ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইমারান হোসেন নবাবের নাম ভাঙ্গিয়ে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে নিজের বিশাল পুকুর পূনর্খননের কাজ করছেন ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলাম। এলক্ষে তিনি দুইমাস মেয়াদী চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন মধুখালীর ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমন শেখের সঙ্গে।
আর খননলদ্ধ বালু তারা মোটা অর্থের বিনিময়ে সরবরাহ করছেন এলাকার বিভিন্ন ব্যাক্তি ও পরিবারের ভরাট কাজে। ড্রেজার দিয়ে দীর্ঘ দিন ভূগর্ভ থেকে বালু উত্তোলনের ফলে আশপাশের কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হবার আশঙ্কায় সংশ্লিষ্ট জমির মালিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানাগেছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়,প্রায় এক সপ্তাহ ধরে রফিকুল ইসলামের পুকুরে ড্রেজার দিয়ে বালু তোলার কাজ চলছে। লম্বা পাইপ যোগে বালু নেয়া হচ্ছে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে খামারপাড়া গ্রামের আঃগাফফার শেখের পুকুরে।
তিনি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন নবাবের আপন বড় ভাই বলে জানাগেছে। পুকুর ভরাটে আঃ গাফফার ড্রেজার মালিকের সঙ্গে চার লক্ষ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন বলে জানায় সূত্রগুলো। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুকুর খননকারী রফিকুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যান নবাব সাহেবের সঙ্গে আলোচনা করেই পুকুরে ড্রেজার বসিয়েছি। বালুও যাচ্ছে তার ভাইয়ের পুকুরে। সব কিছুর দায়-দায়িত্ব চেয়ারম্যানের উপর।
গোটা খনন কাজ শেষ হতে মাস-দুয়েক লাগতে পারে বলে জানান রফিকুল ইসলাম। ড্রেজার মালিক সুমন শেখ বলেন, বর্তমানে ড্রেজারের মালিক রফিকুল ইসলাম এবং চেয়ারম্যান সাহেব। আমি শ্রমিক হিসাবে কাজ করছি মাত্র। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার কয়েকজন কৃষক বলেন, খননমান পুকুরটির চার পাশেই কৃষি জমি। দুই মাস ধরে ড্রেজার দিয়ে বালু তুললে এসব জমি পুকুরে বিলীন হয়ে যাবে।
একাজে চেয়ারম্যান সম্পৃক্ত আছে বলে আমরা মুখ খুলতে পারছিনা। জানতে চাইলে চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন নবাব বলেন, ড্রেজারের সাথে সম্পৃক্তরা আমার আত্মীয়-স্বজন। তারাতো নিজেদের জায়গা থেকে বালু তুলে নিজেদের জায়গায় ফেলছে। এতে ক্ষতির কি আছে?তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন,ড্রেজার অবৈধ কে বলেছে? যদি সেটা অবৈধই হয় তাহলে প্রশাসন এসে ভেঙ্গে দিক। এব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারিয়া হকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন,এব্যাপারে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। খোঁজ-খবর নিয়ে সত্যতা পেলে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।