কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি।
পিরোজপুরের কাউখালীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসস্থল নির্মাণ প্রকল্প বীর নিবাস নির্মাণে নিম্ন মানের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা পরিদর্শক করে সত্যতা পেয়ে নিম্ন মানের খোয়া অপসারণের নির্দেশ দেনে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে। জানা যায়, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ১৪ লক্ষ ১০ হাজার টাকা ব্যয়ে বীর নিবাস তৈরি করার প্রকল্প সরকার হাতে নেয়। এর ধারাবিহকতায় উপজেলার কেউন্দিয়া গ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত সাইদুল হক এর স্ত্রী মায়াতুন্নেছার নামে বরাদ্দ হয়। সেই মোতাবেক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মোঃ ফারুক হোসেন অর্ধেক কাজ করে কাজটি ফেলে রেখে যান।
পরে গাথুনিতে শ্যাওলা ধরে যায় এবং দীর্ঘদিন পরে গত রবিবার থেকে ঠিকাদারের পক্ষে স্থানীয় রাজমিস্ত্রী মজনু হোসেন কাজ শুরু করেন। এতে নিম্ন মানের এবং আগে অন্যকোন ভবনের ব্যবহৃত খোয়া দিয়ে ঢালাইয়ের কাজ করার প্রস্তুতি নেন। এসময় বরাদ্দকৃত বীর নিবাসের মায়াতুন্নেছার ছোট ছেলে মোঃ মশিউর রহমান বাধা দেন এবং বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেন। এ ব্যাপারে ঠিকাদার মোঃ ফয়সাল হোসেন জানান, সিডিউলের বাহিরেও অনেক কাজ করা হয়েছে যদি খোয়ায় কোন ত্রুটি থাকে তা সরিয়ে ফেলবো। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা জানান, বীর নিবাস নির্মাণের কাজ পরিদর্শন করেছি। নিম্ন মানের খোয়া দেখায় তা অপসারণ করার নির্দেশ দিয়েছি।