আবদুল্লাহ আল মামুন যশোর জেলা প্রতিনিধি
আমরা এখন কি করবো, আমাদের সব তো শেষ হয়ে গেলো, এক বছর কি করে সংসার চালাবো? ধান পানির নিচে, তারপরও ধান না শুকালে কোন আড়ৎদাররা ধান কিনছে না।
এ রকম শত শত কৃষকের কষ্ট ভরা আর্তনাথ দেখা যাচ্ছে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে।
গত ৪/৫দিনের ভারি বর্ষন ও বৈরি আবহাওয়ার কারনে মাঠের ভেজা ও কল ওঠা ধান বেচা-কেনা নিয়ে বিপাকে পড়েছে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার শত শত কৃষক। অতিরিক্ত পারিশ্রমিক ও সাথে নিজের পরিবারের লোক দিয়ে মাঠের হাটু পানি থেকে ধান উঠাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কৃষকদের।
তারপরও ভিজে ধান কিনতে চাচ্ছেনা আড়ৎ ব্যাবসায়ীরা। মনিরামপুর উপজেলার পশ্বিম অঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, কাশিপুর, হেলান্চী, ঘুঘুরাইল, গালদা, খেদাপাড়া, রহিতা, ইত্যা, কা শিমনগর, বাসুদেবপুর, হানুয়ার, খালয়া গ্রামসহ পশ্চিম অঞ্চলের শত শত কৃষক ভেজা ধান নিয়ে আছে চরম বিপদে।
কথা হয় হেলান্চী গ্রামের ভুক্তভোগী কৃষক অপূর্ব পালের সাথে, তিনি বলেন নিজের জমি ও ভাগে জমি সহ মোট ৩বিঘা ধান চাষ করছিলাম।
গত ৪/৫ দিনের বৃষ্টিতে আমার তিন ভাগের ২ভাগ ধান ছিলো পানির নিচে, সেখান থেকে বাড়ির লোক সহ উচ্চ হারে পারিশ্রমিক দিয়ে কোন রকম ধান পিচের রাস্তায় ও পরে বাড়িতে নি এসেছি, এখন কোথায় শুকাবো সে জায়গা খুজে পাচ্ছি না।
আরেক কৃষক মোসলেম আলী বলেন,আমার ধানের বেশির ভাগ এখনো মাঠে, মাঠে গেলে ধান দেখে চোখে পানি চলে আসছে। কোন রকম ধান কেটে রাস্তার উপরে জালি দিয় রেখেছি, তাতে ধানে কল গজিয়েছে। এখন সারা বছর কি খাবো, বিক্রি করাতো যাচ্ছে না, ভেজা ধান কেউ কিনতেও চাচ্ছেনা।
ধান ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে কথা হয় রাজগন্জ রোডের আড়ৎ এর মালিক মোঃ শাকিল হোসেনের সাথে, তিনি বলেন, ধানের দাম খারাপ না, তবে এখন ধান কিনতে গেলে দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ ধান ভেজা ও অংকুর গজায়ছে।
ভেজা ও অংকুর গজানো ধান কোন আড়ৎদার কিনবেনা। এ দিকে মাঠের ধান সটিক সময়ে না ওঠায় চাউলের বাজারে উর্ধগতি দেখা দিয়েছে।