রাবি প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ে বালিয়াডাঙ্গি সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক শ্রী জয়ন্তী কুমারসহ সীমান্তে লাগাতার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেট থেকে মিছিল বের করেন তারা। সেখান থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অ্যাকাডেমিক ভবন, সিরাজী ভবন, প্যারিস রোড হয়ে বুদ্ধিজীবী চত্ত্বরে অবস্থান নেন তাঁরা।
এসময়, আমার বুকে তিস্তার জল কাইড়া নিল কে? দিল্লির দাদাগিরি মানি না মানব না, সীমান্তে লাশ কেন, কষায় মুদি জবাব দে, সীমান্তে মানুষ মরে বিজিবি কি করে? ফেলানী থেকে স্বর্ণা দাস, সীমান্তে আর কত লাশ? বাংলাদেশের জলসম্পদ নিয়ন্ত্রণ কারী আগ্রাসী দিল্লির দখলদারিত্ব নিপাত যাক এমনসব স্লোগান দিতে শোনা যায়। এছাড়া বিভিন্ন রকম লেখা সম্বলিত প্লেকার্ড হাতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী নাসিম শাহ বলেন, ভারতীয় বিএসএফ সন্ত্রাসী বাহিনী সীমান্তে একের পর এক হত্যাকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। এতদিন পর্যন্ত যত হত্যা হয়েছে তার সব বিচার করতে হবে নাহলে আমরা আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবো। বাংলাদেশের যে পঙ্গু, লুলা পররাষ্ট্রনীতি তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। যার কারণে এতদিন এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পরও কোনো বিচার হয়নি। এখন আমরা সব হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী ফুয়াদ রাতুল বলেন, কিছুদিন আগে স্বর্ণাকে আজ আবার জয়ন্ত কে হত্যা করা হলো। ভারত প্রতিনিয়ত এমন ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে।
আমি ভারত কে বলতে চাই এখন কিন্তু আর খুনি হাসিনা নেই। যা ইচ্ছা তাই করার আর সুযোগ নেই। সরকারের উদ্দেশে বলতে চাই আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে ভারতকে তার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের শিক্ষার্থী আমানুল্লাহ আমান বলেন, এর আগে আমরা ভারতের বিরুদ্ধে কখনো কথা বলতে পারিনি। কিন্তু এখন সেই পরিস্থিতি পাল্টেছে। ফেলানী থেকে শুরু যতগুলো হয়েছে তার সুষ্ঠু বিচার চাই। আরেকটা সীমান্তে লাশ আমরা দেখতে চায় না। আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারকে বলতে চায় ভারতীয় হাইকমিশনারকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হোক।