বাংলাদেশ ১০:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
শের-ই- বাংলা পাবলিক লাইব্রেরীতে পিরোজপুর সাহিত্য পরিষদের ঈদপূনর্মিলনী অনুষ্ঠিত সিংড়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী’কে শোকজ করল আ.লীগ যশোরে তিনদিন ব্যাপী চিত্র প্রদর্শনী শুরু  এক পিস ডাবের দাম ১৮০ টাকা! সার্বজনীন পেনশন স্কিম নিবন্ধনে ‘রাজশাহী’ এগিয়ে ভান্ডারিয়ায় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে দর্শনার্থীদের ঢল বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ কটিয়াদীতে ভাতিজার হাতে চাচা খুন শিক্ষক আবু তালেবের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া কাউনিয়ায় কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন মুলাদীতে শালিণ্যর উদ্যোগে কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে পাঠকসভা হামিদপুর ইউনিয়নের পাতরা পাড়ায় সংসদ সদস্যের সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত॥ হত্যার মামলায় পলাতক আসামী টুন্ডা আমিন র‌্যাব কর্তৃক গ্রেফতার। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিড়িবি) বোদা উপজেলা শাখা দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন হয়। বুড়িচংয়ে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন  কাউখালীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাসিন জোমাদ্দার আর নেই। 

হোসেনপুরে বিলুপ্তির পথে গাব

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৫৯:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৬৮৯ বার পড়া হয়েছে

হোসেনপুরে বিলুপ্তির পথে গাব

মাহফুজ রাজা, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ;
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের প্রতিটি গ্রাম  সন্ধান করলে মেলে, অনেক  স্থানের নাম করণ করা হয়েছে  গাবতলী,কোনো না কোনো গাব গাছকে কেন্দ্র করেই স্ববলে প্রতিষ্ঠিত নাম গাবতলী।যদিও কোথাও কোথাও গাব গাছের অস্তিত্বও নেই বর্তমানে। এক সময় শিশু-কিশোরের মুখে শোনা যেত, `গাব খাব না খাব কি? গাবের মতো মিষ্টি কি?’ এমন ছড়া এখন আর শোনা যায় না। উপজেলার গ্রামের রাস্তার ধারে ঝোপ-ঝাড়ে জন্মে, একাকী বেড়ে ওঠা গাব গাছের অভাব ছিল না একটি সময়।
গাছগুলোতে শত শত গাব পাকলেই গ্রামের শিশু-কিশোররা ভিড় জমাতো গাছ তলাতে। সবার হাতে থাকত মিষ্টি পাকা গাব। হোসেনপুর  উপজেলার কয়েকটি গ্রাম ঘুরেও আগের মত গাব গাছের দেখা মেলেনি। উপজেলার সাহেবেরচর গ্রামে বহু পুরোনো একটি গাব গাছকে ঘিরে ওই স্থানটি গাবতলী নামে পরিচিতি পেয়েছে। দেশি ফলের গাছগুলো দিনে দিনে সময়ের স্রোতে হারিয়ে যাচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে বাহারি ফল-ফলাদির নাম পর্যন্ত।
হোসেনপুরের মৎস্য শিকারীদের কাছেও গাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ফল।কারণ গাবের কষ ব্যবহার হয়
মাছ ধরার জালের সুতুই।
সখের বসে মৎস্য শিকারী মোন্তু মিয়া জানান, “নদীতে, খালে-বিলে মাছ মাইর হরলে মাছ মারা যাই,তবে আমরার আইত্তের (জাল)লাগে মজমুদ,জালে গাব লাগাইলে হুতা শক্ত হয়,হুতাটা কালা অয়া যায়,যারফলে মাছ মারতারি বেশি”
 দেশি ফলের উৎপাদন ও সংরক্ষণে বাস্তবসম্মত কোনো পরিকল্পনা না থাকায় ফলের বাজার আজ হুমকির সম্মুখীন। অথচ সঠিক ও বাস্তবসম্মত পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশীয় ফল রপ্তানি করে বিপুল বিদেশি মুদ্রা উপার্জন সম্ভব।
একটি গাব সুস্বাদু ও মিষ্টি, একে বিলাতি গাব বলা হয়। পাকলে এর রং হয় গাঢ় লাল। খোসার ওপরটা মখমলের মত। ফলের ভেতরটা সাদা।
অন্যটিকে দেশি গাব বলা হয়। এটি খেতে হালকা মিষ্টি ও কষযুক্ত। কাঁচা ফল সবুজ এবং পাকলে হলুদ হয়ে যায়। পাকা ফলের ভেতরটা আঠালো। এটি সাধারণত খাওয়া হয় না, ভেষজ চিকিৎসায় এর কিছু ব্যবহার আছে। এই গাব হতে আঠা প্রস্তুত করা হয় যা মৎস্যজীবীরা তাদের জালে ব্যবহার করেন। দেশি গাবের প্রধান ব্যবহার এটাই।
 কৃষি কর্মকর্তারা মনে করেন , গাবগাছ আগে বসতবাড়ির আঙিনায় বেশি দেখা যেত। বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বেশি করে বসতঘর নির্মাণ করায় এবং গাব ফলের ভালো বাজার না থাকায় গাবগাছগুলো এখন বিলুপ্তির পথে।
জনপ্রিয় সংবাদ

