চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:
চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা পৌর শহরের দাসপাড়ায় সেপটিক ট্যাংকে পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরও এক যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। শুক্রবার (১৮ মার্চ) সকাল ৭ টার দিকে আনন্দধাম দাস পাড়ার মন্দির প্রাঙ্গণের কাছে একটি সদ্য নির্মিত বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলো- কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি এলাকার আনসার পরমানিকের ছেলে রাজমিস্ত্রি শরিফুল পরমানিক (৩৫) ও পাবনা চাটমোহর রেলবাজার এলাকার রাজু কুমার দাস এর ছেলে সাগর কুমার দাস। রাজু ওই নির্মিত ভবন মালিক নিপেন এর বাড়িতে বসবাস করে আসছিলো। তাদের উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকাল ৭ টার দিকে আনন্দধাম এলাকার দাসপাড়া সদ্য নির্মিত ভবনের নির্মানাধীন বাড়ির সেপ্টি ট্যাংকের ভেতরের সাটারিং খুলতে নেমে রাজমিস্ত্রি অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে বাড়ির ওই যুবক চিৎকার দিয়ে সেও সেপটিক ট্যাংকিতে নামলে সেও অজ্ঞান হয়ে যায়। প্রতিবেশীরা ছুটে এসে ট্যাংকের ভিতরে তাদের উদ্ধারের চেষ্ঠা চালায়। ইতো মধ্যে আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌছে ঘন্টা ব্যাপি শ্বাসরুদ্ধ উদ্ধার অভিযান চালায়। তাদের দুজনকে উদ্ধার হারদি হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, ফায়ার সার্ভিসের গাফিলতির কারণে উদ্ধার অভিযান পূর্বে তারা মারা যায়। সেপটিক ট্যাংকে অক্সিজেন না থাকার কারণে তারা মারা গেছে। আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের নিকট অক্সিজেনের ব্যবস্থা না থাকায় এ বিষয়ে তিব্র নিন্দা করেন এলাকাবাসী।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। খবর পেয়ে সকালেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ফায়ার সার্ভিস তাদের দুজনকে উদ্ধার করে হারদি হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।