শাহিদুল ইসলাম কয়রা উপজেলা প্রতিনিধিঃ
খুলনার কয়রায় খান সাহেব কোমরউদ্দিন কলেজের অধ্যক্ষ ড. চয়ন কুমার রায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন। কলেজের অচলবস্থা নিরসনে ম্যানেজিং কমিটি সহকারী অধ্যাপক এস এম সাইফুল কবিরকে অন্তর্বর্তীকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়েছে। ইতি পূর্বে অদ্য কলেজের ছাত্ররা বিভিন্ন দূনীতির অভিযোগে অধ্যক্ষ ড. চয়ন কুমার রায়ের পদত্যাগের দাবীতে মিছিল মানববন্ধন করে এবং তার কক্ষে তালা মেরে দেয়। অধ্যক্ষের কক্ষের তালা খুলে সহকারী অধ্যাপক এস এম সাইফুল কবিরকে অন্তর্বর্তীকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানায়, অধ্যক্ষ ড. চয়ন কুমার রায় সুকৌশলে একছত্র অধিপত্য কায়েম করে। আওয়ামী লীগ সরকারের যখন যিনি এই আসনে এমপি ছিলেন তাকে কজ্বায় নিয়ে অন্যায়ের রামরাজত্ব কায়েম করেন। বেপরোয়া ভাবে নিয়োগ বাণিজ্য, টাকা নিয়ে নিয়োগ দিয়ে টাকা আত্মসাৎ, পরীক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপের টাকা জমা না দিয়ে আত্মসাৎ, এফডিআর ভাংগিয়ে কলেজ ফান্ডে জমা না দেওয়া, এমনকি কলেজের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সমিতি থেকে লোন তুলে তাকে দিতে বাধ্য করেন। এভাবে বিপুল অংকের অর্থ আত্মসাতের করেছেন। অধ্যক্ষ ড. চয়ন কুমার রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকদের তদন্তে ৭ টি অভিযোগের মধ্যে ৪ টি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
অন্তর্বতীকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এস এম সাইফুল কবির বলেন, শনিবার থেকে দায়িত্ব বুঝে নিয়ে অফিস শুরু করেছি। নিয়মিত ক্লাস হচ্ছে। অনিয়ম দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করা হয়েছিল। জঞ্জালমুক্ত করার চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমি কাজ শুরু করেছি। বিগত দিনে আওয়ামী লীগের ক্ষমতার দম্ভে চয়ন কুমারের বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি বলে জানা যায়। গত ৫ আগষ্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলে রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যান চয়ন কুমার।
এদিকে অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে কলেজে অচলবস্থা সৃষ্টি হলে ম্যানেজিং কমিটি সহকারী অধ্যাপক এস এম সাইফুল কবিরকে অন্তর্বতীকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করেন। খান সাহেব কোমর উদ্দীন কলেজে শিক্ষার্থীরা অন্তর্বতীকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এস এম সাইফুল কবিরের কাছে বিভিন্ন দাবীতে স্মারকলিপি দেন।