়িদ থাকার অভিযোগে ১২ জনকে করা হয়। এর আগে, বৃহস্পতিবার (৯ জুন) রাতে চর চটকিমারা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ইনজামাম হোসেন বাদী হয়ে ভোলা সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪৫-৫০ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন। চর চটকিমারা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ইনজামাম হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার চর দখল নিয়ে ভোলা এবং বরিশালের দুই গ্রামবাসী মুখোমুখি অবস্থান করছিল। খবর পেয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে তারা পুলিশের উপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ ফাঁকা গুলি চালায়। এতে পুলিশসহ ২০ জন আহত হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। উল্লেখ্য, গত তিন মাস ধরে ভোলা ও বরিশাল সীমান্তে চর দখল নিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে আসছে। এ নিয়ে একাধিকবার সংর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। ভোলা সদর থানার ওসি এনায়েত হোসেন বলেন, শ্রীপুর এবং ভেদুরিয়ার মধ্যবর্তী অঞ্চলে একটি ব্রিজ রয়েছে। ব্রিজের দুই প্রান্তের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দুই জেলার বাসিন্দাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।
এ নিয়ে আদালতে মামলাও চলছে। কিন্তু বিরোধপূর্ণ জমিতে বালু ভরাট করে ঘর নির্মাণ করছিলেন শ্রীপুরের রুবেল কাজী। এতে বাধা দেয় ভেদুরিয়ার বাসিন্দারা। গতকাল রুবেল কাজী স্থানীয় অসংখ্য নারী-পুরুষ নিয়ে বিরোধপূর্ণ জমি দখল করতে যাচ্ছিলেন। এ সময় সীমান্তে দায়িত্বে থাকা বরিশাল এবং ভোলা জেলা পুলিশের সদস্যরা তাদের বাধা দিলে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শর্টগান থেকে ২৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। দুই পক্ষের ছোড়া ইটের আঘাতে পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছেন।