স্বীকৃতি বিশ্বাস, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
আজ ২৭ মে ( শুক্রবার) সকাল সাড়ে আটটায় যশোরের স্বাস্থ্য সচেতন নাগরিকদের সংগঠন “ভোরের সাথী” – এর ১৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা হয়।আলোচনা সভা, বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা ও কেক কেটে দিবসটি পালন করা হয়।
ভোরের সাথীর সভাপতি মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে যশোর পৌরপার্কে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জনাব মোঃ রফিকুল হাসান ও বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যশোর পৌরসভার প্যানেল মেয়র জনাব মকসিমুল বারী অপু।
আরও বক্তব্য রাখেন ভোরের সাথীর সাধারন সম্পাদক হারুন অর রশীদ ও প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহবায়ক রফিকুল ইসলাম আরজু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জনাব মোঃ রফিকুল হাসান বলেন যশোরের মতো এমন ঐতিহ্যবাহী শহরে ভোরের সাথীর মতো স্বাস্থ্য সচেতন নাগরিক সংগঠের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অন্তত ৬০তম হওয়া উচিৎ ছিলো। বৈশ্বিক মহামারী করোনা আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে মানুষের ইম্যুনিটি শক্তি বৃদ্ধিই জটিল ও সংক্রামক রোগ থেকে রক্ষা করার উপায়। ভোরের সাথীর বন্ধুরা নিয়মিত শরির চর্চা করে নিজেদের ইম্যুনিটি শক্তি বৃদ্ধি করছেন এবং এক আনন্দিত জীবন ভোগ করছেন। এ ধরনের সংগঠন জাতির জন্য মঙ্গলময়।
বিশেষ অতিথি মাকসিমুল বারী অপু বলেন, ভোরের সাথীর সাথে আমার গভীর সম্পর্কের কারনে আমি জানি এই সংগঠন স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধিতে কি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সাধারন সম্পাদক হারুন অর রশীদ বলেন, ভোরের সাথী শরীরচর্চা ছাড়াও সামাজিক দায়িত্ব হিসাবে শীতবস্ত্র বিতরণ, দূর্যোগকালে দূর্গতদের সহযোগীতা, বৃক্ষ রোপন, দরিদ্র পরিবারের ছাত্রদের শিক্ষার্জনে আর্থিক সহযোগীতাও করে থাকে।
আলোচনার পূর্বে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের সদস্যরা সকালে পৌরপার্কের অভ্যন্তর ঘুরে শহরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করেন। শোভাযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পৌরপার্ক অভ্যন্তরে অনুষ্ঠানস্থলে কেক কাটার আয়োজন করে ও ১৬ পাউণ্ড কেক কেটে সকল সদস্যদের খাওয়ানো হয়।