মোঃ সনজব আলী হবিগঞ্জ জেলা স্টাফ রিপোর্টার। হবিগঞ্জ শহরের মেইনরোডে চন্দ্রনাথ পুকুর পাড়ের মার্কেটের চারটি দোকানে গত ৬ই জুন সোমবার গভীর রাতে দুর্ধষ চুরি সংঘটিত হয়েছে।
খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশের একটি টিম পরিদর্শন করেছেন ।
চন্দ্রনাথ পুকুর পাড়ের মার্কেটের চারটি দোকান হচ্ছে, বিছমিল্লাহ ইলেকট্রনিক্স, নিউ উর্মি ইলেক্ট্রনিক্স, আমেনা ফ্যাশন, তানজিলা ভেরাইটিজ স্টোর।
নিউ উর্মি ইলেক্ট্রনিক্স এর মালিক শাকিল মিয়া জানান, আমার দোকানের পিছনের দরজাটি রড দিয়ে ভেঙ্গে প্রবেশ করে এবং বিকাশের টাকাসহ, ডিজিটাল ক্যামেরা, কয়েকটি টেবিল ফ্যান, ফ্যানের মটর, তাঁরের বান্ডিল নিয়ে যায়।
আমেনা ফ্যাশনের মালিক রহিম জানান, গত রবিবারের আমার পাশের দোকানে তানজিলা স্টোরে চুরি হয়েছে, ঐ চুরই আমাদের দোকানে চুরি করতে পারে, আমার দোকানের উপরের টিন ভেঙ্গে প্রবেশ করে কয়েকটি জিন্সের প্যান্ট নিয়ে যায় এবং কাপড় এলোমেলো তরে রেখে যায়।
তানজিলা স্টোরের মালিক জানান, আমাদের দোকান থেকে নেওয়ার কিছু নাই, ক্যাশ বাক্সের সাইডের টিন কেটে প্রবেশ করে গত রবিবারেও ডুকে নগদ কিছু টাকা নিয়ে গেছে।
বিছমিল্লাহ স্টোরের মালিক ওয়াসিম খান জানান, আমার দোকানের পিছনের দরজা ভাঙ্গতে গিয়ে দেয়াল ভেঙ্গে ডুকুছে, চুরেরা তাঁরের বান্ডিল, টেবিল ফ্যান নিয়ে গেছে। তিনি আরো জানান, এরকম ঘটনা প্রায়ই ঘটে, রাতের টহল বাড়ানোর দাবী জানাই।
কাপড় ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান আরিফ জানান, চুরেরা আরামে বসে চুরি করেছে, তারা কলা, কেক, সিগারেট খেয়ে চুরি করে আরামে চলে গেছে এসব খাওয়ার চিহ্ন আমরা পেয়েছি, যদি পুলিশের নিয়মিত, জোড়ালো টহল থাকতো, তাহলে মেইন রোডে এরকম সাহস করত না।
চন্দ্রনাথ পুকুরপাড় মার্কেট মালিক সমিতির সদস্য শাহ জালাল উদ্দিন জুয়েল বলেন, আমাদের মার্কেটের সবাই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী চুরেরা ক্যাশ টাকা চুরির করার উদ্দেশ্যে আসে এবং যারা আসে তারা আগে থেকে খবর নিয়ে আসে। প্রশাসন রাতে টহল দিলে এবং গোয়েন্দা তত্পরতা বাড়ালে এসব চুরি বন্ধ করা যাবে এবং তাদের গ্রেফতার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবী জানাই।
চন্দ্রনাথ পুকুরপাড় মার্কেট মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মুখলেছুর রহমান বলেন, হবিগঞ্জ শহরের মেইন রোড এবং সদর থানার পাশেই এই মার্কেট সদর থানার টহল জোড়ালো থাকলে এরকম চুরি সংঘটিত হত না, আমি প্রশাসনের কাছে জোড়ালো দাবী জানাই, আমাদেরকে সুন্দরভাবে ব্যবসা করার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হোক এবং এসব চুরদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হোক।