ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জায়গা বিক্রীর নামে ৩০ লাখ টাকা প্রতারণা করে হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে শহরের মুন্সেফ পাড়া এলাকার ৩ জনের বিরুদ্ধে। বিপুল পরিমান অর্থ হারিয়ে আর মানসিক নির্যাতনে ইতিমধ্যে ব্রেইন স্ট্রোক করে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে মূমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন শহরের মৌড়াইল মহল্লার বাসিন্দা ভূক্তভোগী সামসুল হুদা সরকার।
এ ঘটনায় ভূক্তভোগীর স্ত্রী পাপিয়া আক্তার সদর মডেল থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্তরা হলেন শহরের মুন্সেফ পাড়া এলাকার মৃত এ. কে. এম মিজানুর রহমানের মেয়ে সোহেলী রহমান ওরফে লিরা রহমান (৪৫), শায়লা রহমান প্রকাশ লিজা রহমান (৪২) ও শাকিলা রহমান প্রকাশ লরা রহমান (৪০)।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, অভিযুক্তরা সকলেই আপন বোন। তারা ২০২১ সালের ১২ অক্টোবর মৌড়াইল এলাকার বাসিন্দা সামসুল হুদা সরকারের কাছে মুন্সেফ পাড়া বাড়ির ভিটি ভূমি বিক্রীর প্রস্তাব করে। পরে সামসুল হুদা তাদের সাথে দরদাম করে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে ৩ বোনকে ৩০ লাখ টাকা দেয়। তারা ৩ জন ঈদের পর জায়গা দলিল করে দেবে বলে জানান। তাদের কথা মত সামসুল হুদা দীর্ঘদিন অপেক্ষা করলেও অভিযুক্তরা দলিল করে দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন অজুহাতে সময় ক্ষেপন করতে থাকে।
এরপর পরস্পর যোগসাজশে গভীর ষড়যন্ত্র করে সামসুল হুদার কেনা জায়গাটি অন্যত্র বিক্রী করে ফেলে এবং সামসুল হুদাকে বিভিন্ন ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। এরই মধ্যে ভূক্তভোগী সামসুল হুদার তার উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। এর পরপরই চলতি বছরের ২৭ মে রাতে মোড়াইলস্থ বাসায় ব্রেইন স্ট্রোক করে। পরে তাকে বাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয় হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। বর্তমানে তিনি মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
ভূক্তভোগী সামসুল হুদার স্ত্রী পাপিয়া আক্তার জানান, আমার স্বামীকে তারা মানসিক নির্যাতন করায় তিনি মৃত্যুর পথ যাত্রী। তাকে অত্যাচার করায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এক দল বখাটে প্রতিনিয়তই আমাকে হুমকী দিয়ে আসছে। আমি এর বিচার চাই। আমরা জমির জন্য টাকা দিয়েছি। আমি আমার জায়গা ফেরত চাই।
ভূক্তভোগী নানা আলী হায়দর জানান, এরা জায়গা মামুন গংদের কাছে জায়গা বিক্রী করেছে। আমার মধ্যেমেই কথা বার্তা হয়েছে। টাকা ও প্রদান করেছি। এখন টাকা নিয়ে তারা চিটিং করছে। জায়গার ক্রেতা আল মামুন সরকার বলেন, আমার চাচাতো বোনের সাথে জায়গার ক্রয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। জায়গাটি নিয়ে মামলা ছিল। মামলা নিষ্পিত্তির পর জায়গা আমার কাছে বিক্রির চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।
আমি টাকা ও প্রদান করেছি। ব্যাংকের মাধ্যেমে আমি প্রথম টাকা শায়লা রহমানের একাউন্টে টাকা জমা দেই। যেহেতু এই জায়গার টাকা আমি দিয়েছি। সেহেতু বর্তমান মার্লিক মামুন গং। এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ এমরানুল ইসলাম জানান, পুরো ঘটনাটি পুলিশ তদন্ত করছে।