হোসেনপুরে বিলুপ্তির পথে গাব

আপডেট সময় ০৩:৫৯:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
মাহফুজ রাজা, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ;
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের প্রতিটি গ্রাম  সন্ধান করলে মেলে, অনেক  স্থানের নাম করণ করা হয়েছে  গাবতলী,কোনো না কোনো গাব গাছকে কেন্দ্র করেই স্ববলে প্রতিষ্ঠিত নাম গাবতলী।যদিও কোথাও কোথাও গাব গাছের অস্তিত্বও নেই বর্তমানে। এক সময় শিশু-কিশোরের মুখে শোনা যেত, `গাব খাব না খাব কি? গাবের মতো মিষ্টি কি?’ এমন ছড়া এখন আর শোনা যায় না। উপজেলার গ্রামের রাস্তার ধারে ঝোপ-ঝাড়ে জন্মে, একাকী বেড়ে ওঠা গাব গাছের অভাব ছিল না একটি সময়।
গাছগুলোতে শত শত গাব পাকলেই গ্রামের শিশু-কিশোররা ভিড় জমাতো গাছ তলাতে। সবার হাতে থাকত মিষ্টি পাকা গাব। হোসেনপুর  উপজেলার কয়েকটি গ্রাম ঘুরেও আগের মত গাব গাছের দেখা মেলেনি। উপজেলার সাহেবেরচর গ্রামে বহু পুরোনো একটি গাব গাছকে ঘিরে ওই স্থানটি গাবতলী নামে পরিচিতি পেয়েছে। দেশি ফলের গাছগুলো দিনে দিনে সময়ের স্রোতে হারিয়ে যাচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে বাহারি ফল-ফলাদির নাম পর্যন্ত।
হোসেনপুরের মৎস্য শিকারীদের কাছেও গাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ফল।কারণ গাবের কষ ব্যবহার হয়
মাছ ধরার জালের সুতুই।
সখের বসে মৎস্য শিকারী মোন্তু মিয়া জানান, “নদীতে, খালে-বিলে মাছ মাইর হরলে মাছ মারা যাই,তবে আমরার আইত্তের (জাল)লাগে মজমুদ,জালে গাব লাগাইলে হুতা শক্ত হয়,হুতাটা কালা অয়া যায়,যারফলে মাছ মারতারি বেশি”
 দেশি ফলের উৎপাদন ও সংরক্ষণে বাস্তবসম্মত কোনো পরিকল্পনা না থাকায় ফলের বাজার আজ হুমকির সম্মুখীন। অথচ সঠিক ও বাস্তবসম্মত পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশীয় ফল রপ্তানি করে বিপুল বিদেশি মুদ্রা উপার্জন সম্ভব।
একটি গাব সুস্বাদু ও মিষ্টি, একে বিলাতি গাব বলা হয়। পাকলে এর রং হয় গাঢ় লাল। খোসার ওপরটা মখমলের মত। ফলের ভেতরটা সাদা।
অন্যটিকে দেশি গাব বলা হয়। এটি খেতে হালকা মিষ্টি ও কষযুক্ত। কাঁচা ফল সবুজ এবং পাকলে হলুদ হয়ে যায়। পাকা ফলের ভেতরটা আঠালো। এটি সাধারণত খাওয়া হয় না, ভেষজ চিকিৎসায় এর কিছু ব্যবহার আছে। এই গাব হতে আঠা প্রস্তুত করা হয় যা মৎস্যজীবীরা তাদের জালে ব্যবহার করেন। দেশি গাবের প্রধান ব্যবহার এটাই।
 কৃষি কর্মকর্তারা মনে করেন , গাবগাছ আগে বসতবাড়ির আঙিনায় বেশি দেখা যেত। বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বেশি করে বসতঘর নির্মাণ করায় এবং গাব ফলের ভালো বাজার না থাকায় গাবগাছগুলো এখন বিলুপ্তির পথে।