বাংলাদেশ ০৩:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
কালুরঘাট ফেরিঘাটে মারামারি, ফেরি পারাপার বন্ধ বিক্রমপুর চাঁদের হাটের ৫০ বছর পূর্তি উৎসব পালিত নবাগত ও বিদায়ী ওসিকে পৌর ছাত্র দলের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা ব্রাহ্মণপাড়া যৌতুকের দাবীতে গৃহ বধুকে হত্যার ঘটনায় আদালতে মামলা বাস-পিকআপ সংঘর্ষ: পিকআপ ভ্যান চালক নিহত দৌলতখানে জয়নুল আবদীন ল্যাবরেটরী হাই স্কুলে আন্তঃশ্রেনি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ব্রাহ্মণপাড়ায় গো-খাদ্যের চরম সংকট সলঙ্গায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত কচুয়ায় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কমিটি গঠন ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত পূর্বশক্রতার জেরে সংঘর্ষ নারী পুরুষসহ আহত ৫ রেফার্ড ২ জন লালপুরে জমিসংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির আলোচনা কালে মারপিট ও জখম, সাংবাদিক ফজলু সহ আটক-৪জন যৌতুক দিতে না পারায় গৃহবধূকে জোরপূর্বক বিষপান করিয়ে হত্যা, আদালতে মামলা দায়ের কয়রার খান সাহেব কোমরউদ্দিন কলেজের অধ্যক্ষ আত্মগোপনে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব কালুরঘাট সেতু নির্মাণসহ ১৪ দফা দাবি রাবির বঙ্গবন্ধু হল থেকে পুনরায় অস্ত্র উদ্ধার

মনিরামপুরে শতশত কৃষকের ধান পানির নিচে,ভেজা ধানে গজিয়েছে অংকুর

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৫৮:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ মে ২০২২
  • ১৭৫৪ বার পড়া হয়েছে

মনিরামপুরে শতশত কৃষকের ধান পানির নিচে,ভেজা ধানে গজিয়েছে অংকুর

আবদুল্লাহ আল মামুন যশোর জেলা প্রতিনিধি
আমরা এখন কি করবো, আমাদের সব তো শেষ হয়ে গেলো, এক বছর কি করে সংসার চালাবো? ধান পানির নিচে, তারপরও ধান না শুকালে কোন আড়ৎদাররা ধান কিনছে না।
এ রকম শত শত কৃষকের কষ্ট ভরা আর্তনাথ দেখা যাচ্ছে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে।
গত ৪/৫দিনের ভারি বর্ষন ও বৈরি আবহাওয়ার কারনে মাঠের ভেজা ও কল ওঠা ধান বেচা-কেনা নিয়ে বিপাকে পড়েছে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার শত শত কৃষক। অতিরিক্ত পারিশ্রমিক ও সাথে নিজের পরিবারের লোক দিয়ে মাঠের হাটু পানি থেকে ধান উঠাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কৃষকদের।
তারপরও ভিজে ধান কিনতে চাচ্ছেনা আড়ৎ ব্যাবসায়ীরা। মনিরামপুর উপজেলার পশ্বিম অঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, কাশিপুর, হেলান্চী, ঘুঘুরাইল, গালদা, খেদাপাড়া, রহিতা, ইত্যা, কাশিমনগর, বাসুদেবপুর, হানুয়ার, খালয়া গ্রামসহ পশ্চিম অঞ্চলের শত শত কৃষক ভেজা ধান নিয়ে আছে চরম বিপদে।
কথা হয় হেলান্চী গ্রামের ভুক্তভোগী কৃষক অপূর্ব পালের সাথে, তিনি বলেন নিজের জমি ও ভাগে জমি সহ মোট ৩বিঘা ধান চাষ করছিলাম।
গত ৪/৫ দিনের বৃষ্টিতে আমার তিন ভাগের ২ভাগ ধান ছিলো পানির নিচে, সেখান থেকে বাড়ির লোক সহ উচ্চ হারে পারিশ্রমিক দিয়ে কোন রকম ধান পিচের রাস্তায় ও পরে বাড়িতে নি এসেছি, এখন কোথায় শুকাবো সে জায়গা খুজে পাচ্ছি না।
আরেক কৃষক মোসলেম আলী বলেন,আমার ধানের বেশির ভাগ এখনো মাঠে, মাঠে গেলে ধান দেখে চোখে পানি চলে আসছে। কোন রকম ধান কেটে রাস্তার উপরে জালি দিয় রেখেছি, তাতে ধানে কল গজিয়েছে। এখন সারা বছর কি খাবো, বিক্রি করাতো যাচ্ছে না, ভেজা ধান কেউ কিনতেও চাচ্ছেনা।
ধান ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে কথা হয় রাজগন্জ রোডের আড়ৎ এর মালিক মোঃ শাকিল হোসেনের সাথে, তিনি বলেন, ধানের দাম খারাপ না, তবে এখন ধান কিনতে গেলে দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ ধান ভেজা ও অংকুর গজায়ছে।
ভেজা ও অংকুর গজানো ধান কোন আড়ৎদার কিনবেনা। এ দিকে মাঠের ধান সটিক সময়ে না ওঠায় চাউলের বাজারে উর্ধগতি দেখা দিয়েছে।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

