মোঃ শাহাদত হোসেন, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় পুরোদমে বোরো (ইরি ) ধান কাটা শুরু হয়েছে ৷ এলাকার হাটগুলোই জমে উঠেছে নতুন ধান কেনাবেচা ৷
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে একেবারে শুকনো নয় এমন এক মণ নতুন ধান ১২০০ থেকে ১২৫০ টাকায় কেনাবেচা হচ্ছে ৷ সরকারি খাদ্য গুদামে বোরো ধানের চাল ক্রয় সংগ্রহ শুরু হয়েছে ৷
উল্লাপাড়া উপজেলার প্রায় সব এলাকাতেই মাঠে বোরো (ইরি) ধান কৃষকেরা আবাদ করেছেন ৷ সরকারি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দশ হেক্টর বেশীসহ ৩০ হাজার ২শ ৪০ হেক্টর পরিমাণ জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে ৷ কৃষকরা বেশী হারে ফলনশীল উন্নত নানা জাতের ধান আবাদ করেছেন ৷ এবারে সব জাতের ধানের ভালো হারে ফলন মিলছে ৷ বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা ধান কাটার মজুরদের দাম মেটাতে হাটে নতুন এ ধান বেচছেন ৷
উপজেলার বোয়ালিয়া, সলঙ্গাসহ আরও কয়েকটি হাটে নতুন ধান কেনাবেচায় উঠছে৷ রবিবার (২৯ মে) বোয়ালিয়া হাটে ব্রি- ২৯ ধান মণপ্রতি ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা দরে কেনাবেচা হয়েছে বলে জানা গেছে ৷ এ ধান পুরোপুরি শুকনো নয় ৷ কৃষক ও ব্যবসায়ীদের কথায় এ ধান পুরোপুরি শুকানোর পর প্রতিমণ ১৩০০ টাকার কিছু বেশী হবে ৷ কৃষক মান্নান আলী বলেন, তিনি ধান কাটার মজুরদের দাম মেটাতে আবাদের ৫ মণ ধান ১২০০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন৷ ধান ব্যবসায়ী আবুল কালাম বলেন, তিনি ব্রি- ২৯ ধান সর্বোচ্চ ১৩০০ টাকা মণ দরে কিনেছেন ৷ এ ধান তার এলাকার ধান চাতালে বিক্রি করবেন ৷
আরেক ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ হাটের ধান পাবনার মুলাডুলি, ঈশ্বরদীসহ বিভিন্ন এলাকার ধান চাতাল ও সাধারণ ব্যবসায়ীরা এসে কিনে নিয়ে যান ৷ এবারেও তারা নিচ্ছেন ৷
উল্লাপাড়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো.শফিকুল ইসলাম তালুকদার জানান, উল্লাপাড়ায় এবারের মৌসুমে চার হাজার চব্বিশ মেট্রিক টন ধান এবং তিন হাজার চারশো পাঁচ মেট্রিক টন চাউল ক্রয় সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৷ সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা হবে ৷
তিনি আরও জানান গত ২৮ এপ্রিল জাতীয় পর্যায়ে ধান চাউলের ক্রয় সংগ্রহ উদ্বোধন হয়েছে ৷ উল্লাপাড়ায় সরকারি খাদ্য গুদামে কোনো কৃষক এখনো ধান নিয়ে বেচতে আসেননি ৷ তবে চাউল ক্রয় সংগ্রহ শুরু হয়েছে বলে জানান ৷