ঢাকা ০৮:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ৭ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, যোগাযোগ: মোবাইল : 01712-446306, 01999-953970
ব্রেকিং নিউজ ::
ভালুকায় তাঁতীলীগের ২০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত নাজিরপুরকে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষনা উপলক্ষে উপজেলা প্রসাশনের উদ্যোগে আনন্দ র‌্যালী সিংড়ায় ভূমি ও গৃহহীন মুক্ত হওয়ায় প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ কোন অঙ্গরাজ্য নয় : মোমিন মেহেদী বরগুনার বেতাগীতে ব্যক্তিগত সফরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাজশাহীতে দৈনিক সকালের সময় জাতীয় পত্রিকার বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী কতৃক হরিপুর উপজেলাকে ভুমিহীন ও গৃহ হীন মুক্ত করনে প্রশাসনের উদ্যেগে সংবাদ সম্মেলন মোবাইলে লুডু জুয়া: ৭ জুয়াডি গ্রেফতার নাজিরপুরে কলেজ ছাত্রী লামিয়া হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন নাটোরের সিংড়ায় মাছ চাষী নিখোঁজ নোয়াখালীতে লাখ টাকাসহ ২ ডাকাত গ্রেফতার ফুলবাড়ী গোলাম মোস্তাফা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরুস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত প্রভাবশালীদের অবৈধ ব্যবসা-বাণিজ্য আর শিল্প দূষণে আক্রান্ত সুন্দরবন কাউখালীতে সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের কিশোরীদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী নিজাম উদ্দিন’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০

হোসেনপুরে বিলুপ্তির পথে গাব

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৫৯:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৬৪২ বার পড়া হয়েছে

হোসেনপুরে বিলুপ্তির পথে গাব

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

মাহফুজ রাজা, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ;
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের প্রতিটি গ্রাম  সন্ধান করলে মেলে, অনেক  স্থানের নাম করণ করা হয়েছে  গাবতলী,কোনো না কোনো গাব গাছকে কেন্দ্র করেই স্ববলে প্রতিষ্ঠিত নাম গাবতলী।যদিও কোথাও কোথাও গাব গাছের অস্তিত্বও নেই বর্তমানে। এক সময় শিশু-কিশোরের মুখে শোনা যেত, `গাব খাব না খাব কি? গাবের মতো মিষ্টি কি?’ এমন ছড়া এখন আর শোনা যায় না। উপজেলার গ্রামের রাস্তার ধারে ঝোপ-ঝাড়ে জন্মে, একাকী বেড়ে ওঠা গাব গাছের অভাব ছিল না একটি সময়।
গাছগুলোতে শত শত গাব পাকলেই গ্রামের শিশু-কিশোররা ভিড় জমাতো গাছ তলাতে। সবার হাতে থাকত মিষ্টি পাকা গাব। হোসেনপুর  উপজেলার কয়েকটি গ্রাম ঘুরেও আগের মত গাব গাছের দেখা মেলেনি। উপজেলার সাহেবেরচর গ্রামে বহু পুরোনো একটি গাব গাছকে ঘিরে ওই স্থানটি গাবতলী নামে পরিচিতি পেয়েছে। দেশি ফলের গাছগুলো দিনে দিনে সময়ের স্রোতে হারিয়ে যাচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে বাহারি ফল-ফলাদির নাম পর্যন্ত।
হোসেনপুরের মৎস্য শিকারীদের কাছেও গাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ফল।কারণ গাবের কষ ব্যবহার হয়
মাছ ধরার জালের সুতুই।
সখের বসে মৎস্য শিকারী মোন্তু মিয়া জানান, “নদীতে, খালে-বিলে মাছ মাইর হরলে মাছ মারা যাই,তবে আমরার আইত্তের (জাল)লাগে মজমুদ,জালে গাব লাগাইলে হুতা শক্ত হয়,হুতাটা কালা অয়া যায়,যারফলে মাছ মারতারি বেশি”
 দেশি ফলের উৎপাদন ও সংরক্ষণে বাস্তবসম্মত কোনো পরিকল্পনা না থাকায় ফলের বাজার আজ হুমকির সম্মুখীন। অথচ সঠিক ও বাস্তবসম্মত পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশীয় ফল রপ্তানি করে বিপুল বিদেশি মুদ্রা উপার্জন সম্ভব।
একটি গাব সুস্বাদু ও মিষ্টি, একে বিলাতি গাব বলা হয়। পাকলে এর রং হয় গাঢ় লাল। খোসার ওপরটা মখমলের মত। ফলের ভেতরটা সাদা।
অন্যটিকে দেশি গাব বলা হয়। এটি খেতে হালকা মিষ্টি ও কষযুক্ত। কাঁচা ফল সবুজ এবং পাকলে হলুদ হয়ে যায়। পাকা ফলের ভেতরটা আঠালো। এটি সাধারণত খাওয়া হয় না, ভেষজ চিকিৎসায় এর কিছু ব্যবহার আছে। এই গাব হতে আঠা প্রস্তুত করা হয় যা মৎস্যজীবীরা তাদের জালে ব্যবহার করেন। দেশি গাবের প্রধান ব্যবহার এটাই।
 কৃষি কর্মকর্তারা মনে করেন , গাবগাছ আগে বসতবাড়ির আঙিনায় বেশি দেখা যেত। বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বেশি করে বসতঘর নির্মাণ করায় এবং গাব ফলের ভালো বাজার না থাকায় গাবগাছগুলো এখন বিলুপ্তির পথে।
জনপ্রিয় সংবাদ

