ভোলা প্রতিনিধি॥ ভোলার চরফ্যাসন ও মনপুরায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উপজেলা, পৌরসভা ও কলেজ শাখায় একাধিক ভূয়া আহব্বায়ক, যুগ্ন আহব্বায়ক ও সদস্য সচিব পরিচয় দিয়ে ছাত্রদলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলকে শক্তিশালী ও গতিশীল করার লক্ষে, ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক বিএনপি’র ভাইর্স চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিক- নিদের্শনায়, গত বছরের ১৮ আগষ্ট বরিশাল বিভাগীয় ছাত্রদলের সাংগঠনিক টিমের নিদের্শে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ভোলা জেলা শাখা চরফ্যাসন উপজেলা, পৌরসভা, কলেজ ও মনপুরা উপজেলা,কলেজ শাখার আহব্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
নব গঠিত চরফ্যাসন উপজেলা ছাত্রদলের আহব্বায়ক কমিটি- মো. আরিফ ফরাজীকে আহব্বায়ক, এহসান উল্লাহ শোভন, মো. মোশারেফ হোসেন, মো. ইমরান হোসেন সোহেল, মো. রুবেল, মো. আল আমিন খান, মো. ইব্রাহীম বাঘা, মো. হিরন আল তুহিন, মো. শাহারিয়ার সজিব, মো. রাকিব রহমান যুগ্ন আহব্বায়ক ও অনিক কাজীকে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট আহব্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
চরফ্যাসন পৌরসভা ছাত্রদলের আহব্বায়ক কমিটি- মো. নুরদ্দিন আখন আহব্বায়ক, মো. মনির হোসেন, মো. রিয়াজ উদ্দিন, মো. মিরাজ, মো. নোমান হাসান, মো. ইব্রাহীমকে যুগ্ন আহব্বায়ক ও মো. ইয়াজুল ইসলামকে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট আহব্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। চরফ্যাসন সরকারী কলেজ ছাত্রদলের আহব্বায়ক কমিটি-মো. এমরান ফরাজী আহব্বায়ক, মো. মিরাজ, মো. মঞ্জুর হুসাইন, মো. সাকাওয়াত, মো. সাকিব, মো. জিহাদ যুগ্ন আহব্বায়ক ও মো. মেহেদী হাসান মিয়াজীকে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট আহব্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
মনপুরা উপজেলা ছাত্রদলের আহব্বায়ক কমিটি-মো. কবির হোসেন আহব্বায়ক, মো. আলাউদ্দিন মোল্লা, মো. মহিউদ্দিন, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. মামুন মিয়া, রাজিবুর রহমান, আকতারুজ্জামান তানভীরকে যুগ্ন আহব্বায়ক ও মো. শাহাদুল ইসলাম শাহীনকে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট আহব্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
মনপুরা সরকারী কলেজ ছাত্রদলের আহব্বায়ক কমিটি-মো. সুজন মাহবুব আহব্বায়ক, মো. মেজবাহ উদ্দিন রাকিব, মো. রাসেল সিকদার, মো. মেহেদী হাসান কিরণ, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. আপ্পান হাওলাদার, মো. হাসনাইন হাওলাদার, মো. শরীফ হোসেন, মো. শাকিল আহম্মেদকে যুগ্ন আহব্বায়ক ও মো. স্বপন মিয়াকে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট আজব্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
চরফ্যাসন উপজেলা ছাত্রদলের আহব্বায়ক আরিফ ফরাজী, চরফ্যাসন পৌর ছাত্রদলের আহব্বায়ক নুরউদ্দিন আখন ও চরফ্যাসন সরকারী কলেজ ছাত্রদলের আহব্বায়ক এমরান ফরাজী বলেন, দলীয় সাংগঠনিক নিয়মে ভোলা জেলা ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ আমাদেরকে কমিটি দিয়েছে। আমাদের কমিটিই বৈধ।
