নিজস্ব প্রতিবেদক।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের চলতি মৌসুমে খাদ্য গুদামে চাল সরবরাহ করতে হয়রানীর অভিযোগ করেছেন মিল মালিকরা। এতে করে ব্যাপক আর্থিক লোকসানের মুখে পড়েছেন মিল মালিকরা। হয়রানী থেকে মুক্তি না পেলে সরকারী খাদ্য গুদামে চাল সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
মিল মালিকরা জানান, চলতি মৌসুমে সিলেট, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহসহ দেশের হাওর অঞ্চলে আকস্মিক বন্যার কারণে জমি তেিয় যাওয়ায়। অনেক ধানই এবছর পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক ধানই আশুগঞ্জ মোকামে আসছে আধাপাকা। তাই অনেক চালই কিছুটা কালচে হয়ে যাচ্ছে। তাই সরকারী গুদামে চাউল সরবরাহে অন্যান্য বছরের তোলনায় চালের মান ধরে রাখতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু বিষয়টি মানতে নারাজ খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
গত রবিবার (২৯ মে) থেকে আশুগঞ্জ খাদ্য গুদামে চাল দিতে গিয়ে চালের মান বি নির্দেশ মোতাবেক না হওয়ার অজুহাতে চাল নিচ্ছেন না খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। এ হয়রানীর শিকরা হচ্ছেন মিলমালিকরা। এ কারণে গত দুই দিন ধরে খাদ্য গুদাম চত্বরে চাল নিয়ে আটকে আছে অন্তত ৩০টি ট্রাক। এতে করে মিল মালিকদের ট্রাকের ভাড়া ডেমারেজ দিতে হচ্ছে। এ ছাড়া বাজারে চালের দাম অনেক বেশি। বর্তমানে চালের বাজার রয়েছে ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা।
কিন্তু সরকারী খাদ্য গুদামে চাল দিতে হচ্ছে ৪০ টাকায়। এতে করে চাউল দিতে গিয়ে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে মিল মালিকদের। চলতি মৌসুমে আশুগঞ্জ থেকে ২৪ হাজার ৫শ৫৮ মেট্রিকটন সিদ্ধ ও ৫ হাজার ৯শ১৪ মেট্রিকটন আতপ চাল সংগ্রহ করবে। কিন্তু খাদ্য অধিদপ্তরের অসহযোগীতার কারণে চাল সরবরাহ করতে পারছেন না তারা অভিযোগ করেন।
আশুগঞ্জ খাদ্য গুদামের ভারপ্রার্প্ত কর্মকর্তা একেএম মঈনুল খাইর জানান, সরকারী বি নির্দেশ মেনে চাল নেয়ার বিধার রয়েছে। কিন্তু মিল মালিকরা বি নির্দেশ মোতাবেক চাল না আনার আমরা গুদামে চাল নিতে পারছি না। তবে কাউকে হয়রানীর করা হয়নি।