মোঃরনি মল্লিক বরগুনা জেলা প্রতিনিধিঃ
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ বরগুনা আমতলী উপজেলার উঃ পূর্ব টেপুরা বাজার মদীনা জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব কারী রবিউল ইসলাম সানাউল্লাহর হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
আজ (১০ জুন) শুক্রবার বেলা ১১ ঘটিকায় হলদিয়া অফিস বাজারে আমতলী ইমাম কল্যাণ ফাউন্ডেশনের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে এলাকার বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ অংশগ্রহন করেন।
ইমাম কল্যাণ ফাউন্ডেশন আমতলী উপজেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা মোঃ দেলোয়ার হোসাইনের সভাপত্বিতে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন হলদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক, উপজেলা ইমাম কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোঃ আব্দুল আউয়াল, অর্থ সম্পাদক মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মাওলানা মোঃ আবুবকর জসিম, মাওলানা মোঃ মাহবুবুর রহমান, নিহত ইমামের পিতা মোঃ হেলাল হাওলাদার প্রমুখ।
জানা গেছে, গত (২০ মে) শুক্রবার দুপুরে আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের টেপুরা বাজার সংলগ্ন জামে মসজিদের ইমাম মো. রবিউল ইসলাম (১৮) গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
হলদিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড জুলেখার স্লুইজগেট এলাকার বাসিন্দা মো. হেলাল হাওলাদারের ছেলে মো. রবিউল ইসলাম। একই ইউনিয়নের টেপুরা বাজার সংলগ্ন জামে মসজিদে ইমামতি করেন। মসজিদের কাছাকাছি ওই বাজারে জনৈক মোজাম্মেল মাতুব্বরের ঘরের একটি রুমে সে থাকতো। শুক্রবার দুপুরে মসজিদে জুমার নামাজের আজান না দেওয়ায় ওই মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আ: বারেক তাকে খুজতে তার রুমে যায়। টিনের বেড়ার ফাঁক দিয়ে উকি দিয়ে ইমাম রবিউল ইসলামকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঘরের আড়ার সাথে ঝুলতে দেখেন। পরে আমতলী থানায় সংবাদ দিলে দুপুর ২টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে রুমের দরজা ভেঙে ইমাম রবিউল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। আমতলী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করার পরে মরদেহের ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরণ করেন।
সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে যে, লাশের পায়ে এবং হাতে রক্ত পরিলক্ষিত হয়, মল দ্বারে মল এবং পুরুষঙ্গে বীর্য পরিলক্ষিত হয়। সুরতহালে আরো উল্লেখ রয়েছে যৌনাঙ্গের বিচীর নিম্ন ভাগে জখমের চিহ্ন রয়েছে।
স্বজনদের দাবি, রবিউল ইসলাম সানাউল্লাহকে হত্যা করে তার লাশ ঘরের আরার সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ওই ঘটনার বিচার চেয়ে নিহত ইমামের পিতা মো. হেলাল হাওলাদার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করে। এরপর গত ৬ জুন নিহত ইমামের পিতা বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।