কিছু ব্যক্তি ছাত্রদলের মধ্যে বিবেধ ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য নিজেদেরকে ভূয়া আহব্বায়ক, যুগ্ন আহব্বায়ক ও সদস্য সচিব নামে পরিচয় দিয়ে থাকেন। তারা সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলমের নির্দেশনায় দলীয় নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের তাদের স্বাক্ষরে ভুয়া কমিটি দিয়ে আসছেন।
যা তৃনমূল ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরোধপূর্ণ। আসলে তারা চরফ্যাশন উপজেলা, পৌরসভা ও কলেজ শাখা ছাত্রদলের কোন আহব্বায়ক কমিটিরতে নেই। তাদের কথায় ছাত্রদলের সাধারন নেতা-কর্মীদের কান না দেওয়া এবং ভূয়া আহব্বায়ক, যুগ্ন আহব্বায়ক ও সদস্য সচিব পরিচয়কারীদের বিরুদ্ধে দলীয় ভাবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনে জন্য সশ্লিষ্ট কর্ত্তৃপক্ষের প্রতি আহব্বান জানান।
মনপুরা উপজেলা ছাত্রদলের আহব্বায়ক কবির হোসেন ও মনপুরা সরকারী কলেজ ছাত্রদলের আহব্বায়ক সুজন মাহবুব বলেন, দলীয় সাংগঠনিক নিয়মে ভোলা জেলা ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ আমাদেরকে কমিটি দিয়েছে। আমাদের কমিটিই বৈধ। কিছু ব্যক্তি ছাত্রদলের মধ্যে বিবেধ ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য নিজেদেরকে ভূয়া আহব্বায়ক, যুগ্ন আহব্বায়ক ও সদস্য সচিব নামে পরিচয় দিয়ে থাকেন। তারা সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলমের নির্দেশনায় দলীয় নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে তাদের স্বাক্ষরে ভুয়া কমিটি দিয়ে আসছেন।
যা তৃনমূল ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরোধপূর্ণ। আসলে তারা মনপুরা উপজেলা ও কলেজ শাখা ছাত্রদলের কোন আহব্বায়ক কমিটিরতে নেই। তাদের কথায় ছাত্রদলের সাধারন নেতা-কর্মীদের কান না দেওয়া এবং ভূয়া আহব্বায়ক,যুগ্ন আহব্বায়ক ও সদস্য সচিব পরিচয়কারীদের বিরুদ্ধে দলীয় ভাবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনে জন্য সশ্লিষ্ট কর্ত্তৃপক্ষের প্রতি আহব্বান জানান।
এ ব্যাপারে ভোলা জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি মো. নূরে আলম ও সাধারন সম্পাদক মো. আল আমিন হাওলাদার বলেন, চরফ্যাসন উপজেলা ছাত্রদলের আহব্বায়ক- মো. আরিফ ফরাজী ও সদস্য সচিব অনিক কাজী, চরফ্যাশন পৌরসভা ছাত্রদলের আহব্বায়ক- মো. নুরদ্দিন আখন ও সদস্য সচিব মো. ইয়াজুল ইসলাম, চরফ্যাসন সরকারী কলেজ ছাত্রদলের আহব্বায়ক-মো. এমরান ফরাজী ও সদস্য সচিব মো. মেহেদী হাসান মিয়াজী এবং মনপুরা উপজেলা ছাত্রদলের আহব্বায়ক-মো. কবির হোসেন ও সদস্য সচিব মো. শাহাদুল ইসলাম শাহীন, মনপুরা সরকারী কলেজ ছাত্রদলের আহব্বায়ক-মো. সুজন মাহবুব ও সদস্য সচিব মো. স্বপন মিয়া।
এদের বাহিরা যারা নিজেদেরকে আহব্বায়ক, যুগ্ম আহব্বায়ক বা সদস্য সচিব পরিচয় দেন তারা আসলে ছাত্রদলের কেউ নয়। তারা ক্ষমতাসীন দলের এজেন্ট বাস্তবায়ন করছেন। এর মধ্যে আমরা একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। তাতেও কাজ না হলে কেন্দ্রীয় নতুন কমিটির সাথে আলোচনা করে তাদের ব্যাপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।