মুনতাসির তাসরিপ, পটুয়াখালীঃ

গত শনিবার (১৬ এপ্রিল) দশমিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল মহোদয়ের বিশেষ উদ্যোগে ২০২২ সালের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থীদের ১০০ নম্বরের গণিত ও ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষা উপজেলার ১৪টি কেন্দ্রে সকাল ১০ঃ০০ থেকে দুপুর ১ঃ০০ টা পর্যন্ত অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পরপরই বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র পটুয়াখালী জেলায়। দেশের জনপ্রিয় পত্রিকা গুলোতে তুলে ধরা হয় এ মহৎ উদ্যোগকে।

কিন্তু "দৈনিক শিক্ষা " নামক অনলাইন ভিত্তিক একটি পত্রিকায় সম্পুর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রকাশ করা হয়। গত ১৬ এপ্রিল " ১৪শ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নিলেন ইউএনও, শিক্ষকদের ক্ষোভ। " শিরোনামে "দৈনিক শিক্ষা" নামক অনলাইন পোর্টালে ছড়ানো হয় বিভ্রান্তিমুলোক খবর। যার তীব্র নিন্দা জানান দশমিনা উপজেলার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সুশীল সমাজের ব্যাক্তিবর্গরা।

ইতিমধ্যে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি দশমিনা উপজেলা শাখা কর্তৃক একটি প্রতিবাদ লিপি প্রেরণ করা হয়েছে৷ শিক্ষা,স্বাস্থ্য সহ বিভিন্ন সূচকে পিছিয়ে পড়া দশমিনাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে দিন রাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ইউএনও। অতিমারি কোভিড- ১৯ এর কারণে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি। এ সকল বিষয় বিবেচনায় নিয়ে তিনি এ মহৎ উদ্যোগ নিয়েছেন। সকল শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী সহ সর্বস্তরের জনগণ তার এ মহৎ উদ্যোকে সাধুবাদ জানায়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর উদ্যোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় প্রতিটি কেন্দ্রে উৎসব মুখর পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলায় এসএসসি ও দাখিল এর মোট ১৬২৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৩৯১ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে যা মোট পরীক্ষার্থীর ৮৫.৩৮ শতাংশ। এমন বিভ্রান্তিকর সংবাদের ভিত্তিতে দশমিনা সরকারি আব্দুর রশিদ তালুকদার কলেজের প্রভাষক মোঃ রাশেদুল ইসলাম বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের এ অনন্য উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বাংলাদেশের প্রথম সারির বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও একটি অখ্যাত নিউজ পোর্টালে এমন বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ অনাকাঙ্ক্ষিত অপ্রাত্যাশিত। আমি ওই সংবাদের তীব্র নিন্দা জানাই। এ বিষয়ে “দৈনিক শিক্ষা” অফিসের ০১৭৫৭৫১৩২৮৭ নম্বরে ফোন করে জানতে চাইলে তারা তাদের দশমিনা উপজেলা প্রতিনিধি নাম ও প্রকাশিত সাংবাদের বিষয়ে কোন সদুত্তার না দিয়ে ফোন কেটে দেয়।