রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) সংবাদাদাতাঃ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে প্রশাসনের অবহেলায় বালু দস্যুরা দিন দিন যেন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। প্রভাবশালীরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে একের পর এক ফসিল জমি গর্ত করে গভীর থেকে গভীরতর করে প্রতিনিয়ত আজিমপুর বিল থেকে বালু উত্তোলন করছে।
এতে করে গাজীপুর, আজিমপুর ও লামচর গ্রামের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি এখন হুমকির মুখে পড়েছে। ভুক্তভোগীরা বালু উত্তোলন বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও ফল পাচ্ছে না। তারা এ ব্যাপারে প্রশাসনের সংশিষ্ট সকলের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। গত বুধবার ১৮ মে সকালে সরজমিনে গেলে গাজীপুর, আজিমপুর ও লামচর গ্রামের কয়েকজন জানান, বালু দস্যুরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাদের বাঁধা দেওয়ার সাহস পান না।
এরা কোন এক জমির মালিককে ফুসলিয়ে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে ছোট্ট একটি জমি থেকে গভীর থেকে গভীরতর করে বালু উত্তোলন করে। এতে ক্রমান্বয়ে আশেপাশের জমিগুলিও ডেবে যায় যার ফলে অন্যান্য জমির মালিকগণও বাধ্য হয় তাদের জমির বালি বিক্রি করতে। সূত্র জানায়, ২০১০ সালে বালু উত্তোলন নীতিমালায় যন্ত্রচালিত মেশিন দ্বারা ড্রেজিং পদ্ধতিতে ভূমির তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এছাড়াও সেতু, কালভার্ট, রেললাইনসহ মূল্যবান স্থাপনার এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন করা সম্পূর্ণ বেআইনি। অথচ বালু দস্যুরা সরকারি ওই আইন অমান্য করে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে।
এ বিষয়ে বালু ব্যবসায়ীরা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবিবা মীরা বলেন, এই উপজেলায় আমি নতুন যোগদান করেছি তবে খুব দ্রুতই এবিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।