রুবেল হোসাইন (সংগ্রাম)-
রংপুরের মিঠাপুকুরে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এক সেনা সদস্যের সাথে সম্পর্কের জেরে তার বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন এক নারী। বিয়ের দাবিতে অনশন করা সেই নারীর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে সম্পর্ক করে আসছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে কর্মরত রহমত আলী (২৬) নামে ঐ যুবক। তার বাড়ি উপজেলার ৭ নং লতিবপুর ইউনিয়নের ইটখোলায়।
ঘটনাস্থলে সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ১ বছর পূর্বে ছেলের পক্ষ থেকে ওই মেয়ের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যান ছেলের বাবা ও মা। মেয়েকে দেখার পর পছন্দ না হওয়ায় বিয়ের আলোচনা ভেঙ্গে যায়। কিন্তু তারপরেও চলমান থাকে তাদের সম্পর্ক।এরপর কয়েকদিন থেকে ছেলেটিও মেয়েটির সাথে নানা টালবাহানা শুরু করে।
এরই মধ্যে ওই তরুনীর সাথে বেশ কয়েকবার বিভিন্ন জায়গায় দেখাও করেন ছেলেটি। এর কয়েকটি ছবিও দেখান ভুক্তভোগী ওই তরুনী। কিন্তু হঠাৎ করে সুকৌশলে অন্য এক জায়গায় বিয়ের জন্য পাত্রী দেখেন ছেলেপক্ষ। এরপরই প্রেমিক-প্রেমিকার গল্পের মোড় পাল্টে যায়। মেয়েটি জানতে পারে তার প্রেমিক অন্য জায়গায় বিয়ে করছেন এবং আগামীকাল ২৫ ফেব্রুয়ারি তাদের বিয়ে। ঘটনাটি জানার পরপরই ঐ তরুণী আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি সকাল আনুমানিক ১১ টায় ছেলের বাড়িতে এসে অনশন কর্মসূচি শুরু করেন। এ ঘটনার পর আশেপাশের লোকজনসহ স্থানীয়দের মাঝে নানা জল্পনা-কল্পনা দেখা দিয়েছে।
বিয়ের দাবিতে অনশনকারী মেয়েটি দাবি করে বলেন, পেশায় তিনি ডেন্টিস্ট।০২ নং রানীপুকুর ইউনিয়নের নয়াপাড়ায় তার বাড়ি এবং স্বপনমোড় নামক স্হানে তার ফার্মেসি আছে। অভিযুক্ত রহমত আলীসহ একই স্কুলে পড়তেন। সেনা সদস্য রহমানের সাথে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। আমাকে বিয়ে করা না হলে আমি এখানেই আত্মহত্যা করবো।
এদিকে মেয়েটি অবস্থান নেয়ার পর থেকেই পলাতক রয়েছে সেনা সদস্য রহমান। রহমানের পিতা মনছুর আলী বলেন, আমি মেয়েটিকে দেখতে গিয়েছিলাম। মেয়ে দেখে আমাদের পছন্দ হয়নি। পরে ছেলের সাথে আলোচনা করে অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক করি।আগামীকাল বিয়ে হওয়ার কথা রয়েছে কিন্তু এর মধ্যেই মেয়েটি বাড়িতে এসে উঠেছে। এখন কি হবে কিছুই বুঝতে পারছি না। অন্যদিকে বিয়ে ঠিক হওয়া মেয়েটির গায়ে হলুদ এবং আত্মীয়দের দাওয়াত করা হয়েছে।
মিঠাপুকুর থানার বিট অফিসার এসআই আব্দুর জব্বার জানান, এ বিষয়ে মৌখিকভাবে শুনেছি তবে এখনো কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মেয়েটি ছেলের বাড়িতে অবস্থান করছে।