নিজস্ব প্রতিবেদক
মায়ের পরকীয়া সম্পর্ক জেনে ফেলায় শিশু আফরিন (৬) কে পানির ট্যাংকে ফেলে নৃশংস হত্যার ঘটনায় পলাতক আসামি সোহাগ (৩৫) কে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি থানা এলাকা থেকে যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করেছে র্যাব। ভিকটিম এর বাবা এর সাথে ভিকটিমের মায়ের বনিবনা না হওয়ায় তার বাবা এবং মায়ের তালাক হয়। পরবর্তীতে তাহার বাবা দ্বিতীয় বিবাহ করে। ভিকটিম আফরিন (০৬) মাঝে মাঝে তার বাবার বাড়িতে খেলাধুলা করার জন্য যায়। গত ০৬/০১/২০২৪ ইং তারিখ সকাল আনুমানিক ০৯.০০ ঘটিকার সময় ভিকটিম আফরিন (০৬) খেলাধুলা করার উদ্দেশ্যে পার্শ্ববর্তী বাসা কাফরুল থানাধীন সেনপাড়া পর্বতাস্থ হোল্ডিং নং- ২০৯/১, টিনশেড বাড়ীতে যায়।
একই দিন সকাল আনুমানিক ১০.০০ ঘটিকার সময় উক্ত টিনশেড বাসার ভাড়াটিয়া মহিলা শারমিন (২৫) ট্যাংকিতে পানি উঠাইতে গিয়া ট্যাংকির মধ্যে স্যান্ডেল ভাসতে দেখে চিৎকার করে। তখন উক্ত বাসার একজন ভাড়াটিয়া লোক পানির টাংকিতে নেমে খোজ করে ভিকটিমকে পেয়ে ট্যাংকি হতে উঠিয়ে ভিকটিমের বাবা সহ দ্রুত শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার পরীক্ষ নিরীক্ষা করে ভিকটিমকে ১১:৪৫ ঘটিকার সময় মৃত ঘোষনা করে।
উক্ত ঘটনার পর থেকে ভিকটিমের সৎ মা ফুলি বেগম সবসময় মনমরা থাকাবস্থায় ভিকটিমের বাবা মতিয়ার তাকে জিজ্ঞাসা করলে ভিকটিমের সৎ মা জানায় যে, গত ০৬/০১/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ সকাল ০৯.১০ ঘটিকার সময় ভিকটিমের সৎ মা এর ফুফাতো ভাই ২ নং আসামী সোহাগ (৩৫). পিতা- আব্দুল গফুর, মাতা-ধলা বেগম, সাং-বিলধামু, থানা-বালিয়াকান্দি, জেলা-রাজবাড়ী, বর্তমানে মিরপুর- বিআরপি, থানা-ভাষানটেক, ঢাকা তার বর্তমান ঠিকানার বাসায় আসে এবং ভিকটিমের সৎ মায়ের সহিত ঘরে বসে কথা বলত এবং একে অপরকে জড়িয়ে ধরেছিল।
তখন ভিকটিম বলে যে, বাবা আসলে বলে দিব। তখন ভিকটিমের সৎ মায়ের ফুফাতো ভাই ২নং আসামী সোহাগ এর সহায়তায় এবং ভিকটিমের প্রতি রাগ ও হিংসার বশবর্তী হইয়া ভিকটিমকে গত ০৬/০১/২০২৪ইং তারিখ সকাল আনুমানিক ০৯:৪০ ঘটিকার সময় পানির ট্যাংকের মধ্য ফেলে দিয়ে ভিকটিমকে হত্যা করে।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা-মোসাঃ সোনিয়া খাতুন (২৫), পিতা-মোঃ আইনুর রহমান, সাং-সাড়াতলা(পশ্চিম পাড়া), থানা- মহেশপুর, জেলা-ঝিনাইদহ বাদী হয়ে ডিএমপির কাফরুল থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করেন। যা মামলা নং-০৮/০৮, তারিখ- ১৩/০১/২৪ ইং ধারাঃ ৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়। এই ঘটনাটি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারিত হয় এবং এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত আসামীদেরকে গ্রেফতারের জন্য র্যাব-১ এর আভিযানিক দল বিষয়টি আমলে নিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামী গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখ আনুমানিক ০১.০০ ঘটিকার সময় র্যাব-১ ও র্যাব-১০ এর যৌথ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, সূত্রোক্ত মামলার ২নং এজাহার নামীয় আসামী সোহাগ (৩৫), পিতা- আব্দুল গফুর, সাং-বিলধামু, থানা-বালিয়াকান্দি, জেলা -রাজবাড়ী রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি থানা এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১ এবং র্যাব-১০ এর যৌথ আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী সোহাগ (৩৫)’কে গ্রেফতার করে।
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী ভিকটিম আফরিন (০৬) কে হত্যার ঘটনায় জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে।গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ গোলাম মাওলা শাওন ০১৭১১-০০৬২১৪, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক 01762119992, প্রধান কার্যালয় ৩৪ নুরজাহান শরীফ প্লাজা ৮ম তলা, পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০। ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০ নিউজ ই-মেইল [email protected] সিভি পাঠান: [email protected]