জবি প্রতিনিধি।
মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) ও তার পরিবারকে নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতার অবমাননাকর বক্তব্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১০ জুন) পবিত্র জুমার নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠাল তলা থেকে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে এ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। এসময় শিক্ষার্থীরা ভারতে মহানবী (সাঃ) ও হজরত আয়েশা (রাঃ) কে নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্যের প্রতিবাদে অবিলম্বে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা প্রস্তাব আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, মহানবী (সাঃ) কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করে বিজেপির দুই নেতা বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমানের হৃদয়ে আঘাত করছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার স্বার্থে ভারতের ইসলাম বিদ্বেষী কুলাঙ্গারদের অবিলম্বে গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ১২তম আবর্তনের শিক্ষার্থী বেল্লাল খান বলেন, ভারতীয় দুই কুলাঙ্গারের এরকম বক্তব্যে আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। সারা বিশ্বের মুসলিম সমাজ এক হয়ে আমরা এই কুলাঙ্গার দুই নেতার ধর্মীও শান্তি বিনষ্টের দায়ে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।
একটি বিশেষ উদ্দেশ্য হাসিল করতে এ ধরণের ধর্মীয় অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক হিস্ট্রি বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল কাদের। তিনি বলেন, বিজেপি নেতাদের বক্তব্য ভারতীয় উপমহাদেশ সহ গোটা বিশ্বের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের একটি পায়তারা। আমরা মুসলিম বিশ্ব এক বিন্দু রক্ত থাকতে তা মেনে নিব না।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ১৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থী নাসিম বিল্লাহ্ বলেন, ভারতের বিজেপির দুই নেতা যে জঘন্যতম কাজ করেছে তার প্রতিবাদ করেছি, ভবিষ্যতে আরও করব। পণ্য বয়কট হোক আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাড়া তুলে হোক, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত রাখব।
উল্লেখ্য, ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সাবেক মুখপাত্র নুপুর শর্মা এক টেলিভিশন শো-তে অংশ নিয়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। পরে দলটির নয়াদিল্লি শাখার গণমাধ্যম প্রধান নবীন জিন্দালও নুপুর শর্মার মন্তব্যের সমর্থনে টুইট করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বিশ্বের অনেক মুসলিম দেশ প্রতিবাদ জানিয়েছেন।