এম. মতিন, চট্টগ্রাম ব্যুরো।
প্রায় ২’শ বছরের ঐতিহ্য মোতাবেক আগামীকাল দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৬০ গ্রামে উদযাপিত হবে ঈদুল ফিতর। প্রায় ২’শ বছর ধরে ওই সব গ্রামের অধিকাংশ মুসলমানরা সৌদি আরবের সাথে সঙ্গতি রেখে ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো পালন করে আসছে।
জানা যায়, সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরীফ ও চন্দনাইশের জাঁহাগিরিয়া শাহছুফি মমতাজিয়া দরবার শরিফের অনুসারী চট্টগ্রামের চন্দনাইশ, আনোয়ারা, বাঁশখালী, পটিয়া, বোয়ালখালী, সীতাকুন্ড, কক্সবাজারের মহেশখালী, টেকনাফ, হ্নীলার ৬০ গ্রামের মানুষ সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে একদিন আগে থেকে রোজা পালন ও ঈদুল ফিতর উদযাপন করে আসছেন। সেই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল (২মে) সোমবার দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৬০ গ্রামে ঈদুল ফিতরের ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
সাতকানিয়ার মির্জারখীল দরবার শরিফের সৈয়দ মাওলানা আবদুর রহমান শাহ জাঁহাগিরি ও চন্দনাইশ কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের জাঁহাগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া দরবারের শাহজাদা মাওলানা মো. মতি মিয়া মনসুর জানান, সোমবার সৈয়দ মো. আলীর ইমামতিতে প্রথম জামাত সকাল ৮টায় ও দরবারের শাহজাদা মাওলানা মো. মনজুর আলীর ইমামতিতে দ্বিতীয় জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে।
অন্যদিকে সাতকানিয়া দরবার শরীফের সৈয়দ মাওলানা আবদুল হামিদ শাহ জাঁহাগিরির (নুরুল আরেফিন) ইমামতিতে মির্জাখীল দরবার শরিফে সকাল ৯টায় ও সৈয়দ মাওলানা ড. মাকসুদুর রহমান শাহ জাঁহাগিরির ইমামতিতে সকাল সাড়ে ৯টায় একই দরবারে দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
চন্দনাইশ জাঁহাগিরিয়া দরবার সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চন্দনাইশ উপজেলার জাঁহাগিরিয়া শাহছুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফের বর্তমান পীর সৈয়দ মোহাম্মদ আলীর (ম.জি.আ.) অনুসারীরা আগামীকাল দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ পৌরসভার বুলার তালুক, হরিনার পাড়া, ফকির পাড়া, সর্বল কাজী বাড়ি, চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চননগর, হারলা, বাইনজুরি, কানাইমাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, ধোপাছড়ি , দোহাজারি, জামিজুরি, পশ্চিম এলাহাবাদ, উত্তর কাঞ্চননগর, জুনিঘোনা, আব্বাসপাড়া, মাঝের পাড়া, দিঘির পাড়া, কুন্দুপাড়া, কেশুয়া, মোহাম্মদপুর, উত্তর হাশিমপুর, ছৈয়দাবাদ, খুনিয়ারপাড়া, শ্রীমাই, রুপকানিয়া, জলদী, গুনাগরি, কালিপুর, গন্ডামারার, মিরিঞ্জিরতলা, ছনুয়া, সাধনপুর, তৈলারদ্বীপ, বাথুয়া, বারখাইন, চরণদ্বীপ, খরণদ্বীপ, বড়হাতিয়া, চুনতি, পুটিবিলা, উত্তর সুখছড়ি, বাংলাবাজার, মইশামুড়া, খোয়াছপাড়া, বাজালিয়া, কাঞ্চনা, গাটিয়াডাঙ্গা, পুরানগড়, মনেয়াবাদসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করবেন।