রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) সংবাদদাতাঃ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের জয়দেবপুর গ্রামের অনেক জাগায়ই দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াতের জন্য খাল পার হচ্ছে এলাকাবাসী বাঁশের শাকু বা বাঁশ-কাঠ দিয়ে নির্মত ব্রীজ। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় জয়দেবপুর পূর্ব বাড়ি সংলগ্ন রাস্তার মাথা নামক স্থানে খালের উপর দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের শাকু দিয়ে প্রতিদিন পার হচ্ছে স্কুল মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী জয়দেবপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মুসল্লীসহ হাজার হাজার লোকজন এয়াড়াও জয়দেবপুর দোয়া বাড়ি সংলগ্ন খালের উপর দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের কাঠ দিয়ে নির্মত ব্রীজ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার লোক যাতায়াত করছে।
অথচ গত কয়েকবছর থেকে কয়েকটি ব্রীজ নির্মত হচ্ছে যাহা জনস্বার্থ বিবেচনানা করেই ব্যাক্তি বা পারিবারিক স্বাথে নির্মত হয়েছে। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২ইং) সকালে সরজমিনে গেলে দেখাযায়, দক্ষিণ জয়দেবপুর জনগণের যাতায়াত শূন্য এলাকায় এশটি ব্রীজের কাজশুরু হয়েছে।
ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যব¯হাপনা অধিদপ্তরের প্রায় ২৯ লাখ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দে কাজটি শুরু করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সায়মা ট্রেডার্স। অথচয়তার ৫০ ফুটপূর্ব পাশে রয়েছে আরকটি ব্রীজ। বর্তমানে শুরু হওয়া ব্রীজের ১৫০ থেকে ২০০ ফুটপূর্ব দিকে গত ২০১৭/১৮ অর্থ বছরে প্রায় ২৬ লাখটাকা ব্যয়ে আরো এশটি ব্রীজ নির্মত হয়েছে। যে ব্রীজটি শুধু মাত্র নির্মান করা হয়েছে একজন ব্যাক্তির পরিত্যক্ত বাড়িতে আসা যাওয়া জন্য। অথচয় এর একটুপূর্ব পাশে অবস্থিত এশটি বাঁশের শাকু দিয়ে প্রতিদিন স্কুল মাদ্রাসার ছাত্র- ছাত্রীসহ হাজার হাজার লোকজন যাতায়েত করছে। সেই ব্রীজটি না করে একেরপর এক ব্যাক্তি স্বার্থে ব্রীজ নির্মত হচ্ছে। অনেকে ইধারণা করে বলছে যে, যার জন্য ব্রীজ নির্মিত হচ্ছে তাকে এসমস্ত ব্রীজ করার জন্য বহু টাকা দিতে হয়েছে। এব্যাপারে ¯হানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ সামছুল আলম বুলবুল বলেন, আমি চলিত মাসের ৩ তারিখে দায়িত্ব বুঝে নিয়েছি আমার দায়িত্ব নেওয়ার আগেই এই ব্রীজ অনুমোদন হয়েছে।
তবে কিভাবে তারা জনগণের যাতায়াত বিহীন এলাকায় ব্রীজ অনুমোদন দেয় তাহা আমার বোধগম্য নহে। অথচয় এর একটুপূর্ব পাশে এশটি ঝুকিপূর্ণ শাকু দিয়ে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার লোকজন চলাচল করছে। সেখানে ব্রীজের অনুমোদননা দিয়ে বিপুল অংকের টাকার বিনিময়ে এক ব্যাক্তি স্বার্থে জনশূন্য এলাকায় ব্রীজটি কাজ শুরুকরে। উপজেলাপ্রকৌশলী মোঃ জুয়েল রানা বলেন, আমরা দেখেশুনেই অনুমোদন দিয়েছি তারপর ও আপনি আমার স্যারের সাথে কথা বলুন। উপজেলাপি আইও কর্মকর্তা দিলিপ দে বলেন, ¯হানীয় প্রতিনিধিদের চাহিদার পেক্ষিতে উক্ত প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।