আলিফ বিন রেজা, সিংড়া উপজেলা প্রতিনিধিঃ
চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নাটোরের সিংড়া পৌরসভার কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ জুন) বিকেলে সিংড়া থানার পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক কর্মকর্তা মইনুল হকের মা রাহেলা বেগমের দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মিজানুর রহমান সিংড়া পৌরসভার উত্তর দমদমা সর্দারপাড়ার মুক্তাদুর রহমানের ছেলে ও সিংড়া পৌরসভার ২নং প্যানেল মেয়র। তার স্ত্রীর দাবি, মামলার বাদির চিকিৎসক ছেলের একটি অনৈতিক ঘটনার শালিস করার কারণে তার স্বামীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
সিংড়া থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক কর্মকর্তা মইনুল হকের মা রাহেলা বেগম বাদি হয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে কাউন্সিলর মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে সিংড়া আমলী আদালতে মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মামলাটি তদন্ত করে। তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা আছে বলে প্রতিবেদন দেন তদন্ত কর্মকর্তা। প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবু সাঈদ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা দেন। পরে সিংড়া থানার পুলিশ কাউন্সিলর মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। আসামি পক্ষের আইনজীবী জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন এবং আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে মিজানুর রহমানের স্ত্রী নিলুফা বেগমের দাবি, ২০২০ সালে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক কর্মকর্তা মইনুল হক ও এক নারীকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করেন স্থানীয় লোকজন। তখন কাউন্সিলর হিসেবে মিজানুর রহমান তাৎক্ষণিক শালিসী বৈঠক করে তাদের বিয়ে দিয়ে দেন। পরে ওই চিকিৎসক বিয়ে অস্বীকার করলে ওই নারী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণের মামলা করেন। এই মামলাটিও পিবিআই তদন্ত করে। তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা আছে বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। এই ঘটনার আক্রোশে মিজানুর রহমানকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, তার স্বামী সিংড়া পৌর আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তার রাজনৈতিক ও সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করার জন্যই তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর-এ-আলম সিদ্দিকী বলেন, আদালতের পরোয়ানা বলে কাউন্সিলর মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন আছে।