প্রিন্ট এর তারিখঃ মে ৫, ২০২৪, ৭:৫১ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ২৪, ২০২২, ২:৩৩ পি.এম
তালতলী ইসলামী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে টাকা নিয়েও অপারেশন না করানোর অভিযোগ
আশরাফুল ইসলাম সাওন, তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বরগুনার তালতলীতে দুই হাজার টাকা বাকি থাকায় এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে অজ্ঞান করার পরে ফেরত পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে একটি বেসরকারী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে। বুধবার বেলা ১২টায় ওই অন্তঃসত্ত্বা নারী নিজেই এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার দিকে তালতলী ইসলামী ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে সেলিনা বেগম (৩৫) নামের এক অন্তঃসত্ত্বা নারী চিকিৎসার জন্য আসেন। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক ডা. নুসরাত জাহান ওই অন্তঃসত্ত্বা নারীকে সিজারের পরামর্শ দেন। ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিজারের জন্য ১৬ হাজার টাকা চায়।
অন্তঃসত্ত্বা নারীর পরিবার গরিব হওয়ার কারণে সিজারের জন্য ১২ হাজার টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয়। নগদ ১০ হাজার টাকা দেওয়া হলে সিজারের জন্য অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে ওই নারীকে অজ্ঞান করার জন্য তিনটি ইনজেকশন দেওয়া হয়। এতে সম্পূর্ণ অজ্ঞান না হলে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার মুহূর্তে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক পক্ষের মাসুম ফরাজি সিজার করতে বাধা দেন।
এ সময় মাসুম ফরাজি বলেন, বাকি দুই হাজার টাকা না দিলে সিজার হবে না। পরে ওই নারীকে অজ্ঞান অবস্থায় ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে মাসুম বলেন আপনারা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিন।
এ ছাড়া নগদ ১০ হাজার টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করে ভুক্তভোগী পরিবার। পরে ওই নারীকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে বেসরকারি একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে সিজার করান তাঁরা।
এ বিষয়ে সেলিনা বেগম বলেন আমাকে প্রথমে তিনটা ইনজেকশন দেওয়া হলে আমি কিছুটা অজ্ঞান হই। পুরোপুরি হইনি। দুই হাজার টাকা বাকি থাকায় আমাকে হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়া হয়। আমার জমা দেওয়া ১০ হাজার টাকাও ফেরত দেয়নি তারা। আমি বরিশাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে তালতলীতে আসি। আমি বিচার চেয়ে থানায় ও ইউএনওর কাছে লিখেছি অভিযোগ দিয়েছি।
এ বিষয়ে ইসলামী ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালের মালিক পক্ষের মাসুফ ফরাজি সাংবাদিকদের বলেন আমি কোনো বক্তব্য দেব না।’
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন এ বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কাওছার হোসেন এ বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ কিছু বলেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ গোলাম মাওলা শাওন ০১৭১১-০০৬২১৪,ব্যবস্থাপনা সম্পাদক 01762119992, প্রধান কার্যালয় ৩৪ নুরজাহান শরীফ প্লাজা ৮ম তলা, পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০। ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০ নিউজ ই-মেইল [email protected] সিভি পাঠান: [email protected]
দৈনিক বাংলার আলো নিউজ জিএমএস বাংলার আলো গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান।