রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) সংবাদদাতাঃ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে সড়ক ও জনপদের সম্পত্তি দখল ও পাকা ভবন নির্মাণ করে কাউন্সিলর কার্যালয় করেছে ছাত্রলীগের সভাপতি ও পৌর সোনাপুর ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল হাসান ফয়সাল মাল। রামগঞ্জ-হাজিগন্ধসঢ়;জ সড়কের সোনাপুর চৌরাস্তা এলাকায় সরকারি জমি জবরদখল করে ভবন নির্মাণ করে একাংশ কাউন্সিলর কার্যালয় এবং অপর অংশ আল-আরাফা বাস কাউন্টার নামে ভাড়া দেয় ফয়সাল মাল।
২জুন (বৃহস্পতিবার) বিকালে ঘটনাস্থলে গেলে, উপজেলা সড়ক ও জনপদ অফিসের ৫০ গজ দক্ষিণে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলরের দখলকৃত সেই ভবনের একপাশে পৌর কাউন্সিলর ফয়সাল মাল এর ব্যাক্তিগত কার্যালয় ও অপর পাশে আল- আরাফাহ পরিবহনের টিকিট কাউন্টার দেখা যায়। কাউন্সিলর ও ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল মালের দেখাদেখি সড়কের অন্য খালি জায়গাগুলিও দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে প্রভাবশালী একটি চক্র। তুলেছেন আরো বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
এব্যাপারে রামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী (অঃ দঃ) মোঃ মোজাম্মেল হকের কার্যালয়ে গেলে পিয়ন শাহাজাহানকে ছাড়া কাউকে পাওয়া যায়নি। এসময় পিয়ন শাহাজাহান জানিয়েছেন একমাস থেকে মোজাম্মেল স্যারের নির্দেশে অবৈধ স্থাপনা ও নবনির্মিত দোকান ঘর এবং ব্যক্তিগত কার্যালয় সরিয়ে নেওয়ার জন্য বেশ কয়েকবার মাইকিং করেছেন। এ ব্যাপারে দখলকারী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী লেদু মিয়া ও মাহফুজ জানান, এখানে অনেক আগ থেকেই দোকান বসিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছি। আমরা এখন সংস্কার করছি মাত্র। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও ১নং পৌর সোনাপুর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল হাসান ফয়সাল মাল জানান, সড়ক ও জনপথ কতৃপক্ষ যে কোন সময় চাইলেই আমি আমার কার্যালয় সরিয়ে নিবো।
এছাড়ার ৪লেনের সড়কের নির্মান কাজ শুরু হতে এখনো অনেক দেরী আছে। এছাড়াও এই কার্যালয়ের মাধ্যমে জনগনের জন্য সেবামূলক কাজ করা হবে। পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী বলেন, শুধু কাউন্সিলর নয়, অনুমতি ছাড়া সরকারি সম্পত্তি ভবন নির্মাণ করতে পারে না কেউ। সম্প্রতি জেলা মাসিক উন্নয়ন সভায় অবৈধ দখল উচ্ছেদের ব্যাপারে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে।
রামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী (অঃদঃ) মোঃ মোজাম্মেল হক জানান, আমি রামগঞ্জে অতিরিক্ত দায়িত্বে আছি। কাউন্সিলর ও ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল মাল এবং কিছু লোকজন সড়কের সম্পত্তি দখল করার বিষয় আমি শুনেছি। এরপর মাইকিং করে দিয়েছি ওই অবৈধ স্থাপনা সরাতে। তবে উপরের সুপারিশ থাকায় ছাত্রলীগ নেতার কার্যালয় ছাড়া খুব শীঘ্রই ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ করে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা।