শাকিল আহম্মেদ, সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি:
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে কবর সু-রক্ষার বেড়া ভাংচুর ও কবরের পেটানো নিয়ে দু-পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের বিলবালিয়া ধোপাদহ নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
পরে শুক্রবার রাতে এনামুল হক বাদি হয়ে ইদ্রিস আলী ফকিরকে প্রধান আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। কবরের সাথে এমন ঘটনায় এলাকার মানুষের মাঝে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় ও মামলা সুত্রে জানা, সরিষাবাড়ী উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের বিলবালিয়া (ধোপাদহ) গ্রামের মৃত সাইফুল ইসলামের ছেলে এনামুল হকের সাথে ১০ শতাংশ জমি নিয়ে প্রতিবেশি আব্দুল খালেকের ছেলে মিজানুর রহমানের বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে আগেও কয়েকটি মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। ২০০৯ সালে সাইফুল ইসলাম বিলবালিয়া (ধাপাদহ) নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা’র এবং কবরস্থান নামে ১০ শতাংশ জমি দান করেন। ২০১২সালে সাইফুল ইসলাম মৃত্যুর পর মাদ্রাসার কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
ওই মাদ্রাসার দান করা ১০ শতক জমি আব্দুল খালেকের ছেলে মিজানুর রহমান দাবী করে। বৃহস্পতিবার রাতে মিজানুর রহমানের নেতৃতে কামাল ফকির ও ইদ্রিস ফকির মরহুম সাইফুল ইসলামের কবরে গিয়ে কাঠের বেড়া ভাংচুর ও কবরের উপর লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকে এবং অবশেষে কবরে পস্রাব করে দেয়। এ ঘটনার পর খবর পেয়ে মরহুম সাইফুল ইসলামের ছেলে এনামুল হকসহ পরিবারের সদস্যরা ঘটনা স্থলে গিয়ে এর প্রতিবাদ জানালে মিজানুর রহমানসহ লোকজনের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে সংর্ঘষ বাঁধে। সংর্ঘষে এনামুল হক (৩৭), আবু সাঈদ (২৭), রাশেদুল ইসলাম (২৮), ও মিজানুর রহমান আহত হয়। গুরুতর আহতদের সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
প্রতিপক্ষ মিজানুর রহমান কবরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। কবরে ভাংচুর ,পিটানো হয়নি বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার (ওসি) মীর রকিবুল হক জানান, কবর ভাংচুর একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।