বাংলাদেশ ০৬:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩১ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
পরিত্যক্ত অবস্থায় ২টি পিস্তল ও ৩০০ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গুলি উদ্ধার করেছে র‌্যাব। ঐতিহ্যবাহী সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের নতুন গর্বিত সদস্য হলেন যারা স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতির উপর হামলার প্রতিবাদে গৌরীপুরে বিক্ষোভ রায়গঞ্জে অযত্নে- অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার দুটি সম্পদ হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত, জেল পলাতক ও নাশকতা মামলার আসামী মুকুল গাজী কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। সিরাজগঞ্জে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, আহত অন্তত ২০ কুমিল্লায় যাত্রীবাহী বাসের চাপায় দাদী-নাতি নিহত  জরুইন চিরন্তন সমাজ কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত রাঙ্গাবালীতে জামায়াত ও শিবিরের মতবিনিময় ও দোয়া অনুষ্ঠান। ভূঞাপুরে ডেল্টা লাইফের মৃত বীমা দাবির চেক হস্তান্তর সারা দেশটাই ছিলো যেনো কারাগার- সাইফুল ইসলাম পীরযাত্রাপুরে কারিতাস ও নটরডেম কলেজের যৌথ উদ্যোগে বন্যার্তদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ কচুয়ায় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনার প্রধান আসামি গ্রেফতার সকল পরিস্থিতিতে ছাত্রজনতার গন অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সফল করতে প্রস্তুত, সরকারি বি.এম. কলেজ শিক্ষার্থীরা। পিরোজপুরে জাতীয় পার্টির আলোচনা সভা

ঐতিহ্যবাহী আরামবাগ কনফেকশনারীর খাবার খেয়ে শিশুসহ একশতাধিক অসুস্থ’এখনো রোগীর সংখ্যা বাড়ছে

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৫১:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ মে ২০২২
  • ১৭০৯ বার পড়া হয়েছে

ঐতিহ্যবাহী আরামবাগ কনফেকশনারীর খাবার খেয়ে শিশুসহ একশতাধিক অসুস্থ'এখনো রোগীর সংখ্যা বাড়ছে

