মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠিতে দ্রুত বিচার আইনে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা করায় বাদী মাসুম হাওলাদারকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান জামিন আবেদন না-মনজুর করে বাদীকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মজিবর রহমান।
আদালত সূত্র জানায়, গত ৭ সেপ্টেম্বর ঝালকাঠির সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর হাফিজ আল মাহমুদসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে চাঁদাবাজি মামলা করেন রাজ মিস্ত্রি মাসুম হাওলাদার। আদালত ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশকে অভিযোগ এফআই আর হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দেন। ঝালকাঠি থানার ওসি ১১ সেপ্টেম্বের মাসুম হাওলাদারের অভিযোগ এফআইআর হিসেবে রেকর্ড করে এস আই নজরুল ইসলামকে তদন্তের আদেশ দেন।
মামলায় মাসুম হাওলাদার দাবি করেছিলেন, ০১ নং আসামি হাফিজ আল মাহমুদ সহ সকল আসামিরা বাদীর কাছে ঠিকাদারী কাজ বাবদ গত ০১ জুলাই সকালে ৫ লাখ টাকা চাদাদাবি করে। চাদা না দেয়ায় আসামিরা বাদীকে দেশীয় অস্ত্র দ্বারা মারধর করে। মামলায় হাফিজ ছাড়াও ব্যাংক ম্যানেজার সহ কয়েকজন নিরীহ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।
কিন্তু বাদী তার অভিযোগের স্বপক্ষে কোন সাক্ষ্যপ্রমাণ দিতে পারেননি। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন মিথ্যা দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। একই সাথে তদন্ত কর্মকর্তা দ্রুত বিচার আইনের ৬ ধারায় মিথ্যা মামলা করায় বাদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেন।
দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক মো. মনিরুজ্জামান গত ৩ অক্টোবর পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলার বাদী মো. মাসুম হাওলাদারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরওয়ানা জারি করেন। বৃহস্পতিবার মাসুম হাওলাদার আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত জামিন আবেদন না মনজুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ গোলাম মাওলা শাওন ০১৭১১-০০৬২১৪, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক 01762119992, প্রধান কার্যালয় ৩৪ নুরজাহান শরীফ প্লাজা ৮ম তলা, পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০। ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০ নিউজ ই-মেইল [email protected] সিভি পাঠান: [email protected]