ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় স্বদেশ দাস নামের এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মারধরের চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলেকেও মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বদেশ দাস শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সুজিত চন্দ্র দাসসহ ছয় জনের নামে ধর্মপাশা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। গত শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের সুখাইড় বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বদেশ দাসের ছেলে প্রজেশ দাস পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। একই গ্রামের সুজিত চন্দ্র দাস সুখাইড় বাজারে একটি ঘরের কাজের জন্য প্রজেশকে বলেন। প্রজেশ সুজিতের ঘরের কাজ শেষে হিসাব নিকাশ করে দেখেন সুজিতের কাছে সাত হাজার টাকা পাওনা রয়েছে। এই সাত হাজার টাকাসহ সুজিতের নিকট প্রজেশের মোট ৩৯ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে। কিছুদিন আগে প্রজেশ পাওনা টাকা চাইলে সুজিত সাত দিনের সময় নেয়। কিন্তু সাত দিন পেরিয়ে গেলেও সুজিত টাকা পরিশোধ না করে সময় ক্ষেপন করতে থাকে।
গত শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে প্রজেশ সুখাইড় বাজারে সুজিতকে পেয়ে আবারও পাওনা টাকার জন্য তাগিদ দেয়। এতে সুজিত উত্তেজিত হয়ে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং প্রজেশকে হুমকি দেয়। প্রজেশ প্রতিবাদ করলে সুজিত ও তার লোকজন প্রজেশকে মারধর করে। খবর পেয়ে প্রজেশের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বদেশ দাস ঘটনাস্থলে এলে সুজিত ও তার লোকজন তঁাকেও (মুক্তিযোদ্ধা) মারধরের চেষ্টা করে। কিন্তু উপস্থিত জনতা এতে বাধা দিলে প্রাণে বাঁচেন মুক্তিযোদ্ধা।
অভিযুক্ত সুজিত চন্দ্র দাস বলেন, ‘উনার (মুক্তিযোদ্ধা) ছেলের সাথে তর্ক বিতর্ক হয়েছে। উনার (মুক্তিদ্ধো) সাথে কোনো ঝামেলা নাই। আমার কাছে তারা কোনো টাকা পায়না। মারধরে অভিযোগ সত্য নয়।
ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।