নিরেন দাস, জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ- 
জয়পুরহাট জেলার সীমান্তবর্তী নওগাঁ জেলার ঐতিহ্যবাহী আরামবাগ কনফেকশনারীর তৈরি লাচ্ছা, সেমাই, বার্গার, পিজ্জাসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে ঈদের দিন থেকে শুক্রবার এখন পর্যন্ত শিশু, বৃদ্ধসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মোট ৬১ জন মানুষ গুরুত্বর অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সব রোগীদের পেটের ব্যথার পাশাপাশি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে আবার অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া এখনো প্রতি মুহুর্তেও অসুস্থ্য হয়ে অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
খাবারের বিষক্রিয়ার কারণেই এমনটি হয়েছে বলে জানান, নওগাঁ আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা। এমন খবর পেয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি পত্র দিয়ে ফাষ্টফুড বিক্রি বন্ধ করার জন্য একটি চিঠিও দেয়া হয়েছে। চিঠি ব্যাধিত কোন প্রশাসনের পক্ষথেকে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি। এর ফলে শহরের সচেতন মহলের মাঝে চররম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালে ভর্তি একাধিক রোগী ও তাদের স্বজনরা জানান অসুস্থ্য সবাই ঈদের আগের দিন নিজের পরিবার-পরিজনদের জন্য আরামবাগ কনফেকশনারী থেকে কেউ ঘিয়ে ভাজা লাচ্ছা, কেউ সেমাই, কেউ বার্গার আবার কেউবা পিজ্জা কিনে দোকানে খান ও বাসায় নিয়ে যান। এরপর সেই খাবার পণ্যগুলো খাওয়ার কিছু পর থেকেই পেটে প্রচন্ড ব্যথা শুরু হয়। পরে পাতলা পায়খানা। এরপর পরিস্থিতি আস্তে আস্তে খুব খারাপ আকার ধারন করলে ঈদের দিন থেকে শুরু করে সবাইকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেওয়ার পরও এখন পর্যন্ত অনেকেরই অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।
বড়দের পাশাপাশি কয়েকজন শিশুর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। ঔষুধ খেয়েও অনেকেরই কাজ হচ্ছে না। হাসপাতালের শয্যায় গুরুত্বর অসুস্থ্য ব্যক্তিদের স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে। এই সব রোগীদের অনেককেই আরামবাগ কনফেকশনারী দোকানের বিভিন্ন ব্যক্তিরা গিয়ে কারো কাছে এই বিষয়টি না বলতে বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতি এবং লোভ দেখাচ্ছেন বলেও জানান রোগী ও তার স্বজনরা।
হাসপাতালের পক্ষ থেকে খাবারের বিষ ক্রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের যথেষ্ট ভালো চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছেও বলে জানান রোগীরা। আক্রান্ত অনেকেই আবার প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতেও চিকিৎসা গ্রহণ করছে।
এই ঘটনার পর থেকে শহরের বাটার মোড়ে অবস্থিত আরামবাগ কনফেকশনারীর দোকানে তালা লাগিয়ে বন্ধ রাখা হয়েছে। যার কারণে আরামবাগ কনফেকশনারী সংশ্লিষ্ট কোন মুখপাত্রের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
নওগাঁ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানান, আরামবাগ কনফেকশনারীর খাবার যারা যারা খেয়েছেন তারা সবাই গুরুত্বর অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করছে। আমার আত্মীয়ের মধ্যে অনেকেই অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। আবার শিশুসহ একটি পরিবারের ৬জন সদস্যও আরামবাগের পিজ্জা খেয়ে পেটে প্রচন্ড ব্যথা ও ডায়রিয়া নিয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন রোগীকেই অন্যত্র রেফার্ড করার মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়নি। হাসপাতালের পক্ষ থেকে আমরা সাধ্যমতো চিকিৎসা প্রদান করার চেস্টা করে যাচ্ছি।
তিনি আরো জানান, খাবারের বিষক্রিয়া থেকেই মূলত এই মানুষগুলো অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে। হয়তো ওই খাবার পন্যগুলো নিম্ম মানের মেয়াদ উর্ত্তীন উপকরন দিয়ে তৈরি করা হয়েছে কিংবা মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে যার কারণে সেই খাবারগুলো থেকে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এই রোগীদের পুরোপুরি সুস্থ্য হয়ে উঠতে একটু সময় লাগবে। এছাড়াও প্রতিনিয়তই নওগাঁ শহর ও তার আশেপাশের যে মানুষগুলো ওই খাবার পণ্যগুলো খেয়েছেন তারা অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক খালিদ হাসান মেহেদী জানান, খবর পেয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি পত্র দিয়ে ফাষ্টফুড খাবার বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে কি কারণে এই অবস্থা হয়েছে এ বিষয়টি দ্রুত ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

পরিত্যক্ত অবস্থায় ২টি পিস্তল ও ৩০০ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গুলি উদ্ধার করেছে র‌্যাব।

ঐতিহ্যবাহী আরামবাগ কনফেকশনারীর খাবার খেয়ে শিশুসহ একশতাধিক অসুস্থ’এখনো রোগীর সংখ্যা বাড়ছে

