মোঃ অপু খান চৌধুরী।।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মকিমপুর আবদুল মতিন খসরু উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শনিবার দুপুরে বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ রক্ষায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অবিভাবকদের এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জানা যায়, মকিমপুর আবদুল মতিন খসরু উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৯৭ সালে প্রয়াত সাবেক সফল আইন মন্ত্রী এড. আবদুল মতিন খসরু এমপি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। এ বিদ্যালয়টি ব্রাহ্মণপাড়া, মুরাদনগর, নবীনগর ও কসবা এ চার উপজেলার মাঝামাঝি বিলের পারে হওয়ায় অনেক সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থী লেখাপড়ার সুযোগ পেয়েছে।
শিক্ষার্থীদের লেখা পড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার সুবিধার্থে সাবেক সফল আইনমন্ত্রী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর আংশিক জায়গা ক্রয় করে ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় মকিমপুর মৌজায় ১ নং খাস খতিয়ানে ৫০২ দাগে ৩ একর জায়গায় মাটি ভরাট করে একটি পূর্ণাঙ্গ মাঠ তৈরি করেন।
এ ছাড়াও এ বিদ্যালয়ে ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী এবং আশেপাশে কয়েক গ্রামের ছেলে- মেয়েরা নিয়মিত খেলাধুলা করে থাকে এ মাঠে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এডভোকেট আবু ইব্রাহিম এ প্রতিনিধিকে বলেন, গত ৯ মার্চ উপজেলা প্রশাসন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্প করার জন্য বিদ্যালয়ের খেলার মাঠটি ছেড়ে দিতে বলেন। আমি প্রশাসনকে অনুরোধ করে বলেছি, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের পক্ষে অবশ্যই আমরা আছি এবং থাকব, তবে শিক্ষার পরিবেশ ও এলাকার শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার স্বার্থে মাঠটি বাদ দিয়ে এর পাশে খাস খতিয়ানে আশ্রায়ন প্রকল্প করার অনেক সুযোগ রয়েছে। মাঠটি সুরক্ষার জন্য ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন জানিয়েছেন স্কুলের সভাপতি।
ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মকিমপুর আবদুল মতিন খসরু উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি এডভোকেট আবু ইব্রাহিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক উপজেলা শিক্ষা অফিসার সিরাজুল ইসলাম খন্দকার, অভিভাবক সদস্য মোঃ নেয়ামুল হোসাইন, মোঃ নুরুজ্জামান ভূইয়া, মোঃ মানিক মিয়া, জহিরুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা মানিক, মোঃ শফিকুল রহমান, সুভাষ পাল, ডাঃ হরেন্দ্র চন্দ্র দাস, আবদুল আজিজ মুন্সি, জাহিদ হাছান, সাইফুল ইসলাম প্রমূখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, লেখা-পড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম, খেলার মাঠ না থাকলে মানষিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়বে আগামী প্রজন্ম। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকেও সুরক্ষিত রাখতে হবে।
তাই প্রশাসনের নিকট তারা দাবি করেন, মাঠ ছেড়ে দিয়ে বিকল্প জায়গায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ন প্রকল্প যেন তৈরি করা হয়। এলাকাবাসী এ ব্যাপারে প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগিতা করবে বলে তারা জানান।