শাহাদাত হোসেন
নোয়াখালী (কােম্পানীগঞ্জ) প্রতিনিধি :
কােম্পানীগঞ্জ উপজেলা সবচেয়ে বড়ো বাজার হচ্ছে বসুরহাট বাজার, এই বাজারে পণ্যের দাম বিক্রেতার খেয়ালখুশি বা মর্জি মাফিক হলে বিপত্তি দেখা দেয়। ক্রেতার সাধ্যকে অতিক্রম করে যখন পণ্যমূল্য হয়ে পড়ে অত্যধিক তখন বাজারে অস্থিরতা দেখা দিতে বাধ্য। চাহিদার চেয়ে পণ্যের যোগান কম হলে দাম বেড়ে যায়।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নাগালের মধ্যে রাখতে বসুরহাট বাজার মনিটরিং করেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও ম্যাজিস্ট্রেট হাবেল উদ্দিন।
তিনি জিনিসপত্রের দাম না বাড়ানোর জন্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন বসুরহাট পৌরসভা জামায়াতে ইসলামী’র আমীর মাওলানা মোশাররফ হোসেন।
বসুরহাট বাজার মনিটরিং শেষ করে বসুরহাট ব্যবসায়ি সমিতি সভাপতি এবং বসুরহাট পৌরসভার বিএনপি সভাপতি আব্দুল মতিন লিটন সঙ্গে মতবিনিময় করছেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও ম্যাজিস্ট্রেট হাবেল উদ্দিন।
বাজারে পণ্যের দাম বিক্রেতার খেয়ালখুশি বা মর্জি মাফিক হলে বিপত্তি দেখা দেয়। ক্রেতার সাধ্যকে অতিক্রম করে যখন পণ্যমূল্য হয়ে পড়ে অত্যধিক তখন বাজারে অস্থিরতা দেখা দিতে বাধ্য।
চাহিদার চেয়ে পণ্যের যোগান কম হলে দাম বেড়ে যায়। আবার চাহিদার অত্যধিক পণ্য বাজারে থাকলেও দাম কমে না সহজেই। এমনিতেই একবার যে পণ্যের দাম বাড়ে, তার যোগান বেশি হলেও মূল্যহ্রাস ঘটে না।
তবে পণ্যের মূল্য ওঠা-নামা করতেই পারে। কিন্তু তার একটা সীমা-পরিসীমা যে থাকা উচিত, বিক্রেতা সেটা মেনে চলেন না। বরং অধিক মুনাফার জন্য দাম বাড়ানো, ওজনে কম দেয়ার ঘটনা অনেক পুরনো। তবে ওজন মেশিনের কারণে একালে পরিমাণে কম দেয়ার সুযোগ সীমিত হয়ে পড়েছে।
কিন্তু পণ্যমূল্য নিয়ে দরদাম করার প্রবণতা বাড়ছে। ক্রেতারা মনে করে ভোক্তা অধিকার আইন চালু এবং বাজার মনিটরিং নিয়মিত থাকে, তাহলে অনেক কিছু নিয়ন্ত্রণে আসবে,ফলে অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধি প্রবণতা হ্রাস পাবে।
বাজার মনিটরিং কমিটি বাজার পরিদর্শন নিয়মিত করলে জনসাধারণ সুফল ভােগ করবে, তবে তা নিয়মিত নয়। রমজান মাস এলে পণ্যমূল্য যখন হুহু করে অযথাই বাড়তে থাকে তখন মনিটরিং কমিটির তৎপরতা দেখা যায়। সারা বছর আর কোন কার্যক্রম দৃশ্যমান হয় না বলে বলা যাবে।
নিত্যপণ্যের বাজার আরও ভালভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য বাজার মনিটরিং কমিটি পুনর্গঠন করা দরকার।
প্রয়োজনে অবৈধ মজুদে হানা দিয়ে মজুদ পণ্য অবমুক্ত করতে পারবে কমিটি। আগের মতো এবারও বাজারের প্রতিটি দোকানের সামনে নিত্যপণ্যের মূল্যতালিকা টানিয়ে রাখা বাধ্যতামূলক করা দরকার।
অন্য সময় বাজার অধিক অস্থিতিশীল হলে তাদের উপস্থিতি ঘটে। অন্যথায় ‘নাকে তেল দিয়ে ঘুমানোর অবস্থা’ যেন। সারা বছর বাজার মনিটরিংয়ের বিকল্প নেই। দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের স্বার্থেই প্রয়োজন।