নোয়াখালী (কােম্পানীগঞ্জ) প্রতিনিধি :
খােলা চিঠিতে যা লিখলেন কােম্পানীগঞ্জ উপজেলা জনসাধারণেরর পক্ষে লিখেন গণমাধ্যম কর্মী শাহাদাত হোসেন।
‘আপনার প্রতি আমাদের আকুল আবেদন, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর স্লুইসগেট (রেগুলেটর) নির্মাণ করার জন্ পলিসি গ্রহণ করুন এবং তার বাস্তবায়ন করুন।
“খোলা চিঠি”
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও আইনজীবী খাজা তানভীর আহমেদ।
অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনূস এবং আইনজীবী খাজা তানভীর আহমেদ আপনাদের কাছে আকুল আবেদন, বন্যা ও বৃষ্টির পানির চাপে ধসে পড়েছে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর স্লুইসগেট (রেগুলেটর) পরে সেটি পুরোপুরি ধসে ছোট ফেনী নদীতে বিলীন হয়ে যায়।
যার ফলে নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মানচিত্র মুছে যেতে পারে, এমতাবস্থায় জনসাধারণের দাবি মুছাপুর স্লুইসগেট (রেগুলেটর) নির্মাণ করা হােক।
ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসের আইনজীবী খাজা তানভীর আহমেদ কােম্পানীগঞ্জ উপজেলা কৃতি সন্তান, আপনার দৃষ্টিগোচর আনার জন্য কােম্পানীগঞ্জ উপজেলা মুছাপুর মুছাপুর স্লুইসগেট (রেগুলেটর) নির্মাণ করার প্রকল্প দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জন্য আপনার অবস্থান থেকে সহযোগিতা করবেন।
কেননা আপনি অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস এর আইনজীবী ছিলেন, আপনার সঙ্গে ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসের ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে, সে আলোকে আপনি প্রধান উপদেষ্টা অনুরোধ করে, কােম্পানীগঞ্জ উপজেলা মুছাপুর ক্লােজার নির্মাণ করার জন্য সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবেন।
আমরা নোয়াখালী জেলা কােম্পানীগঞ্জ উপজেলা অঞ্চলের বঙ্গোপসাগরের উত্তাল ঢেউয়ের তরঙ্গমালা ক্রীড়া নৈপূণ্যে জেগে উঠেছে পলিমাটি বিধৌত এই সাগর তীর। বার বার সাগরের ভাঙ্গাগড়া, সামুদ্রিক ঘূর্ণি আর প্রলয়ংকারী জলোচ্ছ্বাসের তান্ডবলীলায় শিকার সংগ্রামী মানুষরাই আজ কোম্পানীগঞ্জের অধিবাসী।
২০২২ সালের বাংলাদেশী আদমশুমারিতে, উপজেলার জনসংখ্যা ছিল ৩০১,৩১০জন বর্তমানে প্রায় ৪,৫০,০০০ জন জনসংখ্যা এবং ৪৯,০১৫টি পরিবার অধিক বসবাস।
আপনার প্রতি যথাযথ সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে সবিনয়ে আমাদের দু-চারটি কথা এবং আর্জি আপনার কাছে নিবেদন করছি।
আমাদের আশা… মুছাপুর রেগুলেটর ভেঙ্গে যাওয়ার পর থেকে মুছাপুর, চরদরবেশ চরহাজারী, চরপার্বতীসহ বহু এলাকা তীব্র ভাঙ্গনের শিকার হয়েছে।প্রতিনিয়ত মানুষের আহাজারি চোখের সামনে ঘুরছে। শুধু ভাঙ্গন নয়, জোয়ারের পানি লোকালয়ে ডুকছে প্রতিনিয়ত।
এমন অবস্থায় গণদাবির জেরে মুছাপুর রেগুলেটর পরিদর্শনে আসেন এবং সমস্যা নিরসনে আশ্বাস দেন- জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান সারোয়ার মাহমুদ, জিওসি ৩৩ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার কুমিল্লা এরিয়ার মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, ৩৩ আর্টিলারি ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সামসুল আরিফিন, জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহাবুর রহমান,পানি উন্নয়ন বোর্ড নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সী আমির ফয়সালসহ অনেকে।
চেষ্টার কমতি দেখিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারীর। যিনি বন্যার প্রথম থেকে ভূমিকা রেখেছেন। রাতের ৪ টায়ও রেগুলেটরে গিয়ে দেখেছেন পানি নিষ্কাষণ হচ্ছে কিনা। ভেঙে যাওয়ার পরও বারবার ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। উর্ধতন কর্মকর্তাদের বিষয়টির ক্ষেত্রে বিস্তারিত জানাতে চেষ্টা করেছেন।
যারা এসেছেন। ভূমিকা রেখেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। তবে আমাদের দাবি অতিদ্রুত বাজেট হোক। সেক্ষেত্রে আরো অনেকের ভূমিকা আশা করি। তাদের মধ্যে একজন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কৃতী সন্তান জাতীয় ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ। তিনি বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনুসের আইনজীবী ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টার কাছে দাবিটি পৌঁছে দ্রুত বাজেটে তিনি ভূমিকা রাখতে পারেন। আমাদের বিশ্বাস, যার যার অবস্থান থেকে সবাই চেষ্টা করবেন।
মাননীয় অন্তবর্তীকালীন সরকার এর প্রধান উপদেষ্টা এবং আইনজীবী খাজা তানভীর আহমেদ, আপনার কাছে সবিনয়ে অনুরোধ, আপনি আমাদের নোয়াখালী কােম্পানীগঞ্জ উপজেলা মুছাপুর স্লুইসগেট (রেগুলেটর) নির্মাণ করে জনসাধারণের পাশে দাঁড়ান। আমরা জানি, এই দুর্দিনে আপনি আমাদের ছেড়ে যাবেন না।
আমাদের নোয়াখালী জেলা কােম্পানীগঞ্জ উপজেলা মুছাপুর স্লুইসগেট (রেগুলেটর) নির্মাণ করে আমাদের উপজেলা জনসাধারণের পথচলা আপনিই নির্বিঘ্ন রাখতে পারেন। সেই আশাতেই এই চিঠি। আমরা উপজেলায় লাখো পরিবার আপনার সহযোগিতার প্রতীক্ষায় আছি।
নিবেদক,
কােম্পানীগঞ্জ উপজেলা জনসাধারণের পক্ষে
গণমাধ্যম কর্মী: শাহাদাত হােসেন