আপডেট সময় ১১:৫১:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ মে ২০২২
নিরেন দাস, জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ- 
জয়পুরহাট জেলার সীমান্তবর্তী নওগাঁ জেলার ঐতিহ্যবাহী আরামবাগ কনফেকশনারীর তৈরি লাচ্ছা, সেমাই, বার্গার, পিজ্জাসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে ঈদের দিন থেকে শুক্রবার এখন পর্যন্ত শিশু, বৃদ্ধসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মোট ৬১ জন মানুষ গুরুত্বর অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সব রোগীদের পেটের ব্যথার পাশাপাশি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে আবার অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া এখনো প্রতি মুহুর্তেও অসুস্থ্য হয়ে অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
খাবারের বিষক্রিয়ার কারণেই এমনটি হয়েছে বলে জানান, নওগাঁ আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা। এমন খবর পেয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি পত্র দিয়ে ফাষ্টফুড বিক্রি বন্ধ করার জন্য একটি চিঠিও দেয়া হয়েছে। চিঠি ব্যাধিত কোন প্রশাসনের পক্ষথেকে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি। এর ফলে শহরের সচেতন মহলের মাঝে চররম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালে ভর্তি একাধিক রোগী ও তাদের স্বজনরা জানান অসুস্থ্য সবাই ঈদের আগের দিন নিজের পরিবার-পরিজনদের জন্য আরামবাগ কনফেকশনারী থেকে কেউ ঘিয়ে ভাজা লাচ্ছা, কেউ সেমাই, কেউ বার্গার আবার কেউবা পিজ্জা কিনে দোকানে খান ও বাসায় নিয়ে যান। এরপর সেই খাবার পণ্যগুলো খাওয়ার কিছু পর থেকেই পেটে প্রচন্ড ব্যথা শুরু হয়। পরে পাতলা পায়খানা। এরপর পরিস্থিতি আস্তে আস্তে খুব খারাপ আকার ধারন করলে ঈদের দিন থেকে শুরু করে সবাইকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেওয়ার পরও এখন পর্যন্ত অনেকেরই অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।
বড়দের পাশাপাশি কয়েকজন শিশুর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। ঔষুধ খেয়েও অনেকেরই কাজ হচ্ছে না। হাসপাতালের শয্যায় গুরুত্বর অসুস্থ্য ব্যক্তিদের স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে। এই সব রোগীদের অনেককেই আরামবাগ কনফেকশনারী দোকানের বিভিন্ন ব্যক্তিরা গিয়ে কারো কাছে এই বিষয়টি না বলতে বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতি এবং লোভ দেখাচ্ছেন বলেও জানান রোগী ও তার স্বজনরা।
হাসপাতালের পক্ষ থেকে খাবারের বিষ ক্রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের যথেষ্ট ভালো চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছেও বলে জানান রোগীরা। আক্রান্ত অনেকেই আবার প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতেও চিকিৎসা গ্রহণ করছে।
এই ঘটনার পর থেকে শহরের বাটার মোড়ে অবস্থিত আরামবাগ কনফেকশনারীর দোকানে তালা লাগিয়ে বন্ধ রাখা হয়েছে। যার কারণে আরামবাগ কনফেকশনারী সংশ্লিষ্ট কোন মুখপাত্রের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
নওগাঁ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানান, আরামবাগ কনফেকশনারীর খাবার যারা যারা খেয়েছেন তারা সবাই গুরুত্বর অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করছে। আমার আত্মীয়ের মধ্যে অনেকেই অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। আবার শিশুসহ একটি পরিবারের ৬জন সদস্যও আরামবাগের পিজ্জা খেয়ে পেটে প্রচন্ড ব্যথা ও ডায়রিয়া নিয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন রোগীকেই অন্যত্র রেফার্ড করার মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়নি। হাসপাতালের পক্ষ থেকে আমরা সাধ্যমতো চিকিৎসা প্রদান করার চেস্টা করে যাচ্ছি।
তিনি আরো জানান, খাবারের বিষক্রিয়া থেকেই মূলত এই মানুষগুলো অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে। হয়তো ওই খাবার পন্যগুলো নিম্ম মানের মেয়াদ উর্ত্তীন উপকরন দিয়ে তৈরি করা হয়েছে কিংবা মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে যার কারণে সেই খাবারগুলো থেকে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এই রোগীদের পুরোপুরি সুস্থ্য হয়ে উঠতে একটু সময় লাগবে। এছাড়াও প্রতিনিয়তই নওগাঁ শহর ও তার আশেপাশের যে মানুষগুলো ওই খাবার পণ্যগুলো খেয়েছেন তারা অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক খালিদ হাসান মেহেদী জানান, খবর পেয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি পত্র দিয়ে ফাষ্টফুড খাবার বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে কি কারণে এই অবস্থা হয়েছে এ বিষয়টি দ্রুত ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।