ডেস্ক রিপোর্ট :

প্রথমবারের মতো ৪ কেয়ার জমিতে লাল তীরের হাইব্রিড জাতের চিকন ধান গোল্ডেন ওয়ান চাষ করে সফলতার মুখ দেখেছেন শ্রীমঙ্গল হাইল হাওরে কৃষক দৌলত মিয়া।

কৃষক দৌলত মিয়া বলেন, হাইল হাওরে মোটা জাতের ধান চাষ করলেও চিকন জাতের ধান কেউ তেমন একটা চাষ করেন না। তাই তিনি প্রথম বারের মতো পরীক্ষামূলক ৪ কেয়ার জমিতে লালতীর সীডের হাইব্রিড জাতের চিকন ধান গোল্ডেন ওয়ান ধানের চাষ করেছেন।

এ জাতের ধানের চাল চিকন হয়। চিকন চালের চাহিদা ও দর ভালো পাওয়ায় তিনি এ ধান চাষে আগ্রহী হয়েছেন। এ জাতের ধান চাষে খরচও কম। কোনো ধরনের সার ও কীটনাশক ছাড়া শুধুমাত্র পরিচর্যা, পানির সর্বরাহ এবং যত্ন নিলেই প্রাকৃতিক ভাবেই ভালো ফলন মিলে বলে জানান কৃষক দৌলত মিয়া।

তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যেই তার জমিতে ধান ৮০ ভাগ পরিপক্ক হয়ে গেছে। আর ৪/৫ দিনের মধ্যেই ধান কাটা শুরু হবে। আগামীতে বড় পরিসরে এ জাতের হাইব্রিড চিকন ধান চাষ করার ইচ্ছে আছে।

এ বিষয়ে লাল তীরের সিলেট ডিভিশনাল ম্যানেজার তাপস চক্রবর্তী জানান, হাইব্রিড গোল্ডেন ওয়ান জাতের ধান একটি উচ্চ ফলনশীল। পাতা পোড়া এবং ব্লাস্ট সহনশীল চিকন জাতের হাইব্রিড ধান এ ধান চাষ করলে খরচ কম হয়। কৃষক লাভবান হন। এ জাতের ধান গাছের উচ্চতা হয় ১০৫-১১০ সেমি। বোরো মৌসুমে ১৪৫ থেকে ১৫০ দিনের মধ্যে ধান কর্তন উপযাগী হয়ে ওঠে।

এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. মহিউদ্দিন জানান, পোকা এবং ব্লাস্ট রোগ না থাকায়। এবার হাইল হাওরে হাইব্রিড ধানসহ সব ধরনের ধানের ফসল ভালো হওয়াতে লক্ষমাত্রা অর্জনের প্রত্যাশা করছেন।