ভালুকায় তাঁতীলীগের ২০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

হোসেনপুরে বিলুপ্তির পথে গাব

আপডেট সময় ০৩:৫৯:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
মাহফুজ রাজা, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ;
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের প্রতিটি গ্রাম  সন্ধান করলে মেলে, অনেক  স্থানের নাম করণ করা হয়েছে  গাবতলী,কোনো না কোনো গাব গাছকে কেন্দ্র করেই স্ববলে প্রতিষ্ঠিত নাম গাবতলী।যদিও কোথাও কোথাও গাব গাছের অস্তিত্বও নেই বর্তমানে। এক সময় শিশু-কিশোরের মুখে শোনা যেত, `গাব খাব না খাব কি? গাবের মতো মিষ্টি কি?’ এমন ছড়া এখন আর শোনা যায় না। উপজেলার গ্রামের রাস্তার ধারে ঝোপ-ঝাড়ে জন্মে, একাকী বেড়ে ওঠা গাব গাছের অভাব ছিল না একটি সময়।
গাছগুলোতে শত শত গাব পাকলেই গ্রামের শিশু-কিশোররা ভিড় জমাতো গাছ তলাতে। সবার হাতে থাকত মিষ্টি পাকা গাব। হোসেনপুর  উপজেলার কয়েকটি গ্রাম ঘুরেও আগের মত গাব গাছের দেখা মেলেনি। উপজেলার সাহেবেরচর গ্রামে বহু পুরোনো একটি গাব গাছকে ঘিরে ওই স্থানটি গাবতলী নামে পরিচিতি পেয়েছে। দেশি ফলের গাছগুলো দিনে দিনে সময়ের স্রোতে হারিয়ে যাচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে বাহারি ফল-ফলাদির নাম পর্যন্ত।
হোসেনপুরের মৎস্য শিকারীদের কাছেও গাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ফল।কারণ গাবের কষ ব্যবহার হয়
মাছ ধরার জালের সুতুই।
সখের বসে মৎস্য শিকারী মোন্তু মিয়া জানান, “নদীতে, খালে-বিলে মাছ মাইর হরলে মাছ মারা যাই,তবে আমরার আইত্তের (জাল)লাগে মজমুদ,জালে গাব লাগাইলে হুতা শক্ত হয়,হুতাটা কালা অয়া যায়,যারফলে মাছ মারতারি বেশি”
 দেশি ফলের উৎপাদন ও সংরক্ষণে বাস্তবসম্মত কোনো পরিকল্পনা না থাকায় ফলের বাজার আজ হুমকির সম্মুখীন। অথচ সঠিক ও বাস্তবসম্মত পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশীয় ফল রপ্তানি করে বিপুল বিদেশি মুদ্রা উপার্জন সম্ভব।
একটি গাব সুস্বাদু ও মিষ্টি, একে বিলাতি গাব বলা হয়। পাকলে এর রং হয় গাঢ় লাল। খোসার ওপরটা মখমলের মত। ফলের ভেতরটা সাদা।
অন্যটিকে দেশি গাব বলা হয়। এটি খেতে হালকা মিষ্টি ও কষযুক্ত। কাঁচা ফল সবুজ এবং পাকলে হলুদ হয়ে যায়। পাকা ফলের ভেতরটা আঠালো। এটি সাধারণত খাওয়া হয় না, ভেষজ চিকিৎসায় এর কিছু ব্যবহার আছে। এই গাব হতে আঠা প্রস্তুত করা হয় যা মৎস্যজীবীরা তাদের জালে ব্যবহার করেন। দেশি গাবের প্রধান ব্যবহার এটাই।
 কৃষি কর্মকর্তারা মনে করেন , গাবগাছ আগে বসতবাড়ির আঙিনায় বেশি দেখা যেত। বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বেশি করে বসতঘর নির্মাণ করায় এবং গাব ফলের ভালো বাজার না থাকায় গাবগাছগুলো এখন বিলুপ্তির পথে।