প্রিন্ট এর তারিখঃ সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৪, ১১:০৭ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ৬, ২০২২, ৪:৩২ পি.এম
শতভাগ বিদ্যুতায়িত সোনাগাজীতে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন
সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি।
শতভাগ বিদ্যুতায়িত সোনাগাজী উপজেলায় লোডশেডিংয়ের কবলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। দিনে ১০/১২ বার বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করায় লোডশেডিং বিপাকে পড়েছেন আসন্ন এসএসসি পরিক্ষার্থীরা। এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চান ব্যবসায়ি, পরিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ।
বিদ্যুৎ সমস্যায় নিয়মিত কাজকর্মের ব্যাঘাত ঘটায় উপজেলার ব্যবসায়ি ও শিক্ষার্থীরা ক্ষুদ্ধ রয়েছেন। চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন উপজেলার খামারী ও ফটোসপসহ সকল ব্যবসায়িরা। এদিকে ১৯ জুন থেকে শুরু হচ্ছে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষা। বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে অতিষ্ট শিক্ষার্থীরা। লোডশেডিংয়ের ফলে ভালো ভাবে পড়ালেখা করতে না পেরে চিন্তিত শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, গত কয়েকদিনের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে কবলে পড়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সোনাগাজীর জনজীবন। ২৪ ঘন্টায় ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছেনা। এভাবে নিয়মিত দিনে ১০/১২ বার পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে। এরমধ্যে পূর্ব থেকে ঘোষণা না দিয়ে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে পুরো উপজেলায় ৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ ছিলো না। কিন্তু উপজেলার কোথাও বিদ্যৎ না থাকলেও ২ ঘণ্টার ব্যবধানে সোনাগাজী পৌরসভায় সরবরাহ সচল ছিলো।
এই নিয়ে অন্যান্য ইউনিয়নের জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এবিষয়ে সোনাগাজী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের এজিএম (কম) দেলোয়ার হোসেন বলেন, গত বৃহস্পতিবার গ্রিডের ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে যাওয়ায় তার জন্য দীর্ঘসময় ধরে পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিলো না। এখন ঝড়-বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী সমস্যা তৈরি হয় দিনে কয়েকবার। পরে খবর পেলে দ্রুত সময়ে লাইন সচল করা হয়।
উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির তথ্য মতে, উপজেলার প্রায় ৭৭ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছে। গ্রহকদের মাঝে বিদ্যুত সরবরাহের জন্য ৩টি সাব-স্টেশন চালু রয়েছে। এর মধ্যে সোনাগাজীতে নতুন আরেকটি সাব-স্টেশন উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। ৩৩ কেভি গ্রিড লাইন থেকে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে উপজেলা জুড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা এসএসসি পরিক্ষার্থী আরাফাত বলেন, আসছে ১৯ জুন থেকে আমাদের এসএসসি পরিক্ষা শুরু হচ্ছে। দিনে ১০ থেকে ১২ বারের উপরে লোডশেডিং এর কারণে শেষ সময়ে সবগুলো বই ভালো ভাবে রিভিশন দিতে পারছি না। দিনের আলোতে পড়া গেলেও রাতে লোডশেডিং হলে পড়তে খুব কষ্ট হয়। চোখের সমস্যা থাকায় মোমবাতির আলোয় পড়তে গেলে চোখ ব্যথা করে। দ্রুত চোখে ঘুম চলে আসে। এছাড়া তো ভাপসা-গরমের ক্লান্তিতো আছে।
উপজেলার মতিগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ি মোঃ রুবেল বলেন, বিদ্যুতের ঘন ঘন যাওয়া-আসা এখন বেড়ে গেছে যার ফলে দোকানদারি করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। ফটোকপি, ছবি প্রিন্ট করা ও অনলাইনে চাকুরির আবেদনের কাজ পুরো শেষ করার আগেই বিদ্যুৎ হঠাৎ চলে যায়। আবার কখন আসে তাও ঠিক নেই। রুবেলের মতো উপজেলা অনেক ব্যবসায়ি একই অভিযোগ করে।
সোনাগাজী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম প্রকৌশলী সনদ কুমার ঘোষ জানান, গত বৃহস্পতিবার ফেনী গ্রিডের ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে গিয়েছিল তার জন্য দীর্ঘসময় ধরে বিদ্যুৎ ছিলো না। পূর্ববর্তীতে বারোইয়ারহাট গ্রিড থেকে নিয়ে বিদ্যুৎ সচল করা হলেও আবার হঠাৎ লাইনে লোড বেশি হওয়ায় লোডশেডিং ছিলো। গত শনিবার ফেনী গ্রিডের সমস্যা সমাধান হওয়ায় ৩৩ কেভি লাইন থেকে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ গোলাম মাওলা শাওন ০১৭১১-০০৬২১৪, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক 01762119992, প্রধান কার্যালয় ৩৪ নুরজাহান শরীফ প্লাজা ৮ম তলা, পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০। ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০ নিউজ ই-মেইল [email protected] সিভি পাঠান: [email protected]
দৈনিক বাংলার আলো নিউজ জিএমএস বাংলার আলো গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান।