বাংলাদেশ ১২:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
নাটোর জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত। বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উন্নয়ন কাজের শ্রমিকদের নিয়োগের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন মণিরামপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের কমিটি গঠনঃ সভাপতি জাকির সম্পাদক তাজাম্মুল মানুষকে সম্মান ও ভালোবাসা একমাত্র বিএনপি দিতে পারে ……. বেগম সেলিমা রহমান সিরাজগঞ্জে মসজিদের সিড়ি থেকে ম্যাগাজিন ও গুলিসহ দুটি শর্টগান উদ্ধার  রাবিতে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ২২ সেপ্টেম্বর ফুলবাড়ী উপজেলার চাঁদপাড়ায় মানববন্ধন নাইক্ষ্যংছড়িতে উপজেলা প্রশাসন ও ৬০ প্রতিষ্ঠানে আর্ন্তজাতিক স্বাক্ষরতা দিবস পালিত লালপুরে অনিয়ম-দুর্নীতির দায়ে প্রধান শিক্ষক এনামুলের বিরুদ্ধে ইউএনও অফিসে অভিযোগ। সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে মাইক্রোবাস- অটো সিএনজি সংঘর্ষে নিহত- ৬ সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর দাবীতে জেলা বিএনপি নেতা সাইদুর রহমান বাচ্চু’র সংবাদ সম্মেলন একটি মহল কােম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সুনাম নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করছে: নরুল আলম সিকদার গুম-খুন আর লুটপাট করে দেশটাকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করে প্রতিবেশি দেশে পালিয়েছে হাসিনা-নুরুল ইসলাম বুলবুল আপন ভাইয়ের হাতে ভাই হত্যা মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। দূর্নীতি,গুম, খুন, হত্যাকান্ড, অর্থপাচার ও কোটা বিরোধী ছাত্র জনতা হত্যার বিচারের দাবীতে পিরোজপুরে শ্রমিক সমাবেশ

গৌরীপুরে পলাশ হত্যা মামলার দ্রুত বিচার চাইছে পরিবারের

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:০০:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২
  • ১৭৩৫ বার পড়া হয়েছে

গৌরীপুরে পলাশ হত্যা মামলার দ্রুত বিচার চাইছে পরিবারের

ওবায়দুর রহমান গৌরীপুর ময়মনসিংহ  প্রতিনিধি 

ময়মনসিংহের গৌরীপুরের মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসায়ী মইনুল হাসান পলাশ (৩০) হত্যা মামলার দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন পরিবার। পলাশ উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের চর শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। গত বছরের ৮ আগস্ট রাতে  দুবৃর্ত্তরা ছুরিকাঘাত করে পলাশকে হত্যা করে।

 

 

এদিকে হত্যাকান্ডের পর  আট মাস পার হয়ে গেলেও এখনো হত্যাকারীদের শনাক্ত করে অভিযোগপত্র দায়ের করত পারেনি পুলিশ। এতে পলাশের হত্যার সঠিক বিচার নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে স্বজনেরা।

 

জানা গেছে উপজেলার চর শ্রীরামপুর বাজারে পলাশ দোকান নিয়ে ব্যাংকিংয়ের ব্যবসা করতো। গত বছরের ৮ আগস্ট রাতে দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুবৃর্ত্তরা পলাশকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। এ ঘটনায় পলাশের ভাই নাইমুল হাসান রুবেল বাদী হয়ে নিহতের চাচাতো ভাই কাজল সহ নাম উল্লেখ ৮ জন ও অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে গৌরীপুর থানায় মামলা দায়ের করে। সেখান থেকে মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে  ময়মনসিংহ পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মামলার ৭ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। বর্তমানে ওই আসামিরা জামিনে মুক্ত আছেন।

 

 

নিহত পলাশের স্বজনদের সাথে কথা হলে তাঁরা জানান, মামলার সন্দেহভাজন আসামিরা নিহত পলাশের চাচাত ভাই, স্বজন ও প্রতিবেশি। এরমধ্যে পলাশের চাচাত ভাই কাজলের দিকে পরিবারের সন্দেহ বেশি। পরিবারের সদস্যদের ধারণা পূর্ব বিরোধের জের ধরে কাজল এ হত্যার পরিকল্পনা করে থাকতে পারেন।
নিহত পলাশের চাচা আনোয়ার হোসেন বলেন, হত্যাকান্ডের তিন মাস আগে পলাশের এক ভাতিজাকে মারধর করে কাজল। পলাশ প্রতিবাদ করলে পরে গ্রাম্য সালিশে কাজল ঘটনার ক্ষমা চান। এরপর থেকে পলাশের উপর ক্ষুব্ধ ছিলেন কাজল। যে কারণে পলাশ হত্যায় সন্দেহভাজন হত্যাকারী হিসাবে কাজলের নাম সবার আগে আসে বলে দাবি স্বজনদের।

 

নিহত পলাশের অপর চাচা আবুল কালাম আজাদ বলেন হত্যাকান্ডের দিন রাতে পলাশ দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার সময় কাজলের এক সহযোগী মোবাইল ব্যাংকিংয়ে টাকা নেয়ার জন্য মোবাইল করে পলাশকে ডেকে নেয়। এ ঘটনার অল্প সময় পরেই পলাশ হত্যা  হয়। এই ঘটনাগুলো কাজলের প্রতি আমাদের সন্দেহ বাড়িয়ে দেয়।

 

পলাশের স্ত্রী লিমা আক্তার ১৪ মাস বয়সী মেয়েকে কোলে নিয়ে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমার স্বামীর হত্যাকারীদের শনাক্ত করে পুলিশ দ্রুত মামলার অভিযোগপত্র দায়ের করে আসামিদের বিচারের আওতায় আনুক এটাই দাবি।

 

জেলা পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক আবুল কাশেম সাংবাদিকদের জানান আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মামলার এজাহারভুক্ত আট জন আসামির মধ্যে সাত জনকে গ্রেপ্তার করেছে। মামলার তদন্ত চলছে। নিহতের পরিবারের যাদেরকে নিয়ে সন্দেহে হয় তাদেরকে নিয়েও তদন্ত করেছি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে তদন্ত আরো এগিয়ে যাবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযোগপত্র  দেয়ার চেষ্টা চলছে।

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

নাটোর জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত।

গৌরীপুরে পলাশ হত্যা মামলার দ্রুত বিচার চাইছে পরিবারের

আপডেট সময় ০৮:০০:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২

ওবায়দুর রহমান গৌরীপুর ময়মনসিংহ  প্রতিনিধি 

ময়মনসিংহের গৌরীপুরের মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসায়ী মইনুল হাসান পলাশ (৩০) হত্যা মামলার দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন পরিবার। পলাশ উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের চর শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। গত বছরের ৮ আগস্ট রাতে  দুবৃর্ত্তরা ছুরিকাঘাত করে পলাশকে হত্যা করে।

 

 

এদিকে হত্যাকান্ডের পর  আট মাস পার হয়ে গেলেও এখনো হত্যাকারীদের শনাক্ত করে অভিযোগপত্র দায়ের করত পারেনি পুলিশ। এতে পলাশের হত্যার সঠিক বিচার নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে স্বজনেরা।

 

জানা গেছে উপজেলার চর শ্রীরামপুর বাজারে পলাশ দোকান নিয়ে ব্যাংকিংয়ের ব্যবসা করতো। গত বছরের ৮ আগস্ট রাতে দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুবৃর্ত্তরা পলাশকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। এ ঘটনায় পলাশের ভাই নাইমুল হাসান রুবেল বাদী হয়ে নিহতের চাচাতো ভাই কাজল সহ নাম উল্লেখ ৮ জন ও অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে গৌরীপুর থানায় মামলা দায়ের করে। সেখান থেকে মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে  ময়মনসিংহ পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মামলার ৭ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। বর্তমানে ওই আসামিরা জামিনে মুক্ত আছেন।

 

 

নিহত পলাশের স্বজনদের সাথে কথা হলে তাঁরা জানান, মামলার সন্দেহভাজন আসামিরা নিহত পলাশের চাচাত ভাই, স্বজন ও প্রতিবেশি। এরমধ্যে পলাশের চাচাত ভাই কাজলের দিকে পরিবারের সন্দেহ বেশি। পরিবারের সদস্যদের ধারণা পূর্ব বিরোধের জের ধরে কাজল এ হত্যার পরিকল্পনা করে থাকতে পারেন।
নিহত পলাশের চাচা আনোয়ার হোসেন বলেন, হত্যাকান্ডের তিন মাস আগে পলাশের এক ভাতিজাকে মারধর করে কাজল। পলাশ প্রতিবাদ করলে পরে গ্রাম্য সালিশে কাজল ঘটনার ক্ষমা চান। এরপর থেকে পলাশের উপর ক্ষুব্ধ ছিলেন কাজল। যে কারণে পলাশ হত্যায় সন্দেহভাজন হত্যাকারী হিসাবে কাজলের নাম সবার আগে আসে বলে দাবি স্বজনদের।

 

নিহত পলাশের অপর চাচা আবুল কালাম আজাদ বলেন হত্যাকান্ডের দিন রাতে পলাশ দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার সময় কাজলের এক সহযোগী মোবাইল ব্যাংকিংয়ে টাকা নেয়ার জন্য মোবাইল করে পলাশকে ডেকে নেয়। এ ঘটনার অল্প সময় পরেই পলাশ হত্যা  হয়। এই ঘটনাগুলো কাজলের প্রতি আমাদের সন্দেহ বাড়িয়ে দেয়।

 

পলাশের স্ত্রী লিমা আক্তার ১৪ মাস বয়সী মেয়েকে কোলে নিয়ে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমার স্বামীর হত্যাকারীদের শনাক্ত করে পুলিশ দ্রুত মামলার অভিযোগপত্র দায়ের করে আসামিদের বিচারের আওতায় আনুক এটাই দাবি।

 

জেলা পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক আবুল কাশেম সাংবাদিকদের জানান আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মামলার এজাহারভুক্ত আট জন আসামির মধ্যে সাত জনকে গ্রেপ্তার করেছে। মামলার তদন্ত চলছে। নিহতের পরিবারের যাদেরকে নিয়ে সন্দেহে হয় তাদেরকে নিয়েও তদন্ত করেছি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে তদন্ত আরো এগিয়ে যাবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযোগপত্র  দেয়ার চেষ্টা চলছে।