মোঃ আজিজার রহমান, জেলা প্রতিনিধি দিনাজপুরঃ দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় উপজেলা পরিষদের উপ- নির্বাচন। চেয়ারম্যান পদে চার জনের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। এর মধ্যে আলোচনায় রয়েছে তিন জন। চার প্রার্থী হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সহিদুজ্জামান শাহ আনারস প্রতীক, দিনাজপুর জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য শরিফুল ইসলাম প্রধান, মোটরসাইকেল প্রতীক, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মোহাম্মদ আব্বাস আরেফীন হেলিকপ্টার প্রতীক ।
উলেখ্য যে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি উপজেলা চেয়ারম্যান আবু হাতেম কিডনি জনিত কারণে ইন্তকাল করেন। উনার মৃত্যুতে পদটি শুন্য হয়ে যায়। পরবর্তীতে দায়িত্ব পান উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যান-১ এটিএম সুজা উদ্দীন লুহিন শাহ।
জানা যায়, খানসামা উপজেলা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে চার জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা প্রদান করেছিলেন। উনারা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন, প্রয়াত উপজেলা চেয়ারম্যান আবু হাতেমের পুত্র প্রভাষক আনোয়ার হোসেন রানা, দিনাজপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ রফিকুল ইসলাম ও আঙ্গারপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ধীমান দাস। মনোনয়ন বোর্ড তাদের মধ্য থেকে সফিউল আযম চৌধুরী লায়নকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চুড়ান্ত করে। সহিদুজ্জামান শাহ রাজনীতি শুরু থেকে বিএনপি করলেও তিনি গত জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। শরিফুল প্রধানকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন, সাবেক সাংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান মিয়া। আব্বাস আরেফীন বিএনপি-জামায়াত এর সমর্থক বলেও অনেকে মনে করেন।
এলাকাবাসী বলছেন, যদিও চার প্রার্থী কিন্তু হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে তিন প্রার্থীর। লড়াইমুখী প্রার্থী হলেন- লায়ন চৌধুরী, সহিদুজ্জামান শাহ ও শরিফুল প্রধান। আরেক প্রার্থী আব্বাস আরেফীনের কথা বললে উনারা বলেন, উনি সব নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। যার ফলে উনার গুরুত্ব নেই বললেই চলে।
গত ২৫ এপ্রিল উপ-নিরবাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী, ভোট গ্রহন হবে আগামী ১৫ জুন। ব্যালট পেপারের মাধ্যমে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে বলে জানান খানসামা উপজেলা নিরবাচন কর্মকর্তা মোঃ জিকরুল হক।
এর আগে গত ২২ মে প্রার্থীগণের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে সকল প্রার্থীগণ চলবেন এটাই প্রত্যাশা। জেলা পুলিশ সুপার বলেন, ভোট কেন্দ্রে ভোটারগণ যেন সুন্দরভাবে ভোট দিতে পারে সেই লক্ষ্যেই কাজ করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরবদা প্রস্তুত আছি। জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার বলেন, ভোট অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।