প্রিন্ট এর তারিখঃ অক্টোবর ১৮, ২০২৪, ৯:০১ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ এপ্রিল ২৭, ২০২২, ১০:৫১ পি.এম
কাউনিয়ায় এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন
সাইদুল ইসলাম-রংপুর
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় ভাঙ্গা মাল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সন্মেলনে টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ করেছেন টেপামধুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দেব প্রসাদ সরকার। এ বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন শিক্ষক দেব প্রসাদ সরকার। বুধবার (২৫শে এপ্রিল) বিকালে গালস স্কুল মোড়ে রসিদ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় গত সাংবাদিক সন্মেলন লিখিত বক্তব্য পাঠ কালে প্রতারণার শিকার সহকারী শিক্ষক দেব প্রসাদ সরকার আরো বলেন প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয় যে সব গ্রাম বা মৌজায় প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই সেখানে শর্ত সাপেক্ষ বিধি মোতাবেক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমোতি প্রদান করে থাকে।
সেই মোতাবেক কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে প্রাথমিক বিদ্যালয় বিহীন তালুক সাহাবাজ মৌজায় এলাকার কিছু বিদ্যানুরাগী ব্যক্তির প্রচেষ্ঠায় ২০০৮ সালে তালুক সাহাবাজ বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় টি (৩য় ধাপ) ৩৩ শতক জমির উপর প্রতিষ্ঠা করা হয়। জমি দাতা হিসেবে ওই মৌজার বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেনের পুত্র মোঃ শাহিনুর আলম কে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। দেব প্রসাদ সরকার জানায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষক আমার স্ত্রী অনিমা রাণী কে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন।
আমি বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে সে সময় এক লক্ষ টাকার অধিক ব্যয় করি। এছাড়াও বিদ্যালয়ের মঞ্জুরীর জন্য উপজেলা, জেলা শিক্ষা কমিটি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সহ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে আসার জন্য টেপামধুপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গামাল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ তাজুল ইসলাম দায়িত্ব নেন। তৎকালীন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও চর গনাই হয়বৎখাঁ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মজিদুল ইসলাম সহ উপজেলার বিশিষ্ট চার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতিতে ভাঙ্গামাল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ তাজুল ইসলাম কে নগদ ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করি এবং বিদ্যালয় টি শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের তালিকা ভূক্ত হওয়ার পর আরো ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করব বলে সময় নেই।
কিন্তু গত ২৬ অক্টোবর ২০১৬ইং তারিখে জেলা শিক্ষা কমিটির যাচাই বাছাই কালে আমার স্ত্রী অনিমা রাণী সরকারের নাম বাদ দিয়ে অন্য একজনের নাম সংযোজন করে। বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে ওই প্রধান শিক্ষক কে দিয়েছি। এ ব্যাপারে শালিস বৈঠকও হয়ছে। শিক্ষক দেব প্রসাদ সরকার আরো জানায়, তার দু'টি কিডনি নষ্ঠ হওয়ার পথে মাসে আট-দশবার ড্যায়ালাইসিস করতে হয়। এতে খরচ হয় প্রায় ৫০ হাজার টাকা। ভাল চিকিৎসার অভাবে সে যেকোন সময় মারা যেতে পারে। তাই সে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শিক্ষা অফিসার সহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে টাকা গুলো উদ্ধারে আইনী সহায়তা কামনা করছেন। সাংবাদিক সন্মেলন উপস্থিত ছিলেন টেপামধুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোজাম্মেল হক বুলবুল, উপজেলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা গোবিন্দ বম্মণ প্রমুখ।
প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ গোলাম মাওলা শাওন ০১৭১১-০০৬২১৪, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক 01762119992, প্রধান কার্যালয় ৩৪ নুরজাহান শরীফ প্লাজা ৮ম তলা, পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০। ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০ নিউজ ই-মেইল [email protected] সিভি পাঠান: [email protected]
দৈনিক বাংলার আলো নিউজ জিএমএস বাংলার আলো গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান।