প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ১৬, ২০২৪, ১০:২৯ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ এপ্রিল ৫, ২০২২, ৪:৫৩ পি.এম
বাংলাদেশ রেলওয়ের সেবার নামে প্রহসন
রনি মিয়া, জগন্নাথপুর প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ রেলওয়ের পারাবত ট্রেনে সেবার নামে চলছে প্রহসন। রেলওয়ের স্টাফ ও এটেন্ডেন্টস মিলে লুটে পুটে খাচ্ছে সরকারি রাজস্ব। জানা যায়, ঢাকা ও সিলেট রেলওয়ে স্টেশন থেকে গাড়ি ছাড়ার পর থেকেই শুরু হয় লুটপাট । স্টেশনে অবস্থান করা কর্মচারী নামধারী দালালের মাধ্যমে টিকেট বিহীন যাত্রী দের সাথে চুক্তি করে আসন বিক্রি করে তারা,
অনুসন্ধানী রিপোর্ট করার জন্য সিলেট থেকে ঢাকা অভিমুখি পারাবত ট্রেনে ঘুরে দেখা যায় স্টেশনে অবস্থান করা কর্মচারী নামধারী দালাল রা মোবাইলে কর্তব্যরত এটেন্ডেন্টস এর সাথে ভাড়া চুক্তি করে। যাত্রী উঠিয়ে দেয়, ১৫০ টাকার টিকেটের ভাড়া ২৫০/৩০০ টাকা করে। এতে করে দালালদের দিতে হয় ৫০/১০০ টাকা। টি,টি,ই কে দিতে হয় একটা অংশ আর বাকিটা এটেন্ডেন্টস রাখে। যার ফলে বিনা টিকেটে ট্রেন ভ্রমণ করলেও শাস্তি পেতে হয় না। এটেন্ডেন্টস সব ম্যানেজ করে নেয়। যাত্রী বেশে রিপন নামের একজন এটেন্ডেন্টস এর সাথে কথা হয় প্রতিবেদকের।
এটেন্ডেন্টস টিকেট চেক করার কে? তাছাড়া অতিরিক্ত ভাড়া চাওয়ার কারন ও টাকার বিপরীতে রশিদ দিবে কি জানতে চাইলে এটেন্ডেন্টস রিপন প্রতিবেদককে বলেন, "যা চাইছি তা দিতে না পারলে গাড়ি থেকে নেমে যাও। " এক পর্যায়ে টাকা না দিলে ঘার ধাক্কা দিয়ে গাড়িথেকে ফেলে দিবে বলে উত্তেজিত হয়ে যায়। এবং বলে "আমি এ এলাকার পোলা আমার সাথে রংবাজি করার মজা দেখাইমু "। সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর এটেন্ডেন্টস রিপন প্রতিবেদককে তার কয়েকজন সহকর্মী সহ খুশি করতে চেষ্টা করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক টি,টি,ই বলেন, যারা করার তারাই করে সবাই এক না। আপনি এর প্রতিবাদ করেন না ক্যান? জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার একটা নির্দিষ্টএলাকা আছে। আমি ত আর সব জায়গায় যেতে পারি না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শায়েস্তা গঞ্জ ও নোয়াপাড়া স্টেশনে স্টেশন মাষ্টার বলেন, টুকিটাকি একটু আধটু হয়। সব সময় না। দালাল নির্মুলে আপনার ভুমিকা কি জানতে চাইলে নোয়াপাড়া স্টেশনে স্টেশন মাষ্টার বলেন আমি কর্তৃপক্ষের কাছে জানাব।
তবে একাধিক যাত্রী বলেন নোয়াপাড়া স্টেশনের স্টেশন মাষ্টার নিজেই কালোবাজারির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। উনি সব টিকিট ব্লাকে বিক্রি করে দেয় অফিস স্টাফ দের মাধ্যমে। ফলে ইচ্ছে করেই সাধারণ যাত্রী দের অবৈধ ভাবে রেলওয়ে ভ্রমণ করতে হচ্ছে।
নোয়াপাড়া স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, অফিসে কিছু কর্মচারী ও দোকানদার রা ট্রেনের এটেন্ডেন্টস এর সাথে কথা বলে যাত্রী উঠিয়ে দিচ্ছে। এ সময় সহকারী স্টেশন মাষ্টার কে ছুটাছুটি করে সব কিছু তদারকিতে ব্যাস্ত থাকতে দেখা যায়।
আরো জানা যায়, স্টেশন এলাকায় কতিপয় দোকানদার নামে মাত্র দোকানের সাইনবোর্ড এর আড়ালে চালিয়ে যাচ্ছে টিকেট কালোবাজারি।সমস্যা সমাধানের জন্য এলাকার কিছু ক্যাডার কে ব্যবহার করে আধিপত্য বিস্তার করে চলছে। এতে মদদ দিচ্ছেন স্বয়ং সহকারী স্টেশন মাষ্টার নিজে। তবে সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে সকলেই ছিটকে পড়ে। তাছাড়া দালালের মাধ্যমে নিউজ না করে সমঝোতার প্রস্তাব দেয়।
প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ গোলাম মাওলা শাওন ০১৭১১-০০৬২১৪, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক 01762119992, প্রধান কার্যালয় ৩৪ নুরজাহান শরীফ প্লাজা ৮ম তলা, পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০। ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০ নিউজ ই-মেইল [email protected] সিভি পাঠান: [email protected]
দৈনিক বাংলার আলো নিউজ জিএমএস বাংলার আলো গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান।