মোঃ রেজাউল করিম, রাজশাহী বিভাগীয় প্রধানঃ
নাটোরের লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের মনিহারপুর গ্রামের একটি জমিসংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদে একটি আপোষ-মিমাংসা/নিষ্পত্তির আলোচনা কালে মারপিট ও জখম করার দায়ে স্থানীয় এক সাংবাদিক সহ ৪জনকে আটক করেছে লালপুর থানার পুলিশ।
সোমবার (৯সেপ্টেম্বর-২৪) সকাল আনুমানিক ১১ টার সময় উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এই মারামারি ঘটনা ঘটে বলে জানা যায় এবং ঐ দিন রাতেই একই ইউনিয়নের মনিহারপুর গ্রামের মৃত মোজাহার আলীর ছেলে মহির উদ্দিন (৬৩) বাদী হয়ে ঘটনার সময় আটককৃত ঐ ৪(চার) জনের নামসহ ৮ জন আসামির নাম উল্লেখ করা সহ আরও অজ্ঞাত ১০/১২ জনের নামে লালপুর থানায় একটি এজাহার/মামলা দায়ের করেন।আটককৃত আসামিরা হলেন উপজেলার একই ইউনিয়নের মনিহারপুর গ্রামের মৃত আবু বক্কার মন্ডলের ৩ ছেলে সামসুল ইসলাম (৪০), সাংবাদিক ফজলুর রহমান পলাশ (৪৫)ও জুয়েল রানা ওরফে জুয়েল মন্ডল এবং সামসুল ইসলামের ছেলে আলিফ (১৯)।
অপর আসামি গুলো হলেন, কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার রাইটা গ্রামের মৃত জদু হোসেনের ৪(চার) ছেলে আবু তালেব (৪৫), টিপু ইসলাম (৪০), শিপন হোসেন (৩৫), রিপন আলী (৩০)সহ আরও অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন।
মামলার বাদী মহির উদ্দিন সহ তার পরিবারের সদস্যরা মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর-২৪) সকালে সংবাদ কর্মীদের জানায়, জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিবাদী আসামিদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বিরোধ চলছিল।
এ মতাবস্থায় গত ৪(চার) মাস আগেও একই ঘটনায় মারামারি হয়। আর এই মারামারির ঘটনা আপোষ মিমাংসার জন্যই দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদে সোমবার (৯সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে আলোচনা চলছিল। এই আলোচনা চলাকালেই বিবাদীগনরা বেআইনী জনতায় দলবদ্ধ হয়ে হাতে হাতে বড়বড় হাসুয়া নিয়ে আমাদের কে মারপিট ও খুন জখম করার উদ্দেশ্যে এগিয়ে আসে।
এ সময় আমার ছেলে ফারুক হোসেন (৩৮) তাদের মানা নিষেধ করলে স্থানীয় সাংবাদিক ফজলুর রহমান (পলাশ) এর হুকুমে তারই ভাই সামসুল ইসলাম তার হাতে থাকা হাসুয়া দিয়ে আমার ছেলে ফারুক হোসেন এর মাথার বাম সাইডে কোপ মারে। পরে আবার বিবাদী আসামি আবু তালেবও আমার ছেলে ফারুক হোসেনের মাথার ডান পাশে কোপ মারে।তখন আমার ছেলে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে অন্য আসামিরা লোহার রড,কাঠের বাটাম ও বাঁশের লাঠি শোঠা দিয়ে বেধড়ক পিটাতে থাকে।পরে আমার ছেলের ডাক চিৎকারে স্থানীয় রা এগিয়ে আসে এবং ৪(চার) জনকে আটকে রেখে পরিষদের একটি রুমে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে গুরুতর জখম হওয়া ফারুককে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে ঐ রাতেই ফারুকের পিতা মহির উদ্দিন বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করেন।
ফারুক হোসেনের পিতা মামলার বাদী সংবাদ কর্মীদের আরও জানান, এই মামলার সকল আসামি সন্ত্রাসী ও ডাঙ্গাবাজ এদের দ্রুত আটক করে আইনের আওতায় বিচার করা হোক।
এ বিষয়ে লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) নাছিম আহমেদ সংবাদ কর্মীদের জানায়, আটককৃত ৪(চার) জনকে নাটোর আদালতে পাঠানো হয়েছে,বাকি আসামিদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।