নিজস্ব প্রতিনিধি: সরকার পতনের পর থেকে সারা দেশে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। কুচক্রীদের এমন নৈরাজ্য থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ী রাজশাহীর বাঘায় মন্দির পরিদর্শন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নেতৃবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুর ৩ টা থেকে উপজেলার আড়ানী পৌর এলাকার হরিতলা মন্দির, কালী মন্দির সহ বাউসা ও মনিগ্রাম ইউনিয়নের সকল মন্দির পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবির।
মন্দির পরিদর্শন শেষে বাঘা উপজেলা জামায়াতের আমীর আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা জিন্নাত আলী বলেন, এদেশে সংখ্যালঘু বলতে কোনো কিছু থাকবে না। বাংলাদেশের মানুষ আমরা সবাই ভাই ভাই। কারো কোনো ক্ষতি হোক এটা জামায়াতে ইসলামী চাই না। আপনারা হিন্দু সম্প্রদায়ের সকল ভায়েরা আমাদের ওপর আস্থা রাখেন, মন্দির ও বাড়িতে কোনো হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করতে দেওয়া হবে না। আর যদি কোনো কুচক্রী মহল কিছু করার চেস্টা করে তাহলে আমাদের কে জানাবেন আমরা জীবন দিয়ে হলেও আপনাদের রক্ষা করবো ইনশাআল্লাহ।
এ বিষয়ে আড়ানী কালীবাড়ি মন্দিরের সভাপতি মৃণাল তৃবেদী রাজা বলেন, দেশের এই কঠিন এক মূহুর্তে যখন আমাদের সময় কাটছে ভয় এবং শঙ্কায়। ঠিকে সে সময় এই প্রথম বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ আমাদের সাহস যুগাতে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। এতে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত এবং শঙ্কা মুক্ত।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বাঘা উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা জিন্নাত আলী, নায়েবে আমীর মাওলানা আ:লতিফ, উপজেলা জামায়াতের আমির আব্দুল্লাহ আল মামুন, সেক্রেটারি ইউনুস আলী, প্রকাশনা সম্পাদক শাহাদুল ইসলাম, আড়ানী পৌর আমীর মনিরুল আলম জিনজুর, সেক্রেটারি শামসুল ইমলাম, বাউসা ইউনিয়ন আমীর মজিবর রহমান, সেক্রেটারি মাওলানা শরিফুল ইসলাম, ছাত্র শিবিরের সাবেক জেলা সভাপতি সবুজ মাহমুদ, বাঘা উত্তর থানা শাখার সভাপতি তারিকুল ইসলাম, বাঘা দক্ষিণ থানা শাখার সভাপতি জাহিদ হাসান, সাবেক সভাপতি রায়হানুল হক, আইউব আলি ফারুকী সহ আরো অন্যান্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।