কালুরঘাট ফেরিঘাটে মারামারি, ফেরি পারাপার বন্ধ

মনিরামপুরে শতশত কৃষকের ধান পানির নিচে,ভেজা ধানে গজিয়েছে অংকুর

আপডেট সময় ১১:৫৮:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ মে ২০২২
আবদুল্লাহ আল মামুন যশোর জেলা প্রতিনিধি
আমরা এখন কি করবো, আমাদের সব তো শেষ হয়ে গেলো, এক বছর কি করে সংসার চালাবো? ধান পানির নিচে, তারপরও ধান না শুকালে কোন আড়ৎদাররা ধান কিনছে না।
এ রকম শত শত কৃষকের কষ্ট ভরা আর্তনাথ দেখা যাচ্ছে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে।
গত ৪/৫দিনের ভারি বর্ষন ও বৈরি আবহাওয়ার কারনে মাঠের ভেজা ও কল ওঠা ধান বেচা-কেনা নিয়ে বিপাকে পড়েছে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার শত শত কৃষক। অতিরিক্ত পারিশ্রমিক ও সাথে নিজের পরিবারের লোক দিয়ে মাঠের হাটু পানি থেকে ধান উঠাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কৃষকদের।
তারপরও ভিজে ধান কিনতে চাচ্ছেনা আড়ৎ ব্যাবসায়ীরা। মনিরামপুর উপজেলার পশ্বিম অঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, কাশিপুর, হেলান্চী, ঘুঘুরাইল, গালদা, খেদাপাড়া, রহিতা, ইত্যা, কাশিমনগর, বাসুদেবপুর, হানুয়ার, খালয়া গ্রামসহ পশ্চিম অঞ্চলের শত শত কৃষক ভেজা ধান নিয়ে আছে চরম বিপদে।
কথা হয় হেলান্চী গ্রামের ভুক্তভোগী কৃষক অপূর্ব পালের সাথে, তিনি বলেন নিজের জমি ও ভাগে জমি সহ মোট ৩বিঘা ধান চাষ করছিলাম।
গত ৪/৫ দিনের বৃষ্টিতে আমার তিন ভাগের ২ভাগ ধান ছিলো পানির নিচে, সেখান থেকে বাড়ির লোক সহ উচ্চ হারে পারিশ্রমিক দিয়ে কোন রকম ধান পিচের রাস্তায় ও পরে বাড়িতে নি এসেছি, এখন কোথায় শুকাবো সে জায়গা খুজে পাচ্ছি না।
আরেক কৃষক মোসলেম আলী বলেন,আমার ধানের বেশির ভাগ এখনো মাঠে, মাঠে গেলে ধান দেখে চোখে পানি চলে আসছে। কোন রকম ধান কেটে রাস্তার উপরে জালি দিয় রেখেছি, তাতে ধানে কল গজিয়েছে। এখন সারা বছর কি খাবো, বিক্রি করাতো যাচ্ছে না, ভেজা ধান কেউ কিনতেও চাচ্ছেনা।
ধান ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে কথা হয় রাজগন্জ রোডের আড়ৎ এর মালিক মোঃ শাকিল হোসেনের সাথে, তিনি বলেন, ধানের দাম খারাপ না, তবে এখন ধান কিনতে গেলে দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ ধান ভেজা ও অংকুর গজায়ছে।
ভেজা ও অংকুর গজানো ধান কোন আড়ৎদার কিনবেনা। এ দিকে মাঠের ধান সটিক সময়ে না ওঠায় চাউলের বাজারে উর্ধগতি দেখা দিয়েছে।