বাংলাদেশ ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ভূঞাপুরে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় দুই শ্রমিককে কারাদণ্ড সীমান্তে হত্যার প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ মিছিল পীরগঞ্জের কুমেদপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুলের নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্ত শুরু  তালতলীতে ইউএনও’র বদলি আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ভান্ডারিয়ায় হিন্দু যুবককে কুপিয়ে জখম কাউখালীতে করলা চাষে সাফল্য অর্জন করেছেন কৃষক তৈয়ব আলী কয়রায় সুপেয় খাবার পানির জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর সাথে গনশুনানী ও পিটিশন জমা কয়রা সেতুর টোল আদায়ে আইনগত সহায়তা চেয়েছেন আনার আলী ভৈরবনদ খননে অনিয়মের অভিযোগে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে স্মারকলিপি  চট্টগ্রামের ১৩ ওসিকে বদলী বঙ্গবন্ধু হল পরিদর্শন করলেন রাবি উপাচার্য মুন্সীগঞ্জে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত প্রধান উপদেষ্টা ও আইনজীবী খাজা তানভীর আহমেদ কাছে খোলা চিঠি: গণমাধ্যম কর্মী শাহাদাত হোসেন নওগাঁয় সংবাদ প্রকাশের জের ধরে দুই সাংবাদিককে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন। নলছিটিতে বিএনপি নেতা রিমনের চাদাঁবাজী ও দখল বানিজ্যে সাধারন মানুষ অতিষ্ঠ:বহিস্কার দাবী

নবীনগরের ময়লা-আবর্জনার স্তপের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পৌরবাসী, বিষাক্ত বর্জে দূষিত হচ্ছে তিতাস নদী।

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:০৪:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২
  • ১৬৯৩ বার পড়া হয়েছে

নবীনগরের ময়লা-আবর্জনার স্তপের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পৌরবাসী, বিষাক্ত বর্জে দূষিত হচ্ছে তিতাস নদী।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরসভার প্রধান সড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনার স্তপের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পৌরবাসি। দীর্ঘদিন যাবত নবীনগর সদরের প্রবেশ মুখে আবর্জনার কারণে এলাকাবাসির যেন দুর্ভোগের শেষ নেই। এদিকে আবর্জনার বিষাক্ত বর্জ দূষিত করছে তিতাস নদীর পানিকে। দীর্ঘদিন যাবত ৫ নং ওয়ার্ডের পৌর কর্তৃপক্ষ এ ভাবে প্রকাশ্যে আবর্জনা ফেলে আসছে।

 

এর জন্য পৌর প্রশাসনের গাফিলতি ও দায়িত্বহীনতাকে দোষারূপ করছে পৌরবাসি। বৃষ্টির সময় আবর্জনার পঁচা পানি পথচারীদের ভোগান্তি আরো বাড়িয়ে দেয়। এতে দুগন্ধের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। এখানে বাজারের মাছ, মুরগির পঁচা নাড়িভুড়ি, নষ্ট সবজি, বাসাবাড়ির সব ধরনের ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এতে যাত্রী সাধারণ ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের পথ চলা দায়।

 

 

নবীনগর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ সুত্রে জানা যায়, ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত নবীনগর পৌরসভা খ শ্রেণি থেকে বর্তমানে ক শ্রেণিতে উন্নীত হয়েছে। দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় এখনও যথাযথ উন্নয়নে পৌঁছতে পারেনি নবীনগর পৌর কর্তৃপক্ষ। ২০১৬ সালে নবীনগর পৌর এলাকার কনিকাড়া ব্রিজ সংলগ্ন ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য ৩৬৫ শতক জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়েছে।

 

 

এ বিষয়ে নবীনগর খাদ্য গুদামের কর্তৃপক্ষ বলেন, “আবর্জনার স্তপের জন্য আমারা নদীর ঘাটে নৌকা থেকে গুদামে মালামাল উঠানামা করার সময় দুর্গন্ধে শ্রমিকরা কাজ করতে পারে না। আমারা এ বিষয়টি আমাদের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ও পৌর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি”। মাঝিকাড়া বাজারের ফার্ণিচার ব্যবসায়ী জালাল উদ্দিন বলেন, “পৌরসভার ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে দোকানে বসে ব্যবসা করতে পারতেছি না, খুব বাজে দুর্গন্ধ। আমার মত সকল ব্যবসায়ীদের একই সমস্যা।

 

 

পৌর মেয়র যদি অচিরেই তা স্থানান্তর করে এ দুর্গন্ধে বিভিন্ন রোগ- জীবাণু বাড়বে। অটোরিক্সা চালক রমজান মিয়া বলেন, “ময়লার খারাপ গন্ধে আমরা অটো চালাইতে পারি না। আমরা গরিব মানুষ, মুখ খুইল্লা মেয়র, কমিশনারের বিরুদ্ধে কোন কথা কইবার পারি না, এই ময়লা সড়ানো খুবই দরকার। এখানের ময়লা পানি নদীতে যাওয়ায় নদীতে গোসল করে অনেকেরই বিভিন্ন ধরনের রোগ-জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হইতাছে।

 

 

এ ব্যাপারে নবীনগর পৌরসভার মেয়র এড.শিব শংকর দাস বলেন,“পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডের ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য ইতিমধ্যে ১৩ বিঘা জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে এবং ডাম্পিং প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে, অচিরেই পৌর এলাকাবাসি এই দূর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে।

 

এদিকে নদী ও প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক সংগঠন নোঙরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি শামীম আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে নোঙর এর পক্ষ থেকে কয়েকবার মানববন্ধন করা হয়েছে। জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি চলমান রয়েছে। আসলে ময়লা-আবর্জনার জন্য যে নির্দিষ্ট স্থানটি দরকার তা এখনো পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই!

 

 

পৌর মেয়র সাথে এ ব্যাপারে কয়েকবার দেখা করে নদীর পাড়ের ময়লা-আবর্জনা অপসারণের অনুরোধ করলে প্রতিবার তিনি আশ্বস্ত করলেও তেমন কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। কিছুদিন আগে নদীর পাড় অবৈধ দখলের পায়তারাও দেখা গেছে। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তা বন্ধ হয়েছে। নোর্ঙ#৩৯;র আশা করছে নদী পাড়ের ময়লা-আবর্জনা অতিসত্বর অপসারণ ও নদীর জায়গায় অবৈধ দখল উচ্ছেদের দ্বায়িত্ব পালনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আন্তরিক হবেন।

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

ভূঞাপুরে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় দুই শ্রমিককে কারাদণ্ড

নবীনগরের ময়লা-আবর্জনার স্তপের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পৌরবাসী, বিষাক্ত বর্জে দূষিত হচ্ছে তিতাস নদী।

আপডেট সময় ০৫:০৪:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরসভার প্রধান সড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনার স্তপের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পৌরবাসি। দীর্ঘদিন যাবত নবীনগর সদরের প্রবেশ মুখে আবর্জনার কারণে এলাকাবাসির যেন দুর্ভোগের শেষ নেই। এদিকে আবর্জনার বিষাক্ত বর্জ দূষিত করছে তিতাস নদীর পানিকে। দীর্ঘদিন যাবত ৫ নং ওয়ার্ডের পৌর কর্তৃপক্ষ এ ভাবে প্রকাশ্যে আবর্জনা ফেলে আসছে।

 

এর জন্য পৌর প্রশাসনের গাফিলতি ও দায়িত্বহীনতাকে দোষারূপ করছে পৌরবাসি। বৃষ্টির সময় আবর্জনার পঁচা পানি পথচারীদের ভোগান্তি আরো বাড়িয়ে দেয়। এতে দুগন্ধের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। এখানে বাজারের মাছ, মুরগির পঁচা নাড়িভুড়ি, নষ্ট সবজি, বাসাবাড়ির সব ধরনের ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এতে যাত্রী সাধারণ ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের পথ চলা দায়।

 

 

নবীনগর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ সুত্রে জানা যায়, ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত নবীনগর পৌরসভা খ শ্রেণি থেকে বর্তমানে ক শ্রেণিতে উন্নীত হয়েছে। দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় এখনও যথাযথ উন্নয়নে পৌঁছতে পারেনি নবীনগর পৌর কর্তৃপক্ষ। ২০১৬ সালে নবীনগর পৌর এলাকার কনিকাড়া ব্রিজ সংলগ্ন ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য ৩৬৫ শতক জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়েছে।

 

 

এ বিষয়ে নবীনগর খাদ্য গুদামের কর্তৃপক্ষ বলেন, “আবর্জনার স্তপের জন্য আমারা নদীর ঘাটে নৌকা থেকে গুদামে মালামাল উঠানামা করার সময় দুর্গন্ধে শ্রমিকরা কাজ করতে পারে না। আমারা এ বিষয়টি আমাদের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ও পৌর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি”। মাঝিকাড়া বাজারের ফার্ণিচার ব্যবসায়ী জালাল উদ্দিন বলেন, “পৌরসভার ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে দোকানে বসে ব্যবসা করতে পারতেছি না, খুব বাজে দুর্গন্ধ। আমার মত সকল ব্যবসায়ীদের একই সমস্যা।

 

 

পৌর মেয়র যদি অচিরেই তা স্থানান্তর করে এ দুর্গন্ধে বিভিন্ন রোগ- জীবাণু বাড়বে। অটোরিক্সা চালক রমজান মিয়া বলেন, “ময়লার খারাপ গন্ধে আমরা অটো চালাইতে পারি না। আমরা গরিব মানুষ, মুখ খুইল্লা মেয়র, কমিশনারের বিরুদ্ধে কোন কথা কইবার পারি না, এই ময়লা সড়ানো খুবই দরকার। এখানের ময়লা পানি নদীতে যাওয়ায় নদীতে গোসল করে অনেকেরই বিভিন্ন ধরনের রোগ-জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হইতাছে।

 

 

এ ব্যাপারে নবীনগর পৌরসভার মেয়র এড.শিব শংকর দাস বলেন,“পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডের ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য ইতিমধ্যে ১৩ বিঘা জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে এবং ডাম্পিং প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে, অচিরেই পৌর এলাকাবাসি এই দূর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে।

 

এদিকে নদী ও প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক সংগঠন নোঙরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি শামীম আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে নোঙর এর পক্ষ থেকে কয়েকবার মানববন্ধন করা হয়েছে। জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি চলমান রয়েছে। আসলে ময়লা-আবর্জনার জন্য যে নির্দিষ্ট স্থানটি দরকার তা এখনো পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই!

 

 

পৌর মেয়র সাথে এ ব্যাপারে কয়েকবার দেখা করে নদীর পাড়ের ময়লা-আবর্জনা অপসারণের অনুরোধ করলে প্রতিবার তিনি আশ্বস্ত করলেও তেমন কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। কিছুদিন আগে নদীর পাড় অবৈধ দখলের পায়তারাও দেখা গেছে। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তা বন্ধ হয়েছে। নোর্ঙ#৩৯;র আশা করছে নদী পাড়ের ময়লা-আবর্জনা অতিসত্বর অপসারণ ও নদীর জায়গায় অবৈধ দখল উচ্ছেদের দ্বায়িত্ব পালনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আন্তরিক হবেন।