মোস্তফা মিয়া পীরগন্জ রংপুর প্রতিনিধি সাদুল্লাপুর থেকেঃ
সাদুল্লাপুরের মহেশপুরে টিকা নিতে এসে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী। স্থানীয় টিকা কেন্দ্রের স্বাস্থ্য সহকারী মমিন প্রামানিক (৪৩) এই ঘটনাটি ঘটায়। এ ঘটনায় তাকে আটক করেছে পুলিশ। ধৃত মমিন নলডাঙ্গা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের মৃত ফজল উদ্দিন মাষ্টারের বাড়ির কেন্দ্রে টিকা (বয়সন্ধি) প্রদান কার্যক্রম চলছিল।
এ কেন্দ্রে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী মমিন প্রামানিক দায়িত্বে ছিলেন। এসময় ওই ছাত্রী টিকা নিতে রুমের ভেতরে গিয়ে টিকা গ্রহণ করে। এরপর বাহিরে বের হওয়ার সময় মমিন প্রামানিক তাকে নানাভাবে যৌন নিপীড়ন করতে থাকে। বিদ্যমান পরিস্থিতে নারী লোভী মমিনকে ধাক্কা দিয়ে বের হয়ে ঘটনাটি তার পিতাকে জানায়। ঘটনাটি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে মমিন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে স্থানীয় মশিউর রহমানের বাড়িতে আত্নগোপন করে। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষুব্ধতার সৃষ্টি হয়। পরে জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বর কল দেওয়া হলে পুলিশ গিয়ে মমিন প্রামানিককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ বিষয়ে এলাকাবাসী জানান, সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী মমিন প্রামানিক একজন চরিত্রহীন ও নারী লোভী। ইতিপুর্বে নারী ঘটিত একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছেন।
এর সঠিক বিচার হওয়া দরকার। এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শাহীনুল ইসলাম মণ্ডলের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেন নি। সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় জানান, যৌন নিপীড়নের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মমিন প্রামানিককে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ গোলাম মাওলা শাওন ০১৭১১-০০৬২১৪, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক 01762119992, প্রধান কার্যালয় ৩৪ নুরজাহান শরীফ প্লাজা ৮ম তলা, পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০। ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০ নিউজ ই-মেইল [email protected] সিভি পাঠান: [email protected]