বাংলাদেশ ০২:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
কালুরঘাট ফেরিঘাটে মারামারি, ফেরি পারাপার বন্ধ বিক্রমপুর চাঁদের হাটের ৫০ বছর পূর্তি উৎসব পালিত নবাগত ও বিদায়ী ওসিকে পৌর ছাত্র দলের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা ব্রাহ্মণপাড়া যৌতুকের দাবীতে গৃহ বধুকে হত্যার ঘটনায় আদালতে মামলা বাস-পিকআপ সংঘর্ষ: পিকআপ ভ্যান চালক নিহত দৌলতখানে জয়নুল আবদীন ল্যাবরেটরী হাই স্কুলে আন্তঃশ্রেনি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ব্রাহ্মণপাড়ায় গো-খাদ্যের চরম সংকট সলঙ্গায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত কচুয়ায় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কমিটি গঠন ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত পূর্বশক্রতার জেরে সংঘর্ষ নারী পুরুষসহ আহত ৫ রেফার্ড ২ জন লালপুরে জমিসংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির আলোচনা কালে মারপিট ও জখম, সাংবাদিক ফজলু সহ আটক-৪জন যৌতুক দিতে না পারায় গৃহবধূকে জোরপূর্বক বিষপান করিয়ে হত্যা, আদালতে মামলা দায়ের কয়রার খান সাহেব কোমরউদ্দিন কলেজের অধ্যক্ষ আত্মগোপনে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব কালুরঘাট সেতু নির্মাণসহ ১৪ দফা দাবি রাবির বঙ্গবন্ধু হল থেকে পুনরায় অস্ত্র উদ্ধার

যুবলীগ নেতাকে ইয়াবা সেবনে বাধা দেয়ায় স্ত্রীকে নির্যাতন, ১০৯ কল করায় উদ্ধার করলো পুলিশ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:২৩:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ মে ২০২২
  • ১৭৫৮ বার পড়া হয়েছে

যুবলীগ নেতাকে ইয়াবা সেবনে বাধা দেয়ায় স্ত্রীকে নির্যাতন, ১০৯ কল করায় উদ্ধার করলো পুলিশ

পাথরঘাটা বরগুনা প্রতিনিধিঃ তাওহিদুল ইসলাম 
বরগুনা পাথরঘাটায় উপজেলা যুবলীগের নেতা মনিরুল ইসলাম মামুন বাসায় বসে ইয়াবা সেবন করেন। এ সময় স্ত্রী ফেরদৌসী আক্তার বাধা দিলে তাকে নির্যাতন করার অভিযো পাওয়া গেছে। এর পরে বুধবার সন্ধার দিকে তিনি ১০৯ এ কল করে জানালে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করেন।
অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম মামুন পাথরঘাটা উপজেলা শাখার যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পাথরঘাটা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের মৃত জুলফিকার আলীর ছেলে।
স্ত্রী ফেরদৌসী আক্তার জানান, গতকাল বুধবার বিকালে পৌর এলাকার তাদের নিজ বাসায় কয়েকজন বখাটেকে নিয়ে ইয়াবা সেবন করছিলেন মনিরুল ইসলাম মামুন। এ সময় তার স্বামাইকে বাধা দিলে তাকে শারিরীক নির্যাতন চালায় তার স্বামী। পরে ১০৯ কল করলে রাতে থানা থেকে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য এলে সেখানেও কিছু বখাটে নিয়ে এসে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
তিনি আরো বলেন, ২০২১ সালে পারিবারিকভাবে মনিরের সাথে তার বিয়ে হয়। দুই এক মাস ভালোভাবে সংসার করার পর দেখতে পাই মামুনের সব ভয়ঙ্কর রূপ ইয়াবার ব্যবসা সহ নিজেও মাদকাসক্ত এবং বিভিন্ন লোকের দ্বারা মাদক বিক্রি করান। বাসায় বসে প্রতি রাতে বখাটেদের সাথে ইয়াবা সেবন করতো, এ সময় বাধা দিলেই শুরু হয় তার উপর নির্যাতন। এ বিষয় নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হয়েছে বারবারই স্বামী মামুন বলেন, পরবর্তীতে ইয়াবা সেবন করবে না এবং ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু ১৫ দিন বা এক মাস একই অবস্থা শুরু করেন তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম মামুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। উল্টো তার স্ত্রী ফেরদৌসী তাকে মারধর করতো। তার মুখের ব্যবহার খুবই খারাপ এবং আমরা পুরুষ জাতি এরকমের নারীর কারণে আজ নির্যাতিত।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন. ফাস্ট ট্রিটমেন্টের জন্য মেয়েটাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং আমরা লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়েছি। তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

কালুরঘাট ফেরিঘাটে মারামারি, ফেরি পারাপার বন্ধ

যুবলীগ নেতাকে ইয়াবা সেবনে বাধা দেয়ায় স্ত্রীকে নির্যাতন, ১০৯ কল করায় উদ্ধার করলো পুলিশ

আপডেট সময় ০৬:২৩:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ মে ২০২২
পাথরঘাটা বরগুনা প্রতিনিধিঃ তাওহিদুল ইসলাম 
বরগুনা পাথরঘাটায় উপজেলা যুবলীগের নেতা মনিরুল ইসলাম মামুন বাসায় বসে ইয়াবা সেবন করেন। এ সময় স্ত্রী ফেরদৌসী আক্তার বাধা দিলে তাকে নির্যাতন করার অভিযো পাওয়া গেছে। এর পরে বুধবার সন্ধার দিকে তিনি ১০৯ এ কল করে জানালে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করেন।
অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম মামুন পাথরঘাটা উপজেলা শাখার যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পাথরঘাটা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের মৃত জুলফিকার আলীর ছেলে।
স্ত্রী ফেরদৌসী আক্তার জানান, গতকাল বুধবার বিকালে পৌর এলাকার তাদের নিজ বাসায় কয়েকজন বখাটেকে নিয়ে ইয়াবা সেবন করছিলেন মনিরুল ইসলাম মামুন। এ সময় তার স্বামাইকে বাধা দিলে তাকে শারিরীক নির্যাতন চালায় তার স্বামী। পরে ১০৯ কল করলে রাতে থানা থেকে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য এলে সেখানেও কিছু বখাটে নিয়ে এসে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
তিনি আরো বলেন, ২০২১ সালে পারিবারিকভাবে মনিরের সাথে তার বিয়ে হয়। দুই এক মাস ভালোভাবে সংসার করার পর দেখতে পাই মামুনের সব ভয়ঙ্কর রূপ ইয়াবার ব্যবসা সহ নিজেও মাদকাসক্ত এবং বিভিন্ন লোকের দ্বারা মাদক বিক্রি করান। বাসায় বসে প্রতি রাতে বখাটেদের সাথে ইয়াবা সেবন করতো, এ সময় বাধা দিলেই শুরু হয় তার উপর নির্যাতন। এ বিষয় নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হয়েছে বারবারই স্বামী মামুন বলেন, পরবর্তীতে ইয়াবা সেবন করবে না এবং ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু ১৫ দিন বা এক মাস একই অবস্থা শুরু করেন তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম মামুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। উল্টো তার স্ত্রী ফেরদৌসী তাকে মারধর করতো। তার মুখের ব্যবহার খুবই খারাপ এবং আমরা পুরুষ জাতি এরকমের নারীর কারণে আজ নির্যাতিত।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন. ফাস্ট ট্রিটমেন্টের জন্য মেয়েটাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং আমরা লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়েছি। তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।