চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত বোয়ালখালী উপজেলা। এ উপজেলায় জাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান, জাহাজ মেরামতের ডকইয়ার্ড, পেপার মিল, পানি পরিশোধন কারখানা, লবণ প্রক্রিয়াকরণ কারখানাসহ বহুমাত্রিক শিল্প-কারখানা গড়ে উঠেছে। কিন্তু এসব কারখানায় অদক্ষ ও পছন্দের লোকজনদের শ্রমিক নিয়োগে চাপ, ডেলিভারি যান থেকে চাঁদাবাজিসহ শিল্প-কারখানায় স্থানীয় সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। শিল্প-মালিকদের অভিযোগে ভাইস চেয়ারম্যান মীর নওশাদ ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মুনাফের নাম সামনে এসেছে।
সূত্রে জানা যায়, বোয়ালখালী উপজেলায় জাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান, জাহাজ মেরামতের ডকইয়ার্ড, পেপার মিল, পানির পরিশোধন কারখানা, লবণ প্রক্রিয়াকারণ কারখানাসহ অনেক শিল্প-কারখানা রয়েছে।
এসব কারখানায় অদক্ষ ও পছন্দের লোকদের শ্রমিক নিয়োগে চাপ, ডেলিভারি যান থেকে চাঁদাবাজিসহ শিল্প-কারখানায় স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। শিল্প-মালিকদের অভিযোগ রয়েছে, এসব কর্মকাণ্ডে বোয়ালখালী উপজেলা নবনির্মিত ভাইস চেয়ারম্যান মীর নওশাদ ও ৪নং শাকপুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান মুনাফ জড়িত রয়েছে।
এছাড়া ফ্যাক্টরি থেকে পণ্য ডেলিভারি গাড়িগুলো আটকে চাঁদাবাজি ও অতর্কিত হামলার মাধ্যমে টাকা আদায় করছে স্থানীয় সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ চক্র। ভাইস চেয়ারম্যান মীর নওশাদ ও ইউপি চেয়ারম্যান মুনাফের ছেলে ফরহাদের নেতৃত্বে এই ধরনের কার্যক্রমের ঘটনা ঘটেছে। ফলে ব্যবসায়ীরা যথাযথভাবে ভোগ্যপণ্য বিতরণ করতে পারছে না।
স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী, নওশাদ এবং তার সহযোগীরা এই অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের ওপর চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে তারা টাকা দাবি করছে এবং যারা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রদর্শন করছে। নিজের রাজনৈতিক আধিপত্য বজায় রাখার জন্য ভাইস চেয়ারম্যান মীর নওশাদ তার দলের লোকদের স্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠানে চাকরিতে নিয়োগ দেয়ার জন্য চাপপ্রয়োগ করছে। এ চক্র নিজস্ব লোকজনের মাধ্যমে নিয়মিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় জনগণ এবং ব্যবসায়ীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ভাইস-চেয়ারম্যান মীর নওশাদ ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মুনাফের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
তাদের মতে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের এই ধারাটি প্রতিরোধ করতে না পারলে এলাকার শান্তি এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়বে। বহু শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। যা বেকারত্ব বাড়াবে এবং সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে।
এ বিষয়ে মীর নওশাদ বলেন, আমাদের এলাকায় এস এ গ্রুপের লবণের কারখানা। এ কারখানায় পটিয়া থেকে লোকজন এসে চাকরি করেন। অথচ আমাদের বোয়ালখালী এলাকার লোকজন বেকার। এছাড়া এলাকার কিছু লোক ঠিকাদারের মাধ্যমে আগে চাকরি করতেন। কিন্তু এখন তাদের চাকরি নেই। তাই আমরা অনুরোধ করেছিলাম সুযোগ থাকলে আমাদের লোকজনকে চাকরি দিতে।