জেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা
৬ ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মোঃ নাজিবুর রহমান নয়ন জেলার উপজেলা পরিষদের কনিষ্ঠ চেয়ারম্যান প্রার্থী। সে পলাশবাড়ী উপজেলার পূর্বগোপিনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা আমলাগাছী ডি ইউ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ এর প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মাহবুব আলম বিএসসির পুত্র।

গাইবান্ধা জেলা ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ইঞ্জিনিয়ার নাজিবুর রহমান নয়ন ঢাকার আনোয়ার খান মর্ডান বিশ্ববিদ্যালয় হতে বিএসসি টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং পাস করেছেন। দাম্পত্য জীবনে স্ত্রী,বাবা,মামা,বড় ভাইকে নিয়ে পরিবার, যাদের স্থায়ী বসবাস উপজেলার পূর্বগোপিনাথপুর গ্রামে। পবনাপুর ইউনিয়নের দানবীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মরহুম এম এ আবুল হাসান ইল্লিন যিনি গত ২০০৮ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করেছেন। তার ও পবনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোছাঃ শাহনাজ পারভীন এর জামাই ইঞ্জিনিয়ার মোঃ নাজিবুর রহমান নয়ন।

গতকাল ২৩ এপ্রিল প্রার্থীতা যাচাই বাছাইয়ে উপজেলা পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার নাজিবুর রহমান নয়ন এর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন জেলা নির্বাচন অফিসার ও রির্টানিং অফিসার । ইঞ্জিনিয়ার নাজিবুর রহমান নয়ন তার জন্ম ১৯৯৭ সালের ৬ ডিসেম্বর পূর্বগোপিনাথপুর গ্রামে তার বর্তমান বয়স ২৬ বছর ৪ মাস ১৮ দিন চলমান। সে জেলার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সর্বকনিষ্ঠ চেয়ারম্যান প্রার্থী।

এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন অফিসারের বক্তব্য পাওয়া না গেলেও পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি রির্টানিং অফিসার মোঃ কামরুল হাসান বলেন, এ পর্যন্ত তিনি উপজেলার কনিষ্ঠ প্রার্থী চেয়ারম্যান প্রার্থী।

চেয়ারম্যান প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার নাজিবুর রহমান নয়ন তার প্রথম নির্বাচনে আনারস প্রতিক চেয়েছেন প্রতিক বরাদ্দ পেলে নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা শুরু করবেন জানিয়ে সম্মানিত ভোটারদের ও দেশবাসী সকলের নিকট দোয়া কামনা করেছেন।

উল্লেখ্য, ২৩ এপ্রিল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে এতে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থীর মনোনয় পত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৩০ এপ্রিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন, ২ মে প্রতীক বরাদ্দ এবং ২১ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। পলাশবাড়ী উপজেলার একটি পৌরসভা এবং উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ২৩ হাজার ২ শত ৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৯ হাজার ২ শত ৬ জন ও মহিলা ভোটার ১ লাখ ১৪ হাজার ২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ১ জন।