আসাদুর রহমান, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া অসহায় দুঃস্থ মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত ১০ কেজি করে ভিজিএফ এর চাল বিতরণ হয় গত ২৪ এপ্রিল থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত। মাননীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা এ বছর শতভাগ সুস্থভাবে চাল বিতরণের নির্দেশনা দেন। সেই প্রেক্ষিতে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে বরাদ্দকৃত চাল, পরিষদের গোডাউনে পৌছে যায়।
সরেজমিনে ঘুরে উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে লক্ষ্য করা যায়, মাননীয় এমপি মহোদয়ের শতভাগ সুস্থভাবে ভিজিএফের চাল বিতরণের নির্দেশনায় অনেকেরই সন্তুষ্ট নন ফলে তারা নতুন কৌষল অবলম্বন করতে থাকে। এ সকল চেয়ারম্যান ও মেম্বররা তাদের ভাই, ভাতিজা, এমনকি নিজের স্ত্রীকে দিয়েও ভিজিএফের প্রতিটি কার্ড ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করেছেন। আবার কেউ কেউ ভাড়াটে শ্রমিক দিয়ে ৫-৭ বার করে চাল তুলে নিয়ে গেছে কোন এক নির্ভরশীল বাড়ি বা গোডাউনে।
এই নতুন কৌষলে কার্ড বিক্রিতে ব্যাপক অনিয়ম দেখা যায়, পোরজনা, পোতাজিয়া, গালা সহ প্রায় ৯টি ইউনিয়ন পরিষদে। তবে উল্লেখযোগ্য যেটা পরিলক্ষিত হয়েছে পোরজনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বাবু ও একই গ্রামের মেম্বর আবুল হাসেম দুইজন মিলে চেয়ারম্যানের ভাতিজা ইমরানের মাধ্যমে শতশত ভিজিএফ কার্ড বিক্রি করেছে। শেষ পর্যায়ে ইমরানের সাথে যোগসাজশে কার্ড বিক্রির সময় নন্দালালপুরের মোকছেদ আলীর ছেলে আমিনুল ইসলাম ৩০টি কার্ড বিক্রির সময় জনগণের হাতে আটক হয়। কার্ড বিক্রির বিষয়কে কেন্দ্র করে পরিষদে উত্তপ্ত অবস্থার সৃষ্টি হলে পুলিশ আমিনুল ইসলামকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যান এবং ইউএনও মহোদয় তাকে ভিজিএফ কার্ড ক্রয়-বিক্রয়ের দায়ে দশ হাজার টাকা ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করেন।
এ সকল চক্রের বিরুদ্ধে বেশ কিছু সাংবাদিকরা অনুসন্ধান চালিয়ে বেশ কিছু তথ্য ক্যামেরায় ধারন করতে দেখা যায়। ভিজিএফ তালিকা তৈরি করার সময় স্থানীয় প্রতিনিধি, স্থানীয় বিভিন্ন নেতাকর্মীরা সঠিকভাবে অসহায় মানুষের নাম তালিকা না করায় দুর্নীতির পথ সৃষ্টি হয়। আবার চেয়ারম্যান, মেম্বর এবং স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিকট ভিজিএফ কার্ডগুলো ভাগ-বাটোয়ারা করে দেয়ার ফলেও কার্ড বিক্রির হিরিক লেগে যায়।” যার ফলে দুঃস্থ মানুষের তুলনায়, সুস্থ মানুষগুলোই দুঃস্থতায় পরিণত হয়”। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসহায় মানুষের পাশে থেকে যেভাবে ক্ষুধা মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চান অবশ্যই সম্ভব হতো যদি ভিজিএফ সহ বিভিন্ন খাদ্য কর্মসূচির চাল আত্মসাৎ না করে স্থানীয় নেতৃত্বগুণ গড়ে